ইউক্রেনের পূর্ব সীমান্তে এক লাখের মতো রুশ সেনা মোতায়েন নিয়ে মস্কোর সঙ্গে ইউক্রেন, যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলোর উত্তেজনা চলছে। কিয়েভ ও পশ্চিমা দেশগুলোর আশঙ্কা, ইউক্রেনে সামরিক হস্তক্ষেপের পরিকল্পনা করছে মস্কো।
এমন অবস্থার মধ্যে রাশিয়ার মিত্র বেলারুশ নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করেছে। রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ বেধে গেলে বেলারুশও যুদ্ধে জড়িয়ে পড়বে। তারা রাশিয়ার পক্ষ নেবে।
শুক্রবার বেলারুশের প্রেসিডেন্ট অ্যালেকজান্ডার লুকাশেঙ্কো এমন মন্তব্য করেছেন।
পার্লামেন্টে লুকাশেঙ্কো বলেন, রাশিয়া সরাসরি আক্রমণের শিকার হলে তার দেশ মিত্র চুক্তির কাঠামোর মধ্যে রাশিয়াকে রক্ষা করতে সহায়তা করবে। এছাড়া তিনি বলেন, বেলারুশের জনগণ যুদ্ধ হবে কি না তা নিয়ে উদ্বিগ্ন।
বেলারুশের এই প্রেসিডেন্ট বলেন, দুই কারণে যুদ্ধ বাধতে পারে। প্রথমটি হচ্ছে বেলারুশের বিরুদ্ধে সরাসরি আক্রমণ চালালে। দ্বিতীয় কারণ হচ্ছে আমাদের মিত্র রাশিয়া আক্রমণের শিকার হলে।
লুকাশেঙ্কো বলেন, বেলারুশে রুশ সেনা মোতায়েন করা হবে কি না এই প্রশ্নে পশ্চিমারা ‘খুব আগ্রহী’। বেলারুশের বিরুদ্ধে হামলা হলে রুশ সেনারা বেলারুশে আসবে।
এদিকে ইউক্রেনে রাশিয়ার সম্ভাব্য সামরিক আগ্রাসন ঠেকাতে একটি সম্মিলিত কৌশল ঠিক করার লক্ষ্যে কাজ করছে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা শক্তিগুলো। এই পরিপ্রেক্ষিতে স্থানীয় সময় গত সোমবার ফ্রান্স, জার্মানি, যুক্তরাজ্যসহ ইউরোপের মিত্রদেশগুলোর নেতাদের সঙ্গে ভিডিও কলে কথা বলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
ন্যাটোর মহাসচিব স্টলটেনবার্গ বিবৃতি দিয়ে বলেন, এই সামরিক জোট তার মিত্রদের রক্ষায় সব ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ অব্যাহত রাখবে। ইউরোপের পূর্বাঞ্চলের মিত্রদের রক্ষায় সামরিক শক্তি বৃদ্ধির বিষয়টি এ পদক্ষেপের অন্তর্ভুক্ত। যেকোনো ধরনের হুমকি মোকাবিলায় তারা সর্বদা প্রস্তুত।