মঙ্গলবার, ০৬ জুন ২০২৩, ২২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

স্মার্টফোন কিনে না দেওয়ায় অভিমানে যুবকের আত্মহত্যা

জয়দেব চন্দ্র বর্মন।ফাইল ছবি

জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে পরিবারের কাছে স্মার্টফোন কিনে চেয়ে ফোন পেতে দেরি হওয়ায় অভিমানে আত্মহত্যা করেছেন জয়দেব চন্দ্র বর্মন (১৭) নামের এক যুবক।
নিহত জয়দেব উপজেলার তুলসীগঙ্গা ইউপি’র আটিগ্রামের সুদেব চন্দ্র বর্মন এর ছেলে।
জানা গেছে, উপজেলার আটিগ্রামের সুদেব বর্মন এর একমাত্র ছেলে জয়দেব বর্মন। গ্রাম সহ আশেপাশের সকল প্রতিবেশী বা আত্নীয় স্বজনের নিকট খুব ভালো ছেলে হিসেবে পরিচিত এই জয়দেব। সে এবার এস.এস.সি পরীক্ষা দিয়ে উত্তীর্ন হয়েছিলো। কিছুদিন আগে তার পরিবারের নিকট একটি স্মার্টফোন এর দাবি করে জয়দেব। পরিবারের লোকজন তাকে চলতি মৌসুমের আলু তুলে স্মার্টফোন নিয়ে দিবে বলে আশ্বাস দেন।
কিন্তু তার কাছে পরিবারের এমন প্রস্তাব হয়তো  মনমতো ছিলো না যার কারনে রাগে/ক্ষোভে গত ২৬ (জানুয়ারী) বুধবার সকাল আনুমানিক ১০.৩০ মিনিটের সময় জমিতে ব্যবহৃত কীটনাশক সেবন করেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে।
পরে পরিবারের সদস্য সহ স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ক্ষেতলাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে জয়পুরহাট সদর হাসপাতালে রেফার্ড করে। জয়পুরহাট সদরে গেলে তার শারিরীক অবস্থা বিবেচনায় উন্নত চিকিৎসার জন্য কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে বগুড়া শহীদ জিয়া মেডিক্যাল কলেজ ও হসপিটালে রেফার্ড করে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় (বৃহস্পতিবার) রাত আনুমানিক ৩.১৫ মিনিটের সময় সে ইন্তেকাল করে।
২৮ (জানুয়ারী) শুক্রবার নিহত জয়দেব এর লাশ নিজ গ্রামে আনা হয় এবং সৎকার কাজ সম্পন্ন  করা হয়।
এ ব্যপারে নিহতের বাবা সুদেব বর্মনের সাথে কথা বলতে গেলে, তিনি আমাদের সাথে কথা বলা অবস্থায় ওই পরিবারের কয়েকজন সদস্য মিলে তাকে আমাদের সামনে হতে সরিয়ে অন্যত্র নিয়ে যায়।
নিহতের মা বলেন, আমার ছেলে আমাদের কাছে একটি মোবাইল কিনে চেয়েছিলো আমরা বলেছিলাম যে আলু তুলে একটা নতুন মোবাইল কিনে দিবো এছাড়া অন্য কোন ঝামেলা ছিলো না। তার কাছে জয়দেব এর কোন মেয়ের সাথে সম্পর্ক ছিলো কি না এই বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার ছেলের কোন মেয়ের সাথে সম্পর্ক ছিলো না।
নিহত জয়দেব এর মাসি প্রজাপতি জানান, কারো সাথে কোন ঝামেলা ছিলো না শুধু বাড়ি থেকে একটি মোবাইল কিনে চেয়েছিলো এই মোবাইল মোবাইল করেই এসব হয়েছে।
এ বিষয়ে তুলসীগঙ্গা ইউপি সদস্য মোজাফফর হোসেন এর সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি জানান, আমি তার পরিবার সূত্রে যতোদূর জেনেছি পরিবারে কাছে একটি স্মার্টফোন চেয়েছিলো জয়দেব কিন্তু সেটা পেতে দেরি হওয়ায় অভিমানে সে জমিতে ব্যবহৃত কীটনাশক খেয়েছিলো আর চিকিৎসাধীন অবস্থায়  আজ বগুড়া মারা গেছে।
স্থানীয়দের কাছে এ ব্যপারে জানতে চাইলে তারা বলেন, জয়দেব এর কারো সাথে কোন ঝামেলা ছিলো না সে খুব ভালো ছেলে ছিলো।  কিন্তু কেন কি বিষয়ে  সে বিশ খেয়েছে সেই ব্যপারে আমরা কেউ বলতে পারছি না। এটা তাদের একান্ত  পারিবারিক ব্যপার। তবে জয়দেব এর এই অকাল মৃত্যুতে তার পরিবার সহ এলাকাবাসীর মধ্যে শোকের ছায়া বিরাজ করছে।
ক্ষেতলাল থানা অফিসার ইনচার্জ নিরেন্দ্রনাথ মন্ডল সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি জানান, বগুড়ায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গিয়েছে এই ব্যপারে আমাদের থানায় কোন তথ্য নেই তবে আমরা বিষয়টি অবগত আছি।
নজরুল/বার্তাকণ্ঠ

