রবিবার, ২৮ মে ২০২৩, ১৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

শ্যালিকাকে হত্যা, দুলাভাইসহ গ্রেপ্তার ৩

নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে শ্যালিকাকে অপহরণের পর হত্যা মামলায় দুলাভাইসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গাজীপুরের কালিয়াকৈর এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব-১৩ এর ক্রাইম প্রিভেনশন কোম্পানী-২।

রবিবার দুপুরে র‌্যাব-১৩ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মাহমুদ বশির আহমেদ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানান।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- প্রধান আসামি মো. সহিদ শাহসহ মামলার ৭নং আসামি হেলাল মিয়া এবং ১০নং আসামি আব্দুল করিম শাহ।

র‌্যাবের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, অপহরণের তিন মাস পর নীলফামারীর কিশোরগঞ্জের নিতাই ইউনিয়নের পানিয়ালপুকুর গ্রাম থেকে গোপনে দাফনের সময় এক তরুণীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এসময় পালিয়ে যায় ওই তরুণীর দুলাভাই সহীদ শাহ ও তার পরিবারের লোকজন।

নিহত ওই তরুণী একই উপজেলার কিশোরগঞ্জ ইউনিয়নের মুসা গ্রামের শিক্ষক সিরাজুল ইসলামের মেয়ে। মেয়েটির দুলাভাই সহীদ শাহ উপজেলার পানিয়ালপুকুর গ্রামের জাকারিয়া শাহর ছেলে। তিনি জয়পুরহাট জেলায় একটি ওষুধ কোম্পানির ফিল্ড প্রতিনিধি।

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, শিক্ষক সিরাজুল ইসলামের দুই মেয়ের মধ্যে বড় মেয়ে স্মৃতির সঙ্গে সহিদ শাহের বিয়ে হয়। তারা জয়পুরহাট জেলা শহরে ভাড়া থাকতেন। তাদের একটি সাত বছরের একটি ছেলেসন্তান রয়েছে। পারিবারিক কলহে তাদের মধ্যে বিবাহবিচ্ছেদ ঘটে। স্মৃতি সন্তানসহ বাবার বাড়ি ফিরে আসেন।

এ অবস্থায় ২০১৯ সালের ২৯ জানুয়ারি সহীদ শাহ তার শ্যালিকাকে অপহরণ করেন। এ ঘটনায় পরিবারের পক্ষে থানায় মামলা করা হয়। পুলিশ ওই সময় অভিযান চালিয়ে অপহৃতকে উদ্ধার ও অপহরণকারী আসামি দুলাভাই সহিদ শাহকে গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে পাঠায়। ৬ মাস পর সহিদ শাহ জামিন পান।

মামলাটি আদালতে বিচারাধীন থাকা অবস্থায় ২০২১ সালের ১৪ অক্টোবর সহিদ শাহ পুনরায় শ্যালিকাকে অপহরণ করে গা-ঢাকা দেয়। এ ঘটনায় ওই তরুণীর বাবা কিশোরগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন।

কিন্তু পুলিশ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে অপহৃতকে উদ্ধার করতে পারেনি। আসামি দুলাভাই সহিদ শাহ ওই তরুণীকে নিয়ে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় বসবাস করেন। একপর্যায়ে তরুণী গর্ভবতী হয়ে পড়েন। তরুণীকে তিনি নির্যাতন ও মারধর করতেন। গত ১৪ জানুয়ারি নির্যাতনের একপর্যায়ে আসামি সহীদ শাহ অন্তঃস্বত্তা তরুণীর পেটে লাথি মারলে রক্তক্ষরণে তিনি মারা যান। এ ঘটনায় তরুণীর পিতা বাদী হয়ে নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

র‌্যাব জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামি সহিদ শাহ ওই দিনের ঘটনা স্বীকার করেন। সহিদ শাহ তরুণীর লাশ নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে গোপনে দাফনের চেষ্টা করেন।

র‌্যাব-১৩ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) ফ্লাইট ক্রাইম প্রিভেনশন কোম্পানী-২ লেফটেন্যান্ট মাহমুদ বশির আহমেদ জানান, এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারে গোপন অনুসন্ধান চলছে। ইতোমধ্যে আসামিদেরকে থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

