
দক্ষিণ-পূর্ব ব্রাজিলের পাহাড়ি গ্রাম নোইভা ডো কোরডোইরো। এ গ্রামে নারীদেরই আধিক্য বেশি। ৬০০-এর বেশি নারী থাকেন ওই গ্রামে। যে কয়েক জন নারী বিয়ে করেছেন তারা নিজেদের গ্রাম ছেড়ে কখনও যাননি। ফলে স্বামীকে ছাড়াই থাকতে হয়।
সপ্তাহ শেষে দুই দিনের জন্য স্বামীরা গ্রামে আসেন। তা ছাড়া ছেলেদের ১৮ বছর বয়স হলেই বাইরে পাঠিয়ে দেয়া হয়। ফলে ক্রমে পুরুষশূন্য হয়ে পড়েছে গ্রামটি।
এই গ্রামের সব নারী এবং তরুণী খুবই সুন্দরী। কিন্তু তা সত্ত্বেও জীবনসঙ্গীর অভাব কেন?
জানা গেছে, এই গ্রামের একটি রীতি রয়েছে, বিয়ের পর কোনও মেয়ে গ্রাম ছেড়ে যাবেন না। স্বামীকেই ওই গ্রামে তার স্ত্রীর সঙ্গে থাকতে হবে। ফলে এটা একটা বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে ওই গ্রামের তরুণীদের জন্য।
সুন্দরী এবং বিবাহযোগ্যা হলেও মেয়েরা সঙ্গী খুঁজে পাচ্ছেন না। গ্রামেই স্ত্রীর সঙ্গে থাকতে হবে বলে আশপাশের এলাকার কোনও পুরুষই ওই গ্রামে বিয়ে করতে চান না। ফলে বিবাহযোগ্যা হয়েও মেয়েদের অবিবাহিত থাকতে হচ্ছে স্রেফ ওই কারণের জন্য।
এর পেছনেও একটি কাহিনি রয়েছে। জানা যায়, ১৮৯০ সালে মারিয়া সেনহোরিনা ডি লিমা নামে একটি মেয়েকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে বিয়ে দেয়া হয়।
এর পরই তিনি শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে নোইভা ডো কোরডোইরোতে এলাকায় চলে আসেন। ১৮৯১ সালে তিনি এখানে একটি গ্রাম গড়ে তোলেন। আর তখন থেকেই স্থির হয় এই গ্রামের কোনও মেয়ে বিয়ের পর শ্বশুরবাড়ি যাবে না।
স্বামীকেই স্ত্রীর সঙ্গে থাকতে হবে। গ্রামের এই অদ্ভুত রীতির কারণেই অবিবাহিত থাকতে হচ্ছে নারীদের।
সূত্র: আনন্দবাজার অনলাইন
সম্পাদক ও প্রকাশক: মহসিন মিলন
সম্পাদকীয় পরিষদ
সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি: নুরুজ্জামান লিটন, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: রোকনুজ্জামান রিপন, নির্বাহী সম্পাদক: আব্দুল লতিফ, যুগ্ন নির্বাহী সম্পাদক: আলহাজ্ব মতিয়ার রহমান, সহকারী সম্পাদক: সাজ্জাদুল ইসলাম সৌরভ, মামুন বাবু, বার্তা সম্পাদক: নজরুল ইসলাম
সম্পাদকীয় কার্যালয়
বার্তা ও বানিজ্যক কার্যালয়: গাজীপুর আবাসিক এলাকা, বেনাপোল, যশোর। ইমেইল: mohsin.milon@gmail.com, bartakontho@gmail.com ফোন: ৭৫২৮৯, ৭৫৬৯৫ মোবা: ০১৭১১৮২০৩৯৪
All Rights Reserved © Barta Kontho