শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

যে ৭ দেশে করোনা ঢুকতে পারেনি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক ।।
করোনার দাপটে সারা পৃথিবীর অবস্থা নাজুক। কোটি কোটি মানুষ এই রোগটিতে আক্রান্ত হয়েছেন। ওমিক্রনের ফলে ফের বহু দেশে বাড়তে শুরু করেছে সংক্রমণ। এমনকি সেই তালিকায় একেবারে ওপরের দিকে জ্বলজ্বল করছে শক্তিশালী দেশগুলোর নাম।

তবে পৃথিবীতে এমন কিছুও দেশ রয়েছে যাদের অবস্থা করোনার আওতার বাইরে। উন্নত দেশকেও করোনা পরিস্থিতির নিরিখে হার মানাবে এই দেশগুলো। এক্ষেত্রে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) এমনই কয়েকটি দেশের নাম জানাচ্ছে যেখানে ২০১৯ সালে মহামারি শুরুর পর থেকে এখনো একজন মানুষও করোনা আক্রান্ত হয়নি। আসুন সেই দেশগুলো সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক-

১. তুর্কমেনিস্তান

এশিয়া মহাদেশের মাঝ বরাবর এই দেশের অবস্থান। এক্ষেত্রে করোনার শুরু সময় থেকেই এই দেশ ছিল অত্যন্ত সচেতন। তারা নিজেদের দেশের সীমানা আটকে দিয়েছিল। এক্ষেত্রে দেশের নাগরিকরা যারা বিদেশ থেকে ফিরছেন তাদের সঙ্গে থাকতে হবে কোভিড নেগেটিভ রিপোর্ট। তবেই ফেরা যাবে দেশে। এ ছাড়া এই দেশে টিকাকরণও চলছে জোরকদমে। দেশের ১৮ বয়সের বেশি সব মানুষ ইতিমধ্যেই পেয়েছেন টিকা।

২. কুক আইল্যান্ড

দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরের দিকে এই দ্বীপ রাষ্ট্রটি রয়েছে। নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে এই রাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। স্কুবা ডাইভিংয়ের জন্য এই দ্বীপটিকে সবাই চেনেন। এই ছোট্ট দ্বীপটি করোনার শুরুর সময় থেকে বিদেশি নাগরিকদের জন্য বন্ধ ছিল। তবে এখন সেই নিউজিল্যান্ডের অধিবাসীদের জন্য খোলা হয়েছে এই দ্বীপের দরজা।

৩. উত্তর কোরিয়া

এই বড় নামের ছোট সংস্করণ হলো উত্তর কোরিয়া। করোনার শুরুর সময় থেকেই এই দেশ থেকে কাউকে বেরতে বা ঢুকতে দেওয়া হয়নি। তারা বাইরের বিশ্ব থেকে খাবার ও অন্যান্য সামগ্রী আমদানি বন্ধ রেখেছেন। এমনকি বাইরের দেশ থেকে টিকা আমদানিও করতে চায়নি এই দেশটি। এই দেশটিরও দাবি, তাদের দেশে একজনও কোভিড আক্রান্ত হননি।

৪. টোকেলৌ

হাওয়াই ও নিউজিল্যান্ডের মাঝে রয়েছে এই দ্বীপ। এই দ্বীপ অন্যের ওপর নির্ভরশীল। সেক্ষেত্রে ঘোরার জায়গা হিসেবে এই দ্বীপটির বিশেষ কদর রয়েছে। তবে বর্তমানে কিছু ক্ষেত্রে সেখানে রয়েছে বিধিনিষেধ। এখানকার প্রায় ৭০ শতাংশ মানুষ দুটি টিকাই নিয়ে ফেলেছেন।

৫. কিরিবাটি

এই দ্বীপটির আক্ষরিক নাম রিপালিক অব কিরিবাটি। প্রশান্ত মহাসাগরের মধ্য অংশে এই দ্বীপ অবস্থিত। করোনার শুরুর সময় থেকেই এই দ্বীপ নিজেদের সীমানা বন্ধ রেখেছিল। তবে এখানে ভ্যাকসিনের অবস্থা খুবই খারাপ। ১ দশমিক ২ লাখ অধিবাসীদের মধ্যে মাত্র ১১ হাজার ৬৮৬ জন টিকা পেয়েছেন।

৬. নাউরু

অস্ট্রেলিয়ার উত্তরপূর্বের মাইক্রেনেশিয়ায় নাউরু অবস্থিত। এটি একটি ছোট দ্বীপ রাষ্ট। ২০২১-এ নাউরু জানায় তাদের দেশের ১০০ শতাংশ মানুষের টিকা সম্পূর্ণ হয়েছে। এক্ষেত্রে তাদের দেশের মোট জনসংখ্যা হল ১০ হাজার ৮৩৪। এক্ষেত্রে এই দেশটি ফের বাইরের মানুষের জন্য দরজা খুলেছে। তবে সেদেশে যেতে গেলে আপনার দুটি টিকা নেওয়া থাকতে হবে।

৭. টুভালু

দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসগরে অবস্থিত এই দ্বীপ রাষ্ট্রটি ব্রিটিশ কমনওয়েলথের অংশ। এই দেশটি করোনার কারণে নিজের সীমানা বন্ধ রেখেছিল। এই দেশেও শুরু হয়েছে টিকাকরণ। সূত্র: এই সময়। 