মহাশক্তিশালী সুপার টাইফুন ‘বেটি’ধেয়ে আসছে প্রবল শক্তিতে

শ্যালিকাকে হত্যা, দুলাভাইসহ গ্রেপ্তার ৩

প্রকাশের সময় : ০৩:০৩:০৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২২

নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে শ্যালিকাকে অপহরণের পর হত্যা মামলায় দুলাভাইসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গাজীপুরের কালিয়াকৈর এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব-১৩ এর ক্রাইম প্রিভেনশন কোম্পানী-২।

রবিবার দুপুরে র‌্যাব-১৩ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মাহমুদ বশির আহমেদ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানান।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- প্রধান আসামি মো. সহিদ শাহসহ মামলার ৭নং আসামি হেলাল মিয়া এবং ১০নং আসামি আব্দুল করিম শাহ।

র‌্যাবের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, অপহরণের তিন মাস পর নীলফামারীর কিশোরগঞ্জের নিতাই ইউনিয়নের পানিয়ালপুকুর গ্রাম থেকে গোপনে দাফনের সময় এক তরুণীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এসময় পালিয়ে যায় ওই তরুণীর দুলাভাই সহীদ শাহ ও তার পরিবারের লোকজন।

নিহত ওই তরুণী একই উপজেলার কিশোরগঞ্জ ইউনিয়নের মুসা গ্রামের শিক্ষক সিরাজুল ইসলামের মেয়ে। মেয়েটির দুলাভাই সহীদ শাহ উপজেলার পানিয়ালপুকুর গ্রামের জাকারিয়া শাহর ছেলে। তিনি জয়পুরহাট জেলায় একটি ওষুধ কোম্পানির ফিল্ড প্রতিনিধি।

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, শিক্ষক সিরাজুল ইসলামের দুই মেয়ের মধ্যে বড় মেয়ে স্মৃতির সঙ্গে সহিদ শাহের বিয়ে হয়। তারা জয়পুরহাট জেলা শহরে ভাড়া থাকতেন। তাদের একটি সাত বছরের একটি ছেলেসন্তান রয়েছে। পারিবারিক কলহে তাদের মধ্যে বিবাহবিচ্ছেদ ঘটে। স্মৃতি সন্তানসহ বাবার বাড়ি ফিরে আসেন।

এ অবস্থায় ২০১৯ সালের ২৯ জানুয়ারি সহীদ শাহ তার শ্যালিকাকে অপহরণ করেন। এ ঘটনায় পরিবারের পক্ষে থানায় মামলা করা হয়। পুলিশ ওই সময় অভিযান চালিয়ে অপহৃতকে উদ্ধার ও অপহরণকারী আসামি দুলাভাই সহিদ শাহকে গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে পাঠায়। ৬ মাস পর সহিদ শাহ জামিন পান।

মামলাটি আদালতে বিচারাধীন থাকা অবস্থায় ২০২১ সালের ১৪ অক্টোবর সহিদ শাহ পুনরায় শ্যালিকাকে অপহরণ করে গা-ঢাকা দেয়। এ ঘটনায় ওই তরুণীর বাবা কিশোরগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন।

কিন্তু পুলিশ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে অপহৃতকে উদ্ধার করতে পারেনি। আসামি দুলাভাই সহিদ শাহ ওই তরুণীকে নিয়ে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় বসবাস করেন। একপর্যায়ে তরুণী গর্ভবতী হয়ে পড়েন। তরুণীকে তিনি নির্যাতন ও মারধর করতেন। গত ১৪ জানুয়ারি নির্যাতনের একপর্যায়ে আসামি সহীদ শাহ অন্তঃস্বত্তা তরুণীর পেটে লাথি মারলে রক্তক্ষরণে তিনি মারা যান। এ ঘটনায় তরুণীর পিতা বাদী হয়ে নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

র‌্যাব জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামি সহিদ শাহ ওই দিনের ঘটনা স্বীকার করেন। সহিদ শাহ তরুণীর লাশ নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে গোপনে দাফনের চেষ্টা করেন।

র‌্যাব-১৩ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) ফ্লাইট ক্রাইম প্রিভেনশন কোম্পানী-২ লেফটেন্যান্ট মাহমুদ বশির আহমেদ জানান, এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারে গোপন অনুসন্ধান চলছে। ইতোমধ্যে আসামিদেরকে থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।