মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

করোনার দীর্ঘদিন উপসর্গে ফুসফুসের ক্ষতি হয়: গবেষণা

সংগৃহীত ছবি

করোনাভাইরাসের সংক্রমণে শারীরিক ক্ষতির বিষয়ে নতুন তথ্য প্রকাশ করলেন বিজ্ঞানীরা। তারা বলছেন, করোনাভাইরাসের উপসর্গ দীর্ঘদিন ব্যক্তির শরীরে থাকলে তা ফুসফুসের ক্ষতি করছে। তবে এই ক্ষতি প্রচলিত পরীক্ষায় শনাক্ত হচ্ছে না।

বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ নিয়ে যুক্তরাজ্যে একটি প্রাথমিক গবেষণা হয়েছে।

গবেষকরা বলছেন, সাধারণ যেসব পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়, তাতে ফুসফুসের এই ক্ষতির বিষয়টি জানা যায় না। গবেষকরা এ জন্য জেনন গ্যাসের পরীক্ষা চালিয়েছেন।

এই গবেষণার জন্য ১১ জন করোনাজয়ীকে বেছে নেওয়া হয়েছিল। এই ব্যক্তিদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে যেতে হয়নি। তবে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর দীর্ঘদিন তারা শ্বাসকষ্টে ভুগেছেন। এ ছাড়া করোনায় আক্রান্ত হয়ে যারা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন কিন্তু দ্রুত সেরে উঠেছেন, এমন ১২ জনকে এবং পুরোপুরি সুস্থ ১৩ জনকেও এই গবেষণার জন্য বেছে নেওয়া হয়েছিল।

গবেষকরা জানিয়েছেন, এ নিয়ে বড় পরিসরে গবেষণা চলছে। প্রাথমিক গবেষণার বরাত দিয়ে তারা বলেছেন, দীর্ঘদিন করোনায় ভুগলে কেন শ্বাসকষ্টজনিত জটিলতা হচ্ছে, সে বিষয়টি সামনে এসেছে। যদিও শ্বাসকষ্ট-সংক্রান্ত জটিলতার পেছনে আরও অনেক ও জটিল কারণ রয়েছে।

এই গবেষণার জন্য ইউনিভার্সিটি অব শেফিল্ডের বিজ্ঞানীরা একটি নতুন পদ্ধতি ব্যবহার করেছেন। যাদের ওপর এই পর্যবেক্ষণ চালানো হয়েছে, তাদের জেনন গ্যাস দিয়ে শ্বাসের ব্যবস্থা করা হয়। বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই গ্যাস অক্সিজেনের মতোই আচরণ করে। কিন্তু এমআরআই স্ক্যানে এই গ্যাসের গতিবিধি ধরা পড়ে। ফলে এ থেকে বোঝা গেছে জেনন গ্যাস ফুসফুসের কোন কোন অংশে চলাচল করছে। এর মাধ্যমেই ফুসফুসের ক্ষতির বিষয়টি নির্ণয় করা সম্ভব হয়েছে।

জনপ্রিয়

ঈদ শেষে কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করেছে উত্তর বঙ্গের মানুষ

করোনার দীর্ঘদিন উপসর্গে ফুসফুসের ক্ষতি হয়: গবেষণা

প্রকাশের সময় : ০১:৩৫:৫০ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২২

করোনাভাইরাসের সংক্রমণে শারীরিক ক্ষতির বিষয়ে নতুন তথ্য প্রকাশ করলেন বিজ্ঞানীরা। তারা বলছেন, করোনাভাইরাসের উপসর্গ দীর্ঘদিন ব্যক্তির শরীরে থাকলে তা ফুসফুসের ক্ষতি করছে। তবে এই ক্ষতি প্রচলিত পরীক্ষায় শনাক্ত হচ্ছে না।

বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ নিয়ে যুক্তরাজ্যে একটি প্রাথমিক গবেষণা হয়েছে।

গবেষকরা বলছেন, সাধারণ যেসব পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়, তাতে ফুসফুসের এই ক্ষতির বিষয়টি জানা যায় না। গবেষকরা এ জন্য জেনন গ্যাসের পরীক্ষা চালিয়েছেন।

এই গবেষণার জন্য ১১ জন করোনাজয়ীকে বেছে নেওয়া হয়েছিল। এই ব্যক্তিদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে যেতে হয়নি। তবে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর দীর্ঘদিন তারা শ্বাসকষ্টে ভুগেছেন। এ ছাড়া করোনায় আক্রান্ত হয়ে যারা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন কিন্তু দ্রুত সেরে উঠেছেন, এমন ১২ জনকে এবং পুরোপুরি সুস্থ ১৩ জনকেও এই গবেষণার জন্য বেছে নেওয়া হয়েছিল।

গবেষকরা জানিয়েছেন, এ নিয়ে বড় পরিসরে গবেষণা চলছে। প্রাথমিক গবেষণার বরাত দিয়ে তারা বলেছেন, দীর্ঘদিন করোনায় ভুগলে কেন শ্বাসকষ্টজনিত জটিলতা হচ্ছে, সে বিষয়টি সামনে এসেছে। যদিও শ্বাসকষ্ট-সংক্রান্ত জটিলতার পেছনে আরও অনেক ও জটিল কারণ রয়েছে।

এই গবেষণার জন্য ইউনিভার্সিটি অব শেফিল্ডের বিজ্ঞানীরা একটি নতুন পদ্ধতি ব্যবহার করেছেন। যাদের ওপর এই পর্যবেক্ষণ চালানো হয়েছে, তাদের জেনন গ্যাস দিয়ে শ্বাসের ব্যবস্থা করা হয়। বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই গ্যাস অক্সিজেনের মতোই আচরণ করে। কিন্তু এমআরআই স্ক্যানে এই গ্যাসের গতিবিধি ধরা পড়ে। ফলে এ থেকে বোঝা গেছে জেনন গ্যাস ফুসফুসের কোন কোন অংশে চলাচল করছে। এর মাধ্যমেই ফুসফুসের ক্ষতির বিষয়টি নির্ণয় করা সম্ভব হয়েছে।