শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সড়কের ইট চুরিতে বাধা দেওয়ায় ৩ গ্রাম পুলিশকে পিটুনি

কক্সবাজারের পেকুয়ায় সড়কের ইট চুরি করতে গিয়ে বাধা দেয়ায় ৩জন গ্রাম পুলিশকে পিটিয়ে আহত করা হয়েছে।  আহতদের মধ্যে একজন নারী গ্রাম পুলিশও রয়েছে। আহতদের কে স্থানীয়রা উদ্ধার করে পেকুয়া সরকারী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। রবিবার (৩০ জানুয়ারী) দুপুরে মগনামা ইউনিয়নের কোদাইল্যাদিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন, মগনামা ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম পুলিশ মোস্তাক আহমদ (৪৫) মোস্তাফা কামাল প্রকাশ কালু (২৬) ও বুলু আরা বেগম (৩০)।
স্থানীয় এলাকাবাসী, প্রত্যক্ষদর্শীদের সুত্রে জানা গেছে, রবিবার মগনামা ইউনিয়নের কাজী মার্কেট-মটকাভাঙ্গা সড়ক থেকে ইট খুলে চুরি করে নিয়ে যাচ্ছিল কোদাইল্যা দিয়া গ্রামের আশরাফ মিয়ার ছেলে আবদুল হাকিমের নেতৃত্বে একদল দূর্বুত্ত। সড়কের ইট চুরির সংবাদ পেয়ে দুপুরে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মো. ইউনুচ চৌধুরী পরিষদ থেকে কয়েকজন গ্রাম পুলিশকে ঘটনাস্থলে পাঠান।
গ্রাম পুলিশ আলমগীর, মোস্তাক আহমদ, মোস্তাফা কামাল ও বুলুয়ারা বেগম ঘটনাস্থলে এসে আবদুল হাকিমকে সরকারী সড়কের ইট চুরিতে বাধা প্রদান করেন। এসময় আবদুল হাকিম স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও গ্রাম পুলিশদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে করে।
এক পর্যায়ে আবদুল হাকিমের নেতৃত্বে আরিফ, আবদুল মান্নানসহ একদল দুর্বৃত্ত গ্রাম পুলিশের উপর হামলা চালায়। তারা লোহার রড ও লাঠি দিয়ে ৩জন গ্রাম পুলিশকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। হামলায় নারী গ্রাম পুলিশ বুলুয়ারা বেগম, গ্রাম পুলিশ মোস্তাক আহমদ, মোস্তাফা কামাল গুরুতর আহত হয়।
আহত গ্রাম পুলিশ মোস্তাফা কামাল বলেন, চেয়ারম্যানের নির্দেশে আমরা ইট চুরিতে বাধা দিই। এতে আমাদের ওপর হামলা চালায়। লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে আমার হাত ভেঙে দিয়েছে।
এদিকে গ্রাম পুলিশের উপর হামলার ঘটনার খবর পেয়ে মগনামা ইউনিয়ন পরিষদ থেকে আরো কয়েকজন গ্রাম পুলিশ ও ইউপি সদস্যরা এসে সড়কের ইট চুরির সাথে জড়িত আবদুল হাকিমকে আটক করে পরিষদে নিয়ে যায়। তবে এদিন সন্ধ্যায় আবদুল হাকিমের পরিবার পরিষদে মুচলেকা দিয়ে আবদুল হাকিমকে পরিষদ থেকে ছাড়িয়ে নেন।
মগনামা ইউনিয়ন পরিষদের দফাদার মো.আলমগীর জানান, সকালে ইট চুরির খবর পেয়ে তারা কয়েকজন গ্রাম পুলিশ ঘটনাস্থলে হাজির হয়ে সরকারী সড়কের ইট চুরিতে বাধা দিতে গিয়ে সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়েছে।
মগনামা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ইউনুস চৌধুরী বলেন, সড়কের ইট চুরি করছিল আব্দুল হাকিমসহ আরো কয়েকজন দুর্বৃত্ত। খবর পেয়ে কয়েকজন গ্রাম পুলিশ পাঠিয়েছি। ইট চুরিতে বাধা দিতে গিয়ে তার পরিষদের ৩জন গ্রাম পুলিশের ওপর ন্যাক্কারজনক হামলা চালায়। সরকারী সড়কের ইট চুরির ঘটনা জঘন্য অপরাধ। আমি হামলার তীব্র নিন্দা জানাই।
হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তারপূর্বক আইনের আওতায় আনার জন্য প্রশাসনের হস্থক্ষেপ কামনা করছি।
পেকুয়া থানার ওসি (তদন্ত) কানন সরকার বলেন মগনামায় সড়কের ইট চুরি নিয়ে গ্রাম পুলিশ ও অপর একজনের মধ্যে একটি ঘটনা সংগঠিত হয়েছে বলে অবগত হয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

