মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

ভায়াগ্রার চালান ছেড়ে দিতে বেনাপোল কাস্টমস কমিশনারকে হুমকি

বেনাপোল কাস্টমস হাউসের কমিশনার মো: আজিজুর রহমানকে হুমকি দেয়া হচ্ছে। আটককৃত ভায়াগ্রার চালান ছেড়ে দেয়ার জন্য আন্তর্জাতিক একটি মাদক চক্র কমিশনারকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য শুরু করেছে নানা ষড়যন্ত্র ।
রবিবার(২৯ জানুয়ারি) ঘটনাটি নিশ্চিত করেছেন কাস্টমস কমিশনার মো: আজিজুর রহমান।
কাস্টমস সুত্র জানান, বেনাপোল বন্দর দিয়ে মিথ্যা ঘোষনায় ভারত থেকে আমদানি করা ৩০১ প্যাকেজ’র মোটর পার্টসের চালানে ২২ কেজি ভায়াগ্রা আমদানি করেন যশোরের আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ”মা মনি” এন্টারপ্রাইজ। যার আমদানি মূল্য ১২ হাজার ৭৮০ মার্কিন ডলার। যার এলসি নম্বর -০৮৮৬২১০১০৩৫৬
গোপন সুত্রে খবর পেয়ে কাস্টমস এর আইআরএম টিম পন্যচালানটি শতভাগ কায়িক পরীক্ষা করে মোটর পার্টস’র চালানে ঘোষানা বহির্ভুত ২২ কেজি ভায়াগ্রা আটক করে। আটক পন্যের মূল্য ১১ লাখ টাকা। পরবর্তীতে কাস্টমস কমিশনারের নির্দেশে ভায়াগ্রার নমুনা পরীক্ষার জণ্য পাঠানো হয় খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগে। পরীক্ষায় ভয়াগ্রার বিষয়টি নিশ্চিত ককরেন কুয়েট কর্তৃপক্ষ।
পরবর্তীতে গত ২০২১ সালের জুলাই মাসে সংশ্লিস্ট আমদানিকারককে কারণ দর্শানো নোটিশ জারি করে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।
কারণ দর্শানো নোটিশ জারির পরপরই একটি চক্র কমিশনারকে ভায়াগ্রার চালানটি ছেড়ে দেয়ার জণ্য নানাভাবে চাপ প্রয়োগ করতে থাকে। কমিশনার তাদের চাপে কোন কর্ণপাত না করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের নির্দেশনা প্রদান করেন। এর পরপরই মাদক ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটটি কমিশনারকে হুমকি প্রদান করে, অনলাইনে তাকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করতে নানা ধরনের অপ্রচার শুরু করে।

ইন্ডিয়া-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্সের ডাইরেক্টর মতিয়ার রহমান জানান, চোরাচালান ও শুল্ক ফাঁকি রোধে কমিশনার আজিজুর রহমান জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরন করায় তাকে নানাভাবে হয়রানি করার জন্য একটি মাদক ব্যবসায়ী চক্র উঠে পড়ে লেগেছে। তিনি ইতিপূর্বে বড় ধরনের বেশ ক’টি অনিয়ম ও রাজস্ব ফাঁকির ঘটনা উদঘাটন করায় তাকে সমাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার চেস্টা করা হচ্ছে। আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
কমিশনার আজিজুর রহমান বলেন, ভায়াগ্রার চালান আটকের বিষয়টি ছাড় দেয়ার কোন সুযোগ নেই। হুমকি দিয়ে রাজস্ব ফাঁকি দেয়ার দিন শেষ। বেনাপোল কাস্টম হাউস কর্তৃপক্ষ একটি ব্যবসা ও বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষে বৈধ আমদানি ও সৎ করদাতাদের সার্বিক সহযোগিতা দিতে বদ্ধ পরিকর। বিদ্যমান আইন ও বিধি মোতাবেক যথাযথ পরিমাণ রাজস্ব আদায় ও দ্রুত পণ্যচালান খালাসে সবার সহযোগিতা চাই।

