বেনাপোল প্রতিনিধি ।।
রান্না করার সময় অগ্নিদগ্ধ হয়ে যশোরের শার্শায় ২০ দিন ধরে বিছানায় মৃত্যু যন্ত্রণায় ছটফট করছে আমেনা খাতুন নামে এক গৃহবধূ।
কয়েক দিন প্রাথমিক ভাবে চিকিৎসা শেষে অর্থাভাবে বিনা চিকিৎসায় ধুকে ধুকে দিন পার করছে সে। এ অবস্থায় মেয়ের উন্নত চিকিৎসা না করাতে পেরে গভীর ভাবে ভেঙে পড়েছেন মেয়েটির গরীব মা বাবা।
তথ্যঅনুসন্ধানে জানা যায়, শার্শার বসতপুর ১ নং কলোনী গ্রামে স্বামীর সংসারে রান্না করতে গিয়ে আগুনে ঝলসে যায় শিশুটির মা আমেনা খাতুনের। সে একই এলাকার হয়রত আলী ভূঁইয়ার ছোট মেয়ে।
পোড়া শরীর নিয়ে ২০ দিন অতিবাহিত করলেও এখনো সুস্থ হয়নি সে। চিকিৎসার জন্য বাইরে থাকা এবং অতিমাত্রায় ঔষধ সেবনের ফলে শুকিয়ে গেছে মায়ের বুকের দুধ। যার ফলে মায়ের কাছে যেতে না পারা এবং দুধ খাওয়া থেকে বঞ্চিত হয়ে রয়েছে আমেনা খাতুনের ছোট্ট শিশুটি।
আগুনে পুড়ে গেছে মা। তাই মায়ের পরশ না পেয়ে এবং দুধ খেতে না পেয়ে ছোট্ট শিশুটি সব সময় যেন নির্বাক। নিষ্পাপ চোখে মুখে যেন তার হতাশার ছাপ। মায়ের জন্য কিছু সময় ছটফটানি আবার কিছু সময় নিরবতার সাথে অবাক দৃষ্টিতে ফ্যাল ফ্যাল করে চেয়ে থেকেয় যেন তার দিন পার হয়ে যায়।
এদিকে অল্প কিছুদিন গৃহবধূ আমেনা খাতুনের চিকিৎসা হলেও চরম অর্থ সংকটে পড়েছেন আমেনা খাতুনের মা বাবা। স্বামীর সংসার থেকেও কোন রকম অর্থের যোগান না পেয়ে ধুঁকে ধুঁকে গরীব মা বাবার ঘরে ভূগছে অসহায় গৃহবধূ। যে সংসারে নুন আনতে পানতা ফুরায় সেখানে মেয়ের শরীরের পুড়া ক্ষত কিভাবে সারাবেন সে গভীর চিন্তায় সমাজের বিত্তশালী সকল মানুষের কাছে সাহায্য প্রার্থনা করেছেন ভুক্তভোগী পরিবার।
বসতপুর ৫ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মতিয়ার রহমান বলেন, আমি এই পরিবারটিকে চিনি ও জানি। গরীব ও অসহায় পরিবারের হতভাগা মেয়েটি আগুনে পুড়ে চিকিৎসার অভাবে বাড়িতে কষ্ট পাচ্ছে। আমরা কিছু টাকা পয়সা তুলে চিকিৎসার জন্য সহযোগিতা করেছি কিন্তু তার উন্নত চিকিৎসার জন্য অনেক অর্থ প্রয়োজন। সমাজের বিত্তশালী সকল মানুষের কাছে সাহায্যে প্রার্থনা করছি।
আগুন শুধু একটি মানুষকে ক্ষতবিক্ষত করেনি। বরং আগুনের লেলিহান শিখায় জ্বলছে দুটি পরিবার সাথে কিছু তাজা প্রাণ। আগুনে দগ্ধ আমেনা খাতুনকে সারিয়ে তুলতে এখনো অনেক অর্থের প্রয়োজন। যার যার স্থান থেকে বিত্তশালী সহ সমাজের সকল শ্রেণি মানুষের কাছে বিনীত ভাবে সাহায্যের আবেদন করেছেন অগ্নিদগ্ধ আমেনা সহ অসহায় পরিবার।