বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

তরুণ প্রজন্মের নৃত্যে বঙ্গবন্ধু ও দেশপ্রেম

ঢাকা ব্যুরো।। দেশের তরুণ প্রজন্মের নৃত্য শিল্পীদের পরিবেশনায় বাংলাদেশের নৃত্যধারার নতুন দিগন্ত প্রকাশ পেল গতকাল। শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে রাজধানীতে বসেছে তিন দিনের নৃত্য উৎসব। সেখানে দেশের ২৫টি জেলার ৭৫টি নৃত্য সংগঠন নতুন পরিবেশনা নিয়ে উপস্থিত হয়েছে। এ উৎসবে দেশের এক হাজার নৃত্য শিল্পীর সমাবেশ ঘটেছে। মুজিব শতবর্ষ ও স্বাধীনতা সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে শিল্পকলা একাডেমির ‘ডান্স এগেইনস্ট করোনা’ শীর্ষক কর্মসূচির অংশ হিসেবে এ উৎসব আয়োজন করা হয়েছে।

নৃত্যগুরুরা বলছেন, এ আয়োজনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের তরুণ প্রতিভাবান নৃত্য পরিচালকদের কাজ করার সুযোগ দেয়া হয়েছে। যার মধ্য দিয়ে দেশের সামগ্রিক নৃত্য ধারার একটি ধারনা পাওয়া যাবে। দেশের নানা প্রান্তে শিল্পীরা কেমন কাজ করছেন তা জানার সুযোগ যেমন সৃষ্টি হবে। তেমনি বিভিন্ন অঞ্চলের শিল্পীরা দেশের অন্যান্য অংশে কেমন কাজ তা দেখারও সুযোগ পাবেন।

গতকাল বেলুন উড়িয়ে উৎসবের উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, বিশেষ অতিথি ছিলেন নৃত্য শিল্পী সংস্থার সভাপতি মিনু হক। শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকীর সভাপতিত্বে এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন একাডেমির সচিব মো. আছাদুজ্জামান।

লিয়াকত আলী লাকী বলেন, নৃত্য শিল্পের বিকাশে সব সময় বাঁধা এসেছে। কিন্তু শিল্পী সমাজ সে বাধাকে মোকাবেলা করে এ শিল্পকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। তিনি জানান, এর আগে নৃত্য উৎসবে এক হাজারের বেশি শিল্পীর সমাবেশ কখনোই হয়নি। সে বিচারে এটাই দেশের সবচেয়ে বড় নৃত্য উৎসব হতে যাচ্ছে। এ উৎসব স্বানামধন্য নৃত্য পরিচালকসহ তরুণ প্রতিভাবান নৃত্য পরিচালকদের কাজ করার সুযোগ দেয়া হয়েছে।

মিনু হক বলেন, নৃত্যশিল্পীদের জন্য এ আয়োজন সম্মানের এবং অস্তিত্ব রক্ষার। এ উৎসব আয়োজনের মধ্য দিয়ে অনেক শিল্পী ও নৃত্য পরিচালকরা নতুন নতুন কাজ নিয়ে উঠে আসবে।

নৃত্য উৎসবের উদ্বোধনী নৃত্য পরিবেশনা নিয়ে আসে নৃত্য সংগঠন ভাবনা। নৃত্য পরিচালক সামিনা হোসেন প্রেমার পরিচালনার শিল্পীরা ‘উদয়াচলের পথে’ শীর্ষক পরিবেশনায় বঙ্গবন্ধুল অবদান ও মুক্তিযুদ্ধের প্রেরণা নতুন আঙ্গিকে উপস্থাপন করেন শিল্পীরা। এরপর ময়মনসিংহের দল নৃত্যগ্রাম মানস তালুকদারের পরিচালনায় পরিবেশন করে ‘স্বাধীনতার অনুগল্প’, বেনুকা ললিতকলা কেন্দ্র মো. গোলাম মোস্তফা খানের পরিচালনায় ‘চেতনায় বঙ্গবন্ধু’ শীর্ষক নৃত্য পরিবেশনা নিয়ে মঞ্চে আসে। মৌলভীবাজারের মনিপুরি থিয়েটার জ্যোতি সিনহার পরিচালনায় মঞ্চস্থ করে ‘রক্তবলাকা’। ভঙ্গিমা ডান্স থিয়েটার সৈয়দা সায়লা আহমেদ লিমার পরিচালনায় মঞ্চে আনে ‘বাংলাদেশ আমার বাংলাদেশ’।