রোহিঙ্গাদের জন্য ইউএনডিপিকে যে আহ্বান জানালেন প্রধানমন্ত্রী

ভায়াগ্রার চালান ছেড়ে দিতে বেনাপোল কাস্টমস কমিশনারকে হুমকি

প্রকাশের সময় : ০৬:২২:১৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২২

বেনাপোল কাস্টমস হাউসের কমিশনার মো: আজিজুর রহমানকে হুমকি দেয়া হচ্ছে। আটককৃত ভায়াগ্রার চালান ছেড়ে দেয়ার জন্য আন্তর্জাতিক একটি মাদক চক্র কমিশনারকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য শুরু করেছে নানা ষড়যন্ত্র ।
রবিবার(২৯ জানুয়ারি) ঘটনাটি নিশ্চিত করেছেন কাস্টমস কমিশনার মো: আজিজুর রহমান।
কাস্টমস সুত্র জানান, বেনাপোল বন্দর দিয়ে মিথ্যা ঘোষনায় ভারত থেকে আমদানি করা ৩০১ প্যাকেজ’র মোটর পার্টসের চালানে ২২ কেজি ভায়াগ্রা আমদানি করেন যশোরের আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ”মা মনি” এন্টারপ্রাইজ। যার আমদানি মূল্য ১২ হাজার ৭৮০ মার্কিন ডলার। যার এলসি নম্বর -০৮৮৬২১০১০৩৫৬
গোপন সুত্রে খবর পেয়ে কাস্টমস এর আইআরএম টিম পন্যচালানটি শতভাগ কায়িক পরীক্ষা করে মোটর পার্টস’র চালানে ঘোষানা বহির্ভুত ২২ কেজি ভায়াগ্রা আটক করে। আটক পন্যের মূল্য ১১ লাখ টাকা। পরবর্তীতে কাস্টমস কমিশনারের নির্দেশে ভায়াগ্রার নমুনা পরীক্ষার জণ্য পাঠানো হয় খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগে। পরীক্ষায় ভয়াগ্রার বিষয়টি নিশ্চিত ককরেন কুয়েট কর্তৃপক্ষ।
পরবর্তীতে গত ২০২১ সালের জুলাই মাসে সংশ্লিস্ট আমদানিকারককে কারণ দর্শানো নোটিশ জারি করে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।
কারণ দর্শানো নোটিশ জারির পরপরই একটি চক্র কমিশনারকে ভায়াগ্রার চালানটি ছেড়ে দেয়ার জণ্য নানাভাবে চাপ প্রয়োগ করতে থাকে। কমিশনার তাদের চাপে কোন কর্ণপাত না করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের নির্দেশনা প্রদান করেন। এর পরপরই মাদক ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটটি কমিশনারকে হুমকি প্রদান করে, অনলাইনে তাকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করতে নানা ধরনের অপ্রচার শুরু করে।

ইন্ডিয়া-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্সের ডাইরেক্টর মতিয়ার রহমান জানান, চোরাচালান ও শুল্ক ফাঁকি রোধে কমিশনার আজিজুর রহমান জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরন করায় তাকে নানাভাবে হয়রানি করার জন্য একটি মাদক ব্যবসায়ী চক্র উঠে পড়ে লেগেছে। তিনি ইতিপূর্বে বড় ধরনের বেশ ক’টি অনিয়ম ও রাজস্ব ফাঁকির ঘটনা উদঘাটন করায় তাকে সমাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার চেস্টা করা হচ্ছে। আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
কমিশনার আজিজুর রহমান বলেন, ভায়াগ্রার চালান আটকের বিষয়টি ছাড় দেয়ার কোন সুযোগ নেই। হুমকি দিয়ে রাজস্ব ফাঁকি দেয়ার দিন শেষ। বেনাপোল কাস্টম হাউস কর্তৃপক্ষ একটি ব্যবসা ও বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষে বৈধ আমদানি ও সৎ করদাতাদের সার্বিক সহযোগিতা দিতে বদ্ধ পরিকর। বিদ্যমান আইন ও বিধি মোতাবেক যথাযথ পরিমাণ রাজস্ব আদায় ও দ্রুত পণ্যচালান খালাসে সবার সহযোগিতা চাই।