সড়কের ইট চুরিতে বাধা দেওয়ায় ৩ গ্রাম পুলিশকে পিটুনি

প্রকাশের সময় : ১১:০৫:৫৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২২
কক্সবাজারের পেকুয়ায় সড়কের ইট চুরি করতে গিয়ে বাধা দেয়ায় ৩জন গ্রাম পুলিশকে পিটিয়ে আহত করা হয়েছে।  আহতদের মধ্যে একজন নারী গ্রাম পুলিশও রয়েছে। আহতদের কে স্থানীয়রা উদ্ধার করে পেকুয়া সরকারী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। রবিবার (৩০ জানুয়ারী) দুপুরে মগনামা ইউনিয়নের কোদাইল্যাদিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন, মগনামা ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম পুলিশ মোস্তাক আহমদ (৪৫) মোস্তাফা কামাল প্রকাশ কালু (২৬) ও বুলু আরা বেগম (৩০)।
স্থানীয় এলাকাবাসী, প্রত্যক্ষদর্শীদের সুত্রে জানা গেছে, রবিবার মগনামা ইউনিয়নের কাজী মার্কেট-মটকাভাঙ্গা সড়ক থেকে ইট খুলে চুরি করে নিয়ে যাচ্ছিল কোদাইল্যা দিয়া গ্রামের আশরাফ মিয়ার ছেলে আবদুল হাকিমের নেতৃত্বে একদল দূর্বুত্ত। সড়কের ইট চুরির সংবাদ পেয়ে দুপুরে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মো. ইউনুচ চৌধুরী পরিষদ থেকে কয়েকজন গ্রাম পুলিশকে ঘটনাস্থলে পাঠান।
গ্রাম পুলিশ আলমগীর, মোস্তাক আহমদ, মোস্তাফা কামাল ও বুলুয়ারা বেগম ঘটনাস্থলে এসে আবদুল হাকিমকে সরকারী সড়কের ইট চুরিতে বাধা প্রদান করেন। এসময় আবদুল হাকিম স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও গ্রাম পুলিশদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে করে।
এক পর্যায়ে আবদুল হাকিমের নেতৃত্বে আরিফ, আবদুল মান্নানসহ একদল দুর্বৃত্ত গ্রাম পুলিশের উপর হামলা চালায়। তারা লোহার রড ও লাঠি দিয়ে ৩জন গ্রাম পুলিশকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। হামলায় নারী গ্রাম পুলিশ বুলুয়ারা বেগম, গ্রাম পুলিশ মোস্তাক আহমদ, মোস্তাফা কামাল গুরুতর আহত হয়।
আহত গ্রাম পুলিশ মোস্তাফা কামাল বলেন, চেয়ারম্যানের নির্দেশে আমরা ইট চুরিতে বাধা দিই। এতে আমাদের ওপর হামলা চালায়। লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে আমার হাত ভেঙে দিয়েছে।
এদিকে গ্রাম পুলিশের উপর হামলার ঘটনার খবর পেয়ে মগনামা ইউনিয়ন পরিষদ থেকে আরো কয়েকজন গ্রাম পুলিশ ও ইউপি সদস্যরা এসে সড়কের ইট চুরির সাথে জড়িত আবদুল হাকিমকে আটক করে পরিষদে নিয়ে যায়। তবে এদিন সন্ধ্যায় আবদুল হাকিমের পরিবার পরিষদে মুচলেকা দিয়ে আবদুল হাকিমকে পরিষদ থেকে ছাড়িয়ে নেন।
মগনামা ইউনিয়ন পরিষদের দফাদার মো.আলমগীর জানান, সকালে ইট চুরির খবর পেয়ে তারা কয়েকজন গ্রাম পুলিশ ঘটনাস্থলে হাজির হয়ে সরকারী সড়কের ইট চুরিতে বাধা দিতে গিয়ে সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়েছে।
মগনামা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ইউনুস চৌধুরী বলেন, সড়কের ইট চুরি করছিল আব্দুল হাকিমসহ আরো কয়েকজন দুর্বৃত্ত। খবর পেয়ে কয়েকজন গ্রাম পুলিশ পাঠিয়েছি। ইট চুরিতে বাধা দিতে গিয়ে তার পরিষদের ৩জন গ্রাম পুলিশের ওপর ন্যাক্কারজনক হামলা চালায়। সরকারী সড়কের ইট চুরির ঘটনা জঘন্য অপরাধ। আমি হামলার তীব্র নিন্দা জানাই।
হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তারপূর্বক আইনের আওতায় আনার জন্য প্রশাসনের হস্থক্ষেপ কামনা করছি।
পেকুয়া থানার ওসি (তদন্ত) কানন সরকার বলেন মগনামায় সড়কের ইট চুরি নিয়ে গ্রাম পুলিশ ও অপর একজনের মধ্যে একটি ঘটনা সংগঠিত হয়েছে বলে অবগত হয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।