স্মার্টফোন কিনে না দেওয়ায় অভিমানে যুবকের আত্মহত্যা

প্রকাশের সময় : ১০:১৭:৪৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২২
জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে পরিবারের কাছে স্মার্টফোন কিনে চেয়ে ফোন পেতে দেরি হওয়ায় অভিমানে আত্মহত্যা করেছেন জয়দেব চন্দ্র বর্মন (১৭) নামের এক যুবক।
নিহত জয়দেব উপজেলার তুলসীগঙ্গা ইউপি’র আটিগ্রামের সুদেব চন্দ্র বর্মন এর ছেলে।
জানা গেছে, উপজেলার আটিগ্রামের সুদেব বর্মন এর একমাত্র ছেলে জয়দেব বর্মন। গ্রাম সহ আশেপাশের সকল প্রতিবেশী বা আত্নীয় স্বজনের নিকট খুব ভালো ছেলে হিসেবে পরিচিত এই জয়দেব। সে এবার এস.এস.সি পরীক্ষা দিয়ে উত্তীর্ন হয়েছিলো। কিছুদিন আগে তার পরিবারের নিকট একটি স্মার্টফোন এর দাবি করে জয়দেব। পরিবারের লোকজন তাকে চলতি মৌসুমের আলু তুলে স্মার্টফোন নিয়ে দিবে বলে আশ্বাস দেন।
কিন্তু তার কাছে পরিবারের এমন প্রস্তাব হয়তো  মনমতো ছিলো না যার কারনে রাগে/ক্ষোভে গত ২৬ (জানুয়ারী) বুধবার সকাল আনুমানিক ১০.৩০ মিনিটের সময় জমিতে ব্যবহৃত কীটনাশক সেবন করেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে।
পরে পরিবারের সদস্য সহ স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ক্ষেতলাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে জয়পুরহাট সদর হাসপাতালে রেফার্ড করে। জয়পুরহাট সদরে গেলে তার শারিরীক অবস্থা বিবেচনায় উন্নত চিকিৎসার জন্য কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে বগুড়া শহীদ জিয়া মেডিক্যাল কলেজ ও হসপিটালে রেফার্ড করে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় (বৃহস্পতিবার) রাত আনুমানিক ৩.১৫ মিনিটের সময় সে ইন্তেকাল করে।
২৮ (জানুয়ারী) শুক্রবার নিহত জয়দেব এর লাশ নিজ গ্রামে আনা হয় এবং সৎকার কাজ সম্পন্ন  করা হয়।
এ ব্যপারে নিহতের বাবা সুদেব বর্মনের সাথে কথা বলতে গেলে, তিনি আমাদের সাথে কথা বলা অবস্থায় ওই পরিবারের কয়েকজন সদস্য মিলে তাকে আমাদের সামনে হতে সরিয়ে অন্যত্র নিয়ে যায়।
নিহতের মা বলেন, আমার ছেলে আমাদের কাছে একটি মোবাইল কিনে চেয়েছিলো আমরা বলেছিলাম যে আলু তুলে একটা নতুন মোবাইল কিনে দিবো এছাড়া অন্য কোন ঝামেলা ছিলো না। তার কাছে জয়দেব এর কোন মেয়ের সাথে সম্পর্ক ছিলো কি না এই বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার ছেলের কোন মেয়ের সাথে সম্পর্ক ছিলো না।
নিহত জয়দেব এর মাসি প্রজাপতি জানান, কারো সাথে কোন ঝামেলা ছিলো না শুধু বাড়ি থেকে একটি মোবাইল কিনে চেয়েছিলো এই মোবাইল মোবাইল করেই এসব হয়েছে।
এ বিষয়ে তুলসীগঙ্গা ইউপি সদস্য মোজাফফর হোসেন এর সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি জানান, আমি তার পরিবার সূত্রে যতোদূর জেনেছি পরিবারে কাছে একটি স্মার্টফোন চেয়েছিলো জয়দেব কিন্তু সেটা পেতে দেরি হওয়ায় অভিমানে সে জমিতে ব্যবহৃত কীটনাশক খেয়েছিলো আর চিকিৎসাধীন অবস্থায়  আজ বগুড়া মারা গেছে।
স্থানীয়দের কাছে এ ব্যপারে জানতে চাইলে তারা বলেন, জয়দেব এর কারো সাথে কোন ঝামেলা ছিলো না সে খুব ভালো ছেলে ছিলো।  কিন্তু কেন কি বিষয়ে  সে বিশ খেয়েছে সেই ব্যপারে আমরা কেউ বলতে পারছি না। এটা তাদের একান্ত  পারিবারিক ব্যপার। তবে জয়দেব এর এই অকাল মৃত্যুতে তার পরিবার সহ এলাকাবাসীর মধ্যে শোকের ছায়া বিরাজ করছে।
ক্ষেতলাল থানা অফিসার ইনচার্জ নিরেন্দ্রনাথ মন্ডল সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি জানান, বগুড়ায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গিয়েছে এই ব্যপারে আমাদের থানায় কোন তথ্য নেই তবে আমরা বিষয়টি অবগত আছি।
নজরুল/বার্তাকণ্ঠ