সাধনা উপমহাদেশীয় সংস্কৃতি প্রসার কেন্দ্র লুবনা মারিয়ামের পরিচালনায় মঞ্চস্থ করে তাদের পরিবেশনা ‘মহানন্দা ৭১’, আমানুল হকের পরিচালনায় বাংলাদেশ ব্যালে ট্রুপ মঞ্চস্থ করে ‘হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালী’, র‌্যাচেল প্রিয়াংকা প্যারিসের পরিচালনায় বাংলাদেশ গৌড়ীয় নৃত্য একাডেমি পরিবেশন করে ‘দিগম্বর দুত্যি’ শীর্ষক নৃত্য পরিবেশনা, অমিত চৌধুরীর পরিচালনায় কায়া আশ্রম পরিবেশন করে ‘অন্তর্দেশ’। সিলেটের নীলাঞ্জনা যুঁইয়ের পরিচালনায় সিলেটের নৃত্যশৈলী উপস্থাপন করে চা বাগানের গল্পময় ‘মালনীছড়া’।

এছাড়াও এদিন আবু নাঈম, সাহিদা রহমান সুযরভী, সাইফুল ইসলাম ইভান, এম আর ওয়াসেক ও মো. মোফাসসাল হোসেনের পরিচালনায় নৃত্য পরিবেশন করে নাঈম খান ডান্স কোম্পানি, বহ্নিশিখা, ইভান’স ড্যান্সপিরেশন, নন্দন কলা কেন্দ্র ও অ্যালিফিয়া স্কোয়াডের নৃত্যশিল্পীরা। প্রতিদিন বিকাল চারটা থেকে শুরু হবে অনুষ্ঠান।

বিএনপি নেতা দস্তগীর চৌধুরীর মৃত্যুবার্ষিকীতে দোয়া মাহফিল 

তরুণ প্রজন্মের নৃত্যে বঙ্গবন্ধু ও দেশপ্রেম

প্রকাশের সময় : ০৭:১৯:০৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ জানুয়ারী ২০২২

ঢাকা ব্যুরো।। দেশের তরুণ প্রজন্মের নৃত্য শিল্পীদের পরিবেশনায় বাংলাদেশের নৃত্যধারার নতুন দিগন্ত প্রকাশ পেল গতকাল। শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে রাজধানীতে বসেছে তিন দিনের নৃত্য উৎসব। সেখানে দেশের ২৫টি জেলার ৭৫টি নৃত্য সংগঠন নতুন পরিবেশনা নিয়ে উপস্থিত হয়েছে। এ উৎসবে দেশের এক হাজার নৃত্য শিল্পীর সমাবেশ ঘটেছে। মুজিব শতবর্ষ ও স্বাধীনতা সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে শিল্পকলা একাডেমির ‘ডান্স এগেইনস্ট করোনা’ শীর্ষক কর্মসূচির অংশ হিসেবে এ উৎসব আয়োজন করা হয়েছে।

নৃত্যগুরুরা বলছেন, এ আয়োজনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের তরুণ প্রতিভাবান নৃত্য পরিচালকদের কাজ করার সুযোগ দেয়া হয়েছে। যার মধ্য দিয়ে দেশের সামগ্রিক নৃত্য ধারার একটি ধারনা পাওয়া যাবে। দেশের নানা প্রান্তে শিল্পীরা কেমন কাজ করছেন তা জানার সুযোগ যেমন সৃষ্টি হবে। তেমনি বিভিন্ন অঞ্চলের শিল্পীরা দেশের অন্যান্য অংশে কেমন কাজ তা দেখারও সুযোগ পাবেন।

গতকাল বেলুন উড়িয়ে উৎসবের উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, বিশেষ অতিথি ছিলেন নৃত্য শিল্পী সংস্থার সভাপতি মিনু হক। শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকীর সভাপতিত্বে এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন একাডেমির সচিব মো. আছাদুজ্জামান।

