শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের ম্যাচ চলাকালে হঠাৎ ভূমিকম্প

সংগৃহীত

 অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের ম্যাচ চলছে ওয়েস্ট ইন্ডিজে। প্লেট সেমিফাইনালে আয়ারল্যান্ডের ও জিম্বাবুয়ের ম্যাচে হঠাৎ ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল ত্রিনিদাদের কুইন্স পার্ক ওভাল। তবে মজার বিষয় হচ্ছে মাঠে থাকা ক্রিকেটার বা আম্পায়ার কেউই বিষয়টি টের পাননি।

পূর্ব ক্যারিবিয়ানের ভূকম্পন গবেষণা কেন্দ্র ইউডব্লিউআই সাইসমিক রিসার্চ সেন্টারের মতে, এই ভূমিকম্প স্থানীয় সময় সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে ১০ কিলোমিটার গভীরে সংঘটিত হয়।

কুইন্স পার্ক ওভালে রোববার (৩০ জানুয়ারি) টসে জিতে ব্যাট করছিল জিম্বাবুয়ে। ১১ রান তুলতে ২ উইকেট হারিয়ে তাদের ইনিংসে কম্পন আগেই ধরে গেছে। এর মধ্যে ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারে বল করছিলেন আয়ার‌ল্যান্ডের বোলার হামাফ্রেয়েস। এমন সময় বড় ধরনের ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল ত্রিনিদাদের কুইন্স পার্ক ওভাল। পরে জানা গেল, ৫.২ মাত্রার সে ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল স্টেডিয়াম থেকে খুব কাছেই। তবে মজার বিষয় হচ্ছে মাঠে উপস্থিত থাকা আম্পায়ার বা ক্রিকেটার কেউই বিষয়টি টের পাননি। বরং ওই সময় দুই বল মোকাবিলা করে একটি বাউন্ডারি হাঁকান জিম্বাবুয়েন ব্যাটার বেননেট।

ভূমিকম্প যখন হচ্ছে, ম্যাচের সরাসরি সম্প্রচারে তখন দেখা যাচ্ছিল তীব্রভাবে কাঁপছে ক্যামেরার পর্দা। সে সময় ধারাভাষ্য কক্ষে থাকা অ্যান্ড্রু লিওনার্ড বলেন, ‘এর স্থায়িত্ব ছিল প্রায় ১৫ থেকে ২০ সেকেন্ড। তবে কখনোই মনে হয়নি যে মিডিয়া সেন্টারটা ভেঙে পড়বে। মনে হয়েছে এটা নিয়ন্ত্রণের বাইরে। সবকিছু নড়ছে, কিন্তু আপনি কিছুই নিয়ন্ত্রণ করতে পারছেন না। কেউ জানে না শেষে কী হবে! বিষয়টা কিছুটা ভয়েরই ছিল। ‘

অল্প কিছুক্ষণ পরেই খবর আসে, রিখটার স্কেলে ৫.২ মাত্রার ভূমিকম্প সংঘটিত হয়েছে। স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম লুপনিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘৫.২ মাত্রার একটি ভূমিকম্প শনিবার সকালে ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগোয় সংঘটিত হয়।

মাঝে অবশ্য সবকিছু শান্তই ছিল। কেউ বুঝতেই পারেননি কী ঘটে গেছে প্যাভিলিয়নে। খেলা শেষে আইরিশ ক্রিকেটার টিম টেক্টর ক্রিকবাজকে বলেন, ‘আমরা জানতামই না যে কিছু ঘটে গেছে। আমরা মাটিতে ছিলাম, সে কারণেই হয়তো আমরা কিছু বুঝতে পারিনি। ৫.২ মাত্রার ভূমিকম্প, অনেক বড় কিছু। তবে আমরা ম্যাচ চলার সময় মোটেও অনুভব করিনি সেটা। ‘

খেলোয়াড়রা কিছু না বুঝলেও মাঠের বাইরে থাকা সাপোর্ট স্টাফরা অবশ্য বুঝতে পেরেছিলেন ভূমিকম্পটা, পরিকল্পনা ছিল যে কোনো মুহূর্তে মাঠে ঢুকে যাওয়ারও। এমন ভূমিকম্পেও ম্যাচ চলছে, তা নিয়ে বিস্ময়ের শেষ ছিল না দুই দলের কোচিং স্টাফদের। ম্যাচটি অবশ্য ঠিকঠাকভাবে শেষ  হয়।আইরিশরা ৮ উইকেটের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে।

অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের ম্যাচ চলাকালে হঠাৎ ভূমিকম্প

প্রকাশের সময় : ১২:২১:১৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২২
 অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের ম্যাচ চলছে ওয়েস্ট ইন্ডিজে। প্লেট সেমিফাইনালে আয়ারল্যান্ডের ও জিম্বাবুয়ের ম্যাচে হঠাৎ ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল ত্রিনিদাদের কুইন্স পার্ক ওভাল। তবে মজার বিষয় হচ্ছে মাঠে থাকা ক্রিকেটার বা আম্পায়ার কেউই বিষয়টি টের পাননি।

পূর্ব ক্যারিবিয়ানের ভূকম্পন গবেষণা কেন্দ্র ইউডব্লিউআই সাইসমিক রিসার্চ সেন্টারের মতে, এই ভূমিকম্প স্থানীয় সময় সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে ১০ কিলোমিটার গভীরে সংঘটিত হয়।

কুইন্স পার্ক ওভালে রোববার (৩০ জানুয়ারি) টসে জিতে ব্যাট করছিল জিম্বাবুয়ে। ১১ রান তুলতে ২ উইকেট হারিয়ে তাদের ইনিংসে কম্পন আগেই ধরে গেছে। এর মধ্যে ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারে বল করছিলেন আয়ার‌ল্যান্ডের বোলার হামাফ্রেয়েস। এমন সময় বড় ধরনের ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল ত্রিনিদাদের কুইন্স পার্ক ওভাল। পরে জানা গেল, ৫.২ মাত্রার সে ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল স্টেডিয়াম থেকে খুব কাছেই। তবে মজার বিষয় হচ্ছে মাঠে উপস্থিত থাকা আম্পায়ার বা ক্রিকেটার কেউই বিষয়টি টের পাননি। বরং ওই সময় দুই বল মোকাবিলা করে একটি বাউন্ডারি হাঁকান জিম্বাবুয়েন ব্যাটার বেননেট।

ভূমিকম্প যখন হচ্ছে, ম্যাচের সরাসরি সম্প্রচারে তখন দেখা যাচ্ছিল তীব্রভাবে কাঁপছে ক্যামেরার পর্দা। সে সময় ধারাভাষ্য কক্ষে থাকা অ্যান্ড্রু লিওনার্ড বলেন, ‘এর স্থায়িত্ব ছিল প্রায় ১৫ থেকে ২০ সেকেন্ড। তবে কখনোই মনে হয়নি যে মিডিয়া সেন্টারটা ভেঙে পড়বে। মনে হয়েছে এটা নিয়ন্ত্রণের বাইরে। সবকিছু নড়ছে, কিন্তু আপনি কিছুই নিয়ন্ত্রণ করতে পারছেন না। কেউ জানে না শেষে কী হবে! বিষয়টা কিছুটা ভয়েরই ছিল। ‘

অল্প কিছুক্ষণ পরেই খবর আসে, রিখটার স্কেলে ৫.২ মাত্রার ভূমিকম্প সংঘটিত হয়েছে। স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম লুপনিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘৫.২ মাত্রার একটি ভূমিকম্প শনিবার সকালে ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগোয় সংঘটিত হয়।

মাঝে অবশ্য সবকিছু শান্তই ছিল। কেউ বুঝতেই পারেননি কী ঘটে গেছে প্যাভিলিয়নে। খেলা শেষে আইরিশ ক্রিকেটার টিম টেক্টর ক্রিকবাজকে বলেন, ‘আমরা জানতামই না যে কিছু ঘটে গেছে। আমরা মাটিতে ছিলাম, সে কারণেই হয়তো আমরা কিছু বুঝতে পারিনি। ৫.২ মাত্রার ভূমিকম্প, অনেক বড় কিছু। তবে আমরা ম্যাচ চলার সময় মোটেও অনুভব করিনি সেটা। ‘

খেলোয়াড়রা কিছু না বুঝলেও মাঠের বাইরে থাকা সাপোর্ট স্টাফরা অবশ্য বুঝতে পেরেছিলেন ভূমিকম্পটা, পরিকল্পনা ছিল যে কোনো মুহূর্তে মাঠে ঢুকে যাওয়ারও। এমন ভূমিকম্পেও ম্যাচ চলছে, তা নিয়ে বিস্ময়ের শেষ ছিল না দুই দলের কোচিং স্টাফদের। ম্যাচটি অবশ্য ঠিকঠাকভাবে শেষ  হয়।আইরিশরা ৮ উইকেটের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে।