মঙ্গলবার, ০৬ জুন ২০২৩, ২২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

মসজিদের ভেতর শিশু ধর্ষণ: অভিযুক্তকে ৮ বছরের কারাদণ্ড

প্রতীকী ছবি

জামালপুর প্রতিনিধি ।।

জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জে মসজিদের ভেতর ৫ বছরের শিশুকে ধর্ষণের অপরাধে মনিরুল ইসলাম ওরফে মনিহুজুর (৪২) নামে একজনের ৮ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার (১১ জানুয়ারি) দুপুরে জামালপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম এ রায় দেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত মনিরুল ইসলাম জেলার দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার বাহাদুরাবাদ ভাঙ্গারগ্রামের শুক্কুর আলীর ছেলে। সে ইসলামিক ফাউন্ডেশন পরিচালিত ভাঙ্গারগ্রাম জামে মসজিদের (মসজিদভিত্তিক শিশু শিক্ষা কার্যক্রম) শিক্ষক ছিলেন।

আদালত সূত্র জানায়, দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার বাহাদুরাবাদ ভাটিপাড়া গ্রামের আব্দুর রশিদের ছোট মেয়ে স্বপ্না বেগম ও তার জামাই শাসছুদ্দিন রাজধানীতে গার্মেন্টসে চাকরি করায় তাদের ৫ বছর বয়সী কন্যাশিশু নানী ছকিনা বেগমের কাছে থাকতো। ওই শিশুকে ভাঙ্গারগ্রাম জামে মসজিদে ভর্তি করা হয়। ২০১৯ সালের ২ অক্টোবর সকালে ওই শিক্ষালয়ের শিক্ষক মনিরুল ইসলাম ওরফে মনিহুজুর সব ছাত্র-ছাত্রীদের ছুটি দিয়ে ওই শিশুকে রেখে দেয়। পরে মসজিদের ভেতরই সে শিশুটিকে ধর্ষণ করে। পরে বাড়ি গেলে তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঘটনার পরদিন শিশুর নানী ছকিনা বেগম বাদী হয়ে দেওয়ানগঞ্জ মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।

মামলার তদন্ত, দীর্ঘ শুনানি ও ১৪ জন সাক্ষীর মধ্যে ১০ জনের সাক্ষ্যের ভিত্তিতে অভিযোগ প্রমাণিত হয়। মঙ্গলবার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধিত ২০০৩) এর ১০ ধারায় আসামি মনিরুল ইসলাম মনিহুজুরকে ৮ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড, ২৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড ও অনাদায়ে আরো ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন।

রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন আদালতের স্পেশাল পিপি অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আকরাম হোসেন ও আসামি পক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট মো. রেজাউল আমিন শামীম।

নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল-১ এর স্পেশাল পিপি অ্যডভোকেট মো: আকরাম হোসেন রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

মসজিদের ভেতর শিশু ধর্ষণ: অভিযুক্তকে ৮ বছরের কারাদণ্ড

প্রকাশের সময় : ০৬:১০:৪৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ জানুয়ারী ২০২২

জামালপুর প্রতিনিধি ।।

জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জে মসজিদের ভেতর ৫ বছরের শিশুকে ধর্ষণের অপরাধে মনিরুল ইসলাম ওরফে মনিহুজুর (৪২) নামে একজনের ৮ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার (১১ জানুয়ারি) দুপুরে জামালপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম এ রায় দেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত মনিরুল ইসলাম জেলার দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার বাহাদুরাবাদ ভাঙ্গারগ্রামের শুক্কুর আলীর ছেলে। সে ইসলামিক ফাউন্ডেশন পরিচালিত ভাঙ্গারগ্রাম জামে মসজিদের (মসজিদভিত্তিক শিশু শিক্ষা কার্যক্রম) শিক্ষক ছিলেন।

আদালত সূত্র জানায়, দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার বাহাদুরাবাদ ভাটিপাড়া গ্রামের আব্দুর রশিদের ছোট মেয়ে স্বপ্না বেগম ও তার জামাই শাসছুদ্দিন রাজধানীতে গার্মেন্টসে চাকরি করায় তাদের ৫ বছর বয়সী কন্যাশিশু নানী ছকিনা বেগমের কাছে থাকতো। ওই শিশুকে ভাঙ্গারগ্রাম জামে মসজিদে ভর্তি করা হয়। ২০১৯ সালের ২ অক্টোবর সকালে ওই শিক্ষালয়ের শিক্ষক মনিরুল ইসলাম ওরফে মনিহুজুর সব ছাত্র-ছাত্রীদের ছুটি দিয়ে ওই শিশুকে রেখে দেয়। পরে মসজিদের ভেতরই সে শিশুটিকে ধর্ষণ করে। পরে বাড়ি গেলে তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঘটনার পরদিন শিশুর নানী ছকিনা বেগম বাদী হয়ে দেওয়ানগঞ্জ মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।

মামলার তদন্ত, দীর্ঘ শুনানি ও ১৪ জন সাক্ষীর মধ্যে ১০ জনের সাক্ষ্যের ভিত্তিতে অভিযোগ প্রমাণিত হয়। মঙ্গলবার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধিত ২০০৩) এর ১০ ধারায় আসামি মনিরুল ইসলাম মনিহুজুরকে ৮ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড, ২৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড ও অনাদায়ে আরো ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন।

রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন আদালতের স্পেশাল পিপি অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আকরাম হোসেন ও আসামি পক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট মো. রেজাউল আমিন শামীম।

নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল-১ এর স্পেশাল পিপি অ্যডভোকেট মো: আকরাম হোসেন রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।