সাজ্জাদ হোসেন হৃদয় – কিশোরগঞ্জ।।
কিশোরগঞ্জে চিহ্নিত ভূমিদস্যু ও চাঁদাবাজদের হামলায় জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাসহ ওয়ালিনেওয়াজ খান কলেজের সহযোগী অধ্যাপক আহত হয়েছেন। রোববার দুপুর ১২টায় পৌর শহরের সতাল ময়দার মিল এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটেছে। চাঁদাবাজদের হামলায় আহত কলেজের সহযোগী অধ্যাপক মেহেদী মাসুদ খান এবং জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা সজীব ভূঁইয়া বর্তমানে কিশোরগঞ্জ আধুনিক সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
স্থানীয়রা জানান, শহরের সতাল ময়দার মিল এলাকায় ক্রয়কৃত জায়গায় সম্প্রতি কলেজের সহযোগী অধ্যাপক মেহেদী মাসুদ ও তার শ্যালক জেলা স্বেচ্ছাসেবক নেতা সজীব ভূঁইয়া যৌথভাবে বসবাসের জন্য বাড়ি নির্মাণের কাজ শুরু করেন। নির্মাণকাজের প্রথমদিনেই এলাকার চিহ্নিত ভূমিদস্যু জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি হাজী খোকন বিপুল অংকের টাকা চাঁদা দাবি করলে সহযোগী অধ্যাপক মেহেদী হাসান চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানান। এরপর থেকেই নানা অজুহাতে নির্মাণকাজে এসে বাধা দিতে থাকেন হাজী খোকন। রোববার দুপুরে সহযোগী অধ্যাপক মেহেদী হাসানসহ তার শ্যালক সজীব ভূঁইয়া নির্মাণকাজ দেখতে গেলে যুবদল নেতা হাজী খোকনের নেতৃত্বে ১০/১২ জন দেশীয় অস্ত্র ও লাঠিসোটা নিয়ে তাদের ওপর অতর্কিত হামলা করেন। পরে এলাকাবাসী গুরুতর আহত অবস্থায় সহযোগী অধ্যাপক মেহেদীসহ তার শ্যালক সজীবকে উদ্ধার করে জেলার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।
এ ব্যাপারে আহত খান কলেজের সহযোগী অধ্যাপক মেহেদী হাসান খান জানান, শহরের সতাল এলাকায় এ জায়গাটি ক্রয় করেছি ২০ বছর হল। সম্প্রতি এখানে বাসার নির্মাণকাজ শুরু করলে যুবদল নেতা মো. হাজী খোকন বিপুল অংকের টাকা চাঁদা দাবি করেন। আমি চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তিনি নানাভাবে আমাকে হয়রানি করতে থাকেন। রোববার দুপুরে আমার শ্যালক সজীবকে নিয়ে নির্মাণকাজ দেখতে গেলে যুবদল নেতা হাজী খোকনের নেতৃত্বে ১০/১২ জন দেশীয় অস্ত্র এবং লাঠিসোটা নিয়ে আমাদের ওপর হামলা করে। স্থানীয়রা এসে আমাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন।
এ বিষয়ে কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মাদ দাউদ বলেন, এ বিষয়ে কোন অভিযোগ এখন পর্যন্ত পাইনি। অভিযোগ পাওয়া গেলে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান তিনি।