নেত্রকোণার দুর্গাপুরে বোরো ক্ষেতে পানি দেয়া নিয়ে তর্কের জেরে বাড়িতে হামলা,লুটপাট,ভাংচুর ও গুরুতর জখমের ঘটনায় দ্রত বিচার ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করেছে ভুক্তভোগী আবু সিদ্দিক। মামলা উঠিয়ে নিতে বাদীকে প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ উঠেছে আসামী ইমন মিয়া(২৫) বিরুদ্ধে।
আজ সোমবার (৩১ জানুয়ারি) সকাল ৯টার দিকে এ হুমকীর ঘটনাটি ঘটে।কাকৈরগড়া ইউনিয়নের গোদারিয়া গ্রামের ইলিয়াস আলীর ছেলে ইমন মিয়া। ভাংচুর ও লোপাট ঘটনায় আদালতের এফআইআর এর আদশে দুর্গাপুর থানায় মামলা রুজুর ৫ দিন পেরিয়ে গেলেও ৪ আসামীর একজনকেও গ্রেপ্তার পারেনি পুলিশ। দুর্গাপুর থানার মামলা নং-৩০। আসামীরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও,মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টর আনিস আহমেদ আসামী গ্রেপ্তারে অনেকটা ঢিলেমিশি করছেন বলে অভিযোগ ভুক্তভোগী পরিবারের। তবে এসআই আনিস আহমেদ’র দাবী, আসামী গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছি। এখন নির্বাচনী দায়িত্ব পালনে ফুলপুর উপজেলায় আছি বলেও তিনি জানান।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কাকৈরগড়া ইউনিয়নের গোদারিয়া গ্রামের মৃত আরজ আলীর পুত্র ইলিয়াছ মিয়ার সাথে গত শুক্রবার কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে আবু সিদ্দিক মিয়াকে কলার ধরে ঘুষি মারে। ওই দিনগত রাত ইলিয়াছ মিয়ার পুত্র ইমন মিয়া(২৫) ইলিয়াছ মিয়া(৫০),আঃ মন্নানের পুত্র সাগর মিয়া(২৬),মৃত আছাদুজ্জামানের পুত্র আনিসুল হক(৪৫) সহ অজ্ঞাত ১০-১২জন মিলে দেশীয় অস্ত্রে নিয়ে আবু সিদ্দিকের বাড়িতে প্রবেশ করে অতর্কিত হামলা চালায়। রামদার কুপে সোহেল মিয়া(২৮) মাথার উপর অংশে তিনটি সেলাই লাগে। লোহার রড দিয়ে মারধরে ডান পা ভেঙে যায়। ওদের ভয়ে পূর্বধলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে ভর্তি করে স্থানীয়রা। উল্লেখ্য যে, গত(১জানুয়ারী) শুক্রবার দিনগত রাত পৌনে ১১টার দিকে কাকৈরগড়া ইউনিয়নের গোদারিয়া গ্রামে এ নৃশংস হামলার ঘটনা ঘটে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, এজাহারভুক্ত আসামী আসাদুজ্জামানের পুত্র আনিছুল হক একজন মানবাধিকার কর্মী পরিচয় দিয়ে সমাজে মাদক ব্যবসা ও সেবনের সাথে প্রত্যক্ষ জড়িত রয়েছেন বলে জানান বেশকজন স্থানীয় ব্যক্তি। তার কুকর্মের ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায়না। তিনি পুলিশ দিয়ে হয়রানী করার ভয়ভীতি দেখিয়ে ওইসব অপরাথ মূলক কর্মকান্ড পরিচালনা করে আসছেন এমন অসংখ্য অভিযোগ স্থানীয় ভুক্তভোগীদের।
দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর মাহবুব জানান, ভুক্তভোগী মো. আবু সিদ্দিক বাদী হয়ে আদালতের নির্দেশে মামলাটি রেকর্ড করা হয়েছে। আসামী গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।