শহিদ শেখ, মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি ।।
মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে মারধরের স্বীকার হয়েছে একটি পরিবার। নিরাপত্ত্বাহীনতায় রয়েছে তারা। দীর্ঘদিন ধরে অত্যাচারিত হয়ে উপায় না পেয়ে শারীরিক নির্যাতনের পর থানায় অভিযোগ করলে পুলিশ আইনগত ব্যবস্থা নিলে বিরোধী পক্ষ আদালতের মাধ্যমে জেল খেটে এসে আবার হুমকী ধামকি দিচ্ছে।
ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার চিত্রকোট ইউনিয়নের গিরিনগর গ্রামে।
শুক্রবার বেলা ১২ টার দিকে জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে সিরাজদিখান প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন গিরিনগর গ্রামের আক্কাস উদ্দিন মোল্লার ছেলে ভুক্তভোগী আব্বাস উদ্দিন রাশেদ লিখিত বক্তব্যে বলেন, জমি জমা নিয়ে গত ৫ বছর যাবৎ কিছু সন্ত্রাসী লোকের কারণে তারা অত্যাচারের স্বীকার হয়ে আছেন। গত ৩১ ডিসেম্বর মীমাংসার কথা বলে, তখন শেখরনগর তদন্ত কেন্দ্রের উপ পুলিশ পরিদর্শক মাহমুদ মইনের সামনেই সন্ত্রাসী শফিকুল ইসলাম উজ্জল তার লোকবল নিয়ে হামলা চালায়। এতে তার ভাই ও স্ত্রীসহ ৫ জন আহত হয়।
এ সময় স্থানীয় গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গসহ ঘটনাটি দেখেছেন সিংগাডাকের লিও মেম্বার, গিরিনগর গ্রামের হারুন অর রশীদ মোল্লা (সাবেক মেম্বার), গিরিনগর মসজিদ কমিটির সভাপতি ইকবাল মোল্লাসহ আরো অনেকে। সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরো বলেন তাদের জমিন উজ্জল গংরা বুঝিয়ে দিচ্ছেন না। বর্তমানে তারা নিরাপত্ত্বাহীনতায় আছেন, শেখরনগর তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশের সহযোগিতা পাচ্ছেন না।
সংবাদ সম্মেলনে রাশেদের সাথে উপস্থিত ছিলেন মাসুদ রানা লাবু, রাশেদের স্ত্রী আশা আহমেদ, চাচাত ভাই শামিম মোল্লা ও তার স্ত্রী মটর আক্তার।
এ বিষয়ে শহিদুল ইসলাম উজ্জল জানান, আব্বাস উদ্দিন রাশেদ যা বলেছে তা মিথ্যা এবং তারা মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাদের হয়রানী করছে। ৩১ ডিসেম্বর হাতা-হাতি উভয় পক্ষের হয়েছে সেখানে পুলিশ ও স্থানীয় মেম্বারসহ গন্যমান্যরা উপস্থিত ছিলো।
ইউপি চেয়ারম্যান সাহেব বিষয়টি জানেন তার সাথে কথা বললেও আপনারা জানতে পারবেন।
পুলিশ উপ-পরিদর্শক মাহমুদ মইন জানান, আমরা মিমাংশার কথা জানিনা, আমরা তদন্তে গিয়েছিলাম সেখানে উভয় পক্ষ হাতা-হাতি করেছে। এটা একটা ছোট খাটো মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এর বেশি জানিনা।
মুক্তিযোদ্ধা হারুন অর রশীদ মোল্লা (সাবেক মেম্বার) তিনি জানান, তারা সবাই একই বংশের, সেদিন বাড়ির সামনে ইট বালু রাখাকে কেন্দ্র করে তুচ্ছ ঘটনায় উভয় পক্ষ হাতা-হাতি হয়। আমি কয়েকবার মিল করতে চেয়েছি, রাশেদ মানে নাই।
বর্তমানে চেয়ারম্যানকে বলেছি মীমাংসা করতে। তাছাড়া রাশেদদের দাদার ১৮ শতাংশ জমিন তারা আগেই বুঝে নিয়েছে।
চিত্রকোট ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শামসুল হুদা বাবুল বলেন, পুলিশের সামনে মারামারি হলে নিরাপত্তাহীনতা বলতে পারে। তারা উভয় আত্বীয়-স্বজন, হাতাহাতিতে শামিমরা বেশি ইন্জুরি হয়েছিলো। জমির বিরোধ মিটাতে আমি উভয়কে বলেছিলাম পারিবারিক ভাবে মীমাংসা হয়ে যেতে। এখন তারা মিমাংশা করতে না পারলে, উভয় পক্ষ যদি মানে তাহলে মীমাংসা করবো।