মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

স্বামীর নির্যাতনে সন্তানদের নিয়ে বাবার বাড়িতে আশ্রয়

মানিকগঞ্জের সিংগাইরে স্বামীর কাছে ভাইয়ের ধার দেয়া সাড়ে ৫ লক্ষ ও মায়ের কাছ থেকে নেয়া ১ লক্ষ টাকা চাওয়ায় স্ত্রীকে নির্যাতন করে অনার্স পড়ুয়া মেয়েকে মারধর করে ৩ সন্তানসহ বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে স্বামী জাহাংগীর আলম (৪৬) বিরুদ্ধে । ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার সায়েস্তা ইউনিয়নের দক্ষিণ সাহরাইল গ্রামে। অভিযুক্ত জাহাংগীর আলম ঔ এলাকার মৃত. একেএম জিন্নত আলীর ছেলে। ভুক্তভোগী নারী মৌসুমী সুলতানা একই উপজেলার পাশ্ববর্তী জামির্ত্তা ইউনিয়নের চন্দন নগর গ্রামের মৃত. মতিয়ার রহমানের মেয়ে। এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী ঐ নারী নিরুপায় হয়ে স্বামীকে অভিযুক্ত করে আদালতে মামলা দায়ের করেছেন।

ভুক্তভোগী মৌসুমী সুলতানা বলেন-বাইশ বছর আগে আমাদের পাশ্ববর্তী এলাকার জাহাংগীরের সাথে পারিবারিকভাবে আমার বিবাহ হয়। বিয়ের পর থেকে আমাকে বিভিন্ন সময় নির্যাতন করে আসছিল। আমি মান সন্মানের দিকে চিন্তা করে আমার ৩টি সন্তানের মুখের দিকে তাকিয়ে অনেক কষ্ট সহ্য করে ঘর সংসার করে আসছি। এরই মধ্য গত ৬ বছর আগে আমার স্বামী প্রবাস থেকে দেশে ফেরৎ এসে ব্যাকার হয়ে পরে। এমতাবস্থায় পোলট্রি ফার্ম করার জন্য আমার ছোট ভাই জনির কাছ থেকে সাড়ে ৫ লক্ষ, আমার মায়ের কাছ থেকে ১ লক্ষ টাকা ধার হিসেবে নিয়ে আমার স্বামীকে দেই। করোনাকালিন সময় আমার ভাইয়ের টাকার প্রয়োজন হলে আমার স্বামীর কাছে টাকা চাই। সে দেই দিচ্ছি বলে কালক্ষেপন করে। এরই মধ্য আবারও আমি ভাইয়ের টাকা ফেরৎ দেয়ার তাগিদ দিলে আমার ওপর শারীরিক ও পাশবিক নির্যাতন চালায়। এমনকি আমার অনার্স পড়ুয়া বড় মেয়ের বাম চোঁখে আঘাত করে মারাত্মক জখম করে। পরে প্রাণ নাশের ভয়ে ২ মাস যাবৎ বাবার বাড়ি আশ্রয় নিয়ে আমি আদালতে মামলা দায়ের করি। এতে সে ক্ষিপ্ত হয়ে মামলা তুলে নেয়া ও আমার ভাইকে প্রাণ নাশের হুমকি দেয়। আমি আজ ২ মাস ধরে ৩ সন্তান নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছি বলে জানান তিনি।
মৌসুমী সুলতানার ছোট ভাই জনি বলেন- পাওনা টাকা চাওয়ায় আমার বোনের জামাই সন্ত্রাস বাহিনী দিয়ে আমাদের বাড়ি এসে প্রাণ নাশের হুমকি দিয়ে আসছে। বর্তমানে আমি চরম নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছি। এ ব্যাপারে থানায় ১টি সাধারণ ডাইরি করেছি। এএসআই শাহিনুর রহমান সাধারণ ডাইরি বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ।
অভিযুক্ত জাহাংগীর আলম মেয়েকে থাপ্পর দেয়ার কথা স্বীকার করলেও টাকা পয়সা, স্ত্রীকে নির্যাতন করার বিষয় সম্পূর্ন অস্বীকার করেন।