যে ৭ দেশে করোনা ঢুকতে পারেনি

প্রকাশের সময় : ১২:১১:৩০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২২
আন্তর্জাতিক ডেস্ক ।।
করোনার দাপটে সারা পৃথিবীর অবস্থা নাজুক। কোটি কোটি মানুষ এই রোগটিতে আক্রান্ত হয়েছেন। ওমিক্রনের ফলে ফের বহু দেশে বাড়তে শুরু করেছে সংক্রমণ। এমনকি সেই তালিকায় একেবারে ওপরের দিকে জ্বলজ্বল করছে শক্তিশালী দেশগুলোর নাম।

তবে পৃথিবীতে এমন কিছুও দেশ রয়েছে যাদের অবস্থা করোনার আওতার বাইরে। উন্নত দেশকেও করোনা পরিস্থিতির নিরিখে হার মানাবে এই দেশগুলো। এক্ষেত্রে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) এমনই কয়েকটি দেশের নাম জানাচ্ছে যেখানে ২০১৯ সালে মহামারি শুরুর পর থেকে এখনো একজন মানুষও করোনা আক্রান্ত হয়নি। আসুন সেই দেশগুলো সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক-

১. তুর্কমেনিস্তান

এশিয়া মহাদেশের মাঝ বরাবর এই দেশের অবস্থান। এক্ষেত্রে করোনার শুরু সময় থেকেই এই দেশ ছিল অত্যন্ত সচেতন। তারা নিজেদের দেশের সীমানা আটকে দিয়েছিল। এক্ষেত্রে দেশের নাগরিকরা যারা বিদেশ থেকে ফিরছেন তাদের সঙ্গে থাকতে হবে কোভিড নেগেটিভ রিপোর্ট। তবেই ফেরা যাবে দেশে। এ ছাড়া এই দেশে টিকাকরণও চলছে জোরকদমে। দেশের ১৮ বয়সের বেশি সব মানুষ ইতিমধ্যেই পেয়েছেন টিকা।

২. কুক আইল্যান্ড

দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরের দিকে এই দ্বীপ রাষ্ট্রটি রয়েছে। নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে এই রাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। স্কুবা ডাইভিংয়ের জন্য এই দ্বীপটিকে সবাই চেনেন। এই ছোট্ট দ্বীপটি করোনার শুরুর সময় থেকে বিদেশি নাগরিকদের জন্য বন্ধ ছিল। তবে এখন সেই নিউজিল্যান্ডের অধিবাসীদের জন্য খোলা হয়েছে এই দ্বীপের দরজা।

৩. উত্তর কোরিয়া

এই বড় নামের ছোট সংস্করণ হলো উত্তর কোরিয়া। করোনার শুরুর সময় থেকেই এই দেশ থেকে কাউকে বেরতে বা ঢুকতে দেওয়া হয়নি। তারা বাইরের বিশ্ব থেকে খাবার ও অন্যান্য সামগ্রী আমদানি বন্ধ রেখেছেন। এমনকি বাইরের দেশ থেকে টিকা আমদানিও করতে চায়নি এই দেশটি। এই দেশটিরও দাবি, তাদের দেশে একজনও কোভিড আক্রান্ত হননি।

৪. টোকেলৌ

হাওয়াই ও নিউজিল্যান্ডের মাঝে রয়েছে এই দ্বীপ। এই দ্বীপ অন্যের ওপর নির্ভরশীল। সেক্ষেত্রে ঘোরার জায়গা হিসেবে এই দ্বীপটির বিশেষ কদর রয়েছে। তবে বর্তমানে কিছু ক্ষেত্রে সেখানে রয়েছে বিধিনিষেধ। এখানকার প্রায় ৭০ শতাংশ মানুষ দুটি টিকাই নিয়ে ফেলেছেন।

৫. কিরিবাটি

এই দ্বীপটির আক্ষরিক নাম রিপালিক অব কিরিবাটি। প্রশান্ত মহাসাগরের মধ্য অংশে এই দ্বীপ অবস্থিত। করোনার শুরুর সময় থেকেই এই দ্বীপ নিজেদের সীমানা বন্ধ রেখেছিল। তবে এখানে ভ্যাকসিনের অবস্থা খুবই খারাপ। ১ দশমিক ২ লাখ অধিবাসীদের মধ্যে মাত্র ১১ হাজার ৬৮৬ জন টিকা পেয়েছেন।

৬. নাউরু

অস্ট্রেলিয়ার উত্তরপূর্বের মাইক্রেনেশিয়ায় নাউরু অবস্থিত। এটি একটি ছোট দ্বীপ রাষ্ট। ২০২১-এ নাউরু জানায় তাদের দেশের ১০০ শতাংশ মানুষের টিকা সম্পূর্ণ হয়েছে। এক্ষেত্রে তাদের দেশের মোট জনসংখ্যা হল ১০ হাজার ৮৩৪। এক্ষেত্রে এই দেশটি ফের বাইরের মানুষের জন্য দরজা খুলেছে। তবে সেদেশে যেতে গেলে আপনার দুটি টিকা নেওয়া থাকতে হবে।

৭. টুভালু

দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসগরে অবস্থিত এই দ্বীপ রাষ্ট্রটি ব্রিটিশ কমনওয়েলথের অংশ। এই দেশটি করোনার কারণে নিজের সীমানা বন্ধ রেখেছিল। এই দেশেও শুরু হয়েছে টিকাকরণ। সূত্র: এই সময়।