লিয়াকত আলী লাকী বলেন, নৃত্য শিল্পের বিকাশে সব সময় বাঁধা এসেছে। কিন্তু শিল্পী সমাজ সে বাধাকে মোকাবেলা করে এ শিল্পকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। তিনি জানান, এর আগে নৃত্য উৎসবে এক হাজারের বেশি শিল্পীর সমাবেশ কখনোই হয়নি। সে বিচারে এটাই দেশের সবচেয়ে বড় নৃত্য উৎসব হতে যাচ্ছে। এ উৎসব স্বানামধন্য নৃত্য পরিচালকসহ তরুণ প্রতিভাবান নৃত্য পরিচালকদের কাজ করার সুযোগ দেয়া হয়েছে।

মিনু হক বলেন, নৃত্যশিল্পীদের জন্য এ আয়োজন সম্মানের এবং অস্তিত্ব রক্ষার। এ উৎসব আয়োজনের মধ্য দিয়ে অনেক শিল্পী ও নৃত্য পরিচালকরা নতুন নতুন কাজ নিয়ে উঠে আসবে।

নৃত্য উৎসবের উদ্বোধনী নৃত্য পরিবেশনা নিয়ে আসে নৃত্য সংগঠন ভাবনা। নৃত্য পরিচালক সামিনা হোসেন প্রেমার পরিচালনার শিল্পীরা ‘উদয়াচলের পথে’ শীর্ষক পরিবেশনায় বঙ্গবন্ধুল অবদান ও মুক্তিযুদ্ধের প্রেরণা নতুন আঙ্গিকে উপস্থাপন করেন শিল্পীরা। এরপর ময়মনসিংহের দল নৃত্যগ্রাম মানস তালুকদারের পরিচালনায় পরিবেশন করে ‘স্বাধীনতার অনুগল্প’, বেনুকা ললিতকলা কেন্দ্র মো. গোলাম মোস্তফা খানের পরিচালনায় ‘চেতনায় বঙ্গবন্ধু’ শীর্ষক নৃত্য পরিবেশনা নিয়ে মঞ্চে আসে। মৌলভীবাজারের মনিপুরি থিয়েটার জ্যোতি সিনহার পরিচালনায় মঞ্চস্থ করে ‘রক্তবলাকা’। ভঙ্গিমা ডান্স থিয়েটার সৈয়দা সায়লা আহমেদ লিমার পরিচালনায় মঞ্চে আনে ‘বাংলাদেশ আমার বাংলাদেশ’।

সাধনা উপমহাদেশীয় সংস্কৃতি প্রসার কেন্দ্র লুবনা মারিয়ামের পরিচালনায় মঞ্চস্থ করে তাদের পরিবেশনা ‘মহানন্দা ৭১’, আমানুল হকের পরিচালনায় বাংলাদেশ ব্যালে ট্রুপ মঞ্চস্থ করে ‘হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালী’, র‌্যাচেল প্রিয়াংকা প্যারিসের পরিচালনায় বাংলাদেশ গৌড়ীয় নৃত্য একাডেমি পরিবেশন করে ‘দিগম্বর দুত্যি’ শীর্ষক নৃত্য পরিবেশনা, অমিত চৌধুরীর পরিচালনায় কায়া আশ্রম পরিবেশন করে ‘অন্তর্দেশ’। সিলেটের নীলাঞ্জনা যুঁইয়ের পরিচালনায় সিলেটের নৃত্যশৈলী উপস্থাপন করে চা বাগানের গল্পময় ‘মালনীছড়া’।

এছাড়াও এদিন আবু নাঈম, সাহিদা রহমান সুযরভী, সাইফুল ইসলাম ইভান, এম আর ওয়াসেক ও মো. মোফাসসাল হোসেনের পরিচালনায় নৃত্য পরিবেশন করে নাঈম খান ডান্স কোম্পানি, বহ্নিশিখা, ইভান’স ড্যান্সপিরেশন, নন্দন কলা কেন্দ্র ও অ্যালিফিয়া স্কোয়াডের নৃত্যশিল্পীরা। প্রতিদিন বিকাল চারটা থেকে শুরু হবে অনুষ্ঠান।