স্বামীর নির্যাতনে সন্তানদের নিয়ে বাবার বাড়িতে আশ্রয়

প্রকাশের সময় : ০৭:৫৪:২১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২২

মানিকগঞ্জের সিংগাইরে স্বামীর কাছে ভাইয়ের ধার দেয়া সাড়ে ৫ লক্ষ ও মায়ের কাছ থেকে নেয়া ১ লক্ষ টাকা চাওয়ায় স্ত্রীকে নির্যাতন করে অনার্স পড়ুয়া মেয়েকে মারধর করে ৩ সন্তানসহ বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে স্বামী জাহাংগীর আলম (৪৬) বিরুদ্ধে । ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার সায়েস্তা ইউনিয়নের দক্ষিণ সাহরাইল গ্রামে। অভিযুক্ত জাহাংগীর আলম ঔ এলাকার মৃত. একেএম জিন্নত আলীর ছেলে। ভুক্তভোগী নারী মৌসুমী সুলতানা একই উপজেলার পাশ্ববর্তী জামির্ত্তা ইউনিয়নের চন্দন নগর গ্রামের মৃত. মতিয়ার রহমানের মেয়ে। এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী ঐ নারী নিরুপায় হয়ে স্বামীকে অভিযুক্ত করে আদালতে মামলা দায়ের করেছেন।

ভুক্তভোগী মৌসুমী সুলতানা বলেন-বাইশ বছর আগে আমাদের পাশ্ববর্তী এলাকার জাহাংগীরের সাথে পারিবারিকভাবে আমার বিবাহ হয়। বিয়ের পর থেকে আমাকে বিভিন্ন সময় নির্যাতন করে আসছিল। আমি মান সন্মানের দিকে চিন্তা করে আমার ৩টি সন্তানের মুখের দিকে তাকিয়ে অনেক কষ্ট সহ্য করে ঘর সংসার করে আসছি। এরই মধ্য গত ৬ বছর আগে আমার স্বামী প্রবাস থেকে দেশে ফেরৎ এসে ব্যাকার হয়ে পরে। এমতাবস্থায় পোলট্রি ফার্ম করার জন্য আমার ছোট ভাই জনির কাছ থেকে সাড়ে ৫ লক্ষ, আমার মায়ের কাছ থেকে ১ লক্ষ টাকা ধার হিসেবে নিয়ে আমার স্বামীকে দেই। করোনাকালিন সময় আমার ভাইয়ের টাকার প্রয়োজন হলে আমার স্বামীর কাছে টাকা চাই। সে দেই দিচ্ছি বলে কালক্ষেপন করে। এরই মধ্য আবারও আমি ভাইয়ের টাকা ফেরৎ দেয়ার তাগিদ দিলে আমার ওপর শারীরিক ও পাশবিক নির্যাতন চালায়। এমনকি আমার অনার্স পড়ুয়া বড় মেয়ের বাম চোঁখে আঘাত করে মারাত্মক জখম করে। পরে প্রাণ নাশের ভয়ে ২ মাস যাবৎ বাবার বাড়ি আশ্রয় নিয়ে আমি আদালতে মামলা দায়ের করি। এতে সে ক্ষিপ্ত হয়ে মামলা তুলে নেয়া ও আমার ভাইকে প্রাণ নাশের হুমকি দেয়। আমি আজ ২ মাস ধরে ৩ সন্তান নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছি বলে জানান তিনি।
মৌসুমী সুলতানার ছোট ভাই জনি বলেন- পাওনা টাকা চাওয়ায় আমার বোনের জামাই সন্ত্রাস বাহিনী দিয়ে আমাদের বাড়ি এসে প্রাণ নাশের হুমকি দিয়ে আসছে। বর্তমানে আমি চরম নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছি। এ ব্যাপারে থানায় ১টি সাধারণ ডাইরি করেছি। এএসআই শাহিনুর রহমান সাধারণ ডাইরি বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ।
অভিযুক্ত জাহাংগীর আলম মেয়েকে থাপ্পর দেয়ার কথা স্বীকার করলেও টাকা পয়সা, স্ত্রীকে নির্যাতন করার বিষয় সম্পূর্ন অস্বীকার করেন।