শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

সিংগাইরে অজ্ঞাত নারী হত্যার রহস্য উন্মোচন

মানিকগঞ্জের সিংগাইর অজ্ঞাত নারীর মৃতদেহের রহস্য উন্মোচন হয়েছে। নিহত ওই নারীর নাম মারজিয়া আক্তার ওরফে আইরিন (৩০)। তিনি সিঙ্গাইর উপজেলার চারিগ্রাম ইউনিয়নের মালিপাড়ায়র মৃত মোশারফ হোসেনের মেয়ে। তাকে হত্যাকাণ্ডে জড়িত স্বামী-স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গত ১৪ জানুয়ারি দুপুর দেড়টার দিকে মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার চান্দহর ইউনিয়নের ওয়াইজনগর চকবাড়ী বিলের থেকে অজ্ঞাত নারীর (৩০) গলাকাটা মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে থানায় অজ্ঞাতনামা দুষ্কৃতকারীদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়।
মৃতদেহের সঙ্গে থাকা একটি রশিদের সূত্র ধরে তদন্তে নামে পুলিশ। এরপর তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও থেকে লাশ উদ্ধারের ১৩ দিন পর হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে মাসুদ (৩৮) ও তার স্ত্রী রেখা আক্তারকে (৩১) গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত মাসুদ মুন্সিগঞ্জ জেলার সিরাজদিখান উপজেলার তেঘুরিয়া গ্রামের শেখ সিদ্দিকের ছেলে।
বৃহস্পতিবার পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছে আসামিরা। তারা বলেছে, নিহত ওই নারীর সঙ্গে মিরপুরে ভাড়া বাসায় সাবলেট থাকা অবস্থায় তাদের পরিচয়। সে একাই ঢাকায় থাকতো। এ সুযোগে তার স্বর্ণালঙ্কার হাতিয়ে নেয়ার উদ্দেশ্যে তাকে প্রথমে গলায় গামছা পেচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। এরপর ধারালো ছুরি দিয়ে জবাই করা হয়। পরবর্তীতে লাশ গুমের উদ্দেশ্যে মৃতদেহ বস্তাবন্দী করে ফেলে দেয়া হয়।
নিহত মারজিয়ার বড় বোন লিপি আক্তার (৪০) বলেন, মারজিয়া আক্তার ৬-৭ বছর আগে স্বামীর সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ করে। এরপর ডেন্টাল হাসপাতালে কাজ শেখার উদ্দেশ্যে ঢাকায় চলে আসেন। ঘটনার পর থেকে বোনের কোন খোঁজখবর না পেয়ে অবশেষে পুলিশের কাছ থেকে তার পোশাক ও ছবি দেখে মারজিয়ার লাশ শনাক্ত করি। আমি আমার বোনের খুনীর ফাঁসি চাই।
এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই হালিম বলেন, হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত চাকু উদ্ধার করা হযেছে। এছাড়া, এ হত্যায় অন্য কোনো ক্লু আছে কিনা সেটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
নজরুল/বার্তাকণ্ঠ

সিংগাইরে অজ্ঞাত নারী হত্যার রহস্য উন্মোচন

প্রকাশের সময় : ০৬:৩৯:২৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২২

মানিকগঞ্জের সিংগাইর অজ্ঞাত নারীর মৃতদেহের রহস্য উন্মোচন হয়েছে। নিহত ওই নারীর নাম মারজিয়া আক্তার ওরফে আইরিন (৩০)। তিনি সিঙ্গাইর উপজেলার চারিগ্রাম ইউনিয়নের মালিপাড়ায়র মৃত মোশারফ হোসেনের মেয়ে। তাকে হত্যাকাণ্ডে জড়িত স্বামী-স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গত ১৪ জানুয়ারি দুপুর দেড়টার দিকে মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার চান্দহর ইউনিয়নের ওয়াইজনগর চকবাড়ী বিলের থেকে অজ্ঞাত নারীর (৩০) গলাকাটা মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে থানায় অজ্ঞাতনামা দুষ্কৃতকারীদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়।
মৃতদেহের সঙ্গে থাকা একটি রশিদের সূত্র ধরে তদন্তে নামে পুলিশ। এরপর তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও থেকে লাশ উদ্ধারের ১৩ দিন পর হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে মাসুদ (৩৮) ও তার স্ত্রী রেখা আক্তারকে (৩১) গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত মাসুদ মুন্সিগঞ্জ জেলার সিরাজদিখান উপজেলার তেঘুরিয়া গ্রামের শেখ সিদ্দিকের ছেলে।
বৃহস্পতিবার পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছে আসামিরা। তারা বলেছে, নিহত ওই নারীর সঙ্গে মিরপুরে ভাড়া বাসায় সাবলেট থাকা অবস্থায় তাদের পরিচয়। সে একাই ঢাকায় থাকতো। এ সুযোগে তার স্বর্ণালঙ্কার হাতিয়ে নেয়ার উদ্দেশ্যে তাকে প্রথমে গলায় গামছা পেচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। এরপর ধারালো ছুরি দিয়ে জবাই করা হয়। পরবর্তীতে লাশ গুমের উদ্দেশ্যে মৃতদেহ বস্তাবন্দী করে ফেলে দেয়া হয়।
নিহত মারজিয়ার বড় বোন লিপি আক্তার (৪০) বলেন, মারজিয়া আক্তার ৬-৭ বছর আগে স্বামীর সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ করে। এরপর ডেন্টাল হাসপাতালে কাজ শেখার উদ্দেশ্যে ঢাকায় চলে আসেন। ঘটনার পর থেকে বোনের কোন খোঁজখবর না পেয়ে অবশেষে পুলিশের কাছ থেকে তার পোশাক ও ছবি দেখে মারজিয়ার লাশ শনাক্ত করি। আমি আমার বোনের খুনীর ফাঁসি চাই।
এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই হালিম বলেন, হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত চাকু উদ্ধার করা হযেছে। এছাড়া, এ হত্যায় অন্য কোনো ক্লু আছে কিনা সেটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
নজরুল/বার্তাকণ্ঠ