শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পেকুয়ায় আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে স্থাপনা নির্মাণ, রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংকা! 

কক্সবাজারের পেকুয়ায় আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে স্থাপনা নির্মাণ করছে একটি প্রভাবশালীমহল। নির্মাণ কাজে আদালতের ফৌজদারি কার্যবিধি ১৪৪ ধারা নিষেধাজ্ঞা থাকলেও তা মানছে না এ প্রভাবশালীমহল। এ নিয়ে রক্ত ক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংকা দেখা দিয়েছে। 

১ ফেব্রুয়ারী বিকালে উপজেলার সদর ইউনিয়নের সিকদারপাড়ার দক্ষিণে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, পেকুয়া মৌজার নালিশী আর এস ৩৫, ৫২৩, ৫৩৩, ৫১৯, ৪২৯/১, ৪১৭, ৫২, ৫৩ নং খতিয়ানের জমি ফজলর রহমানের রায়তী স্বত্বীয় জমি। ফজলর রহমান মৃত্যুর পর এক পুত্র চার কন্যা প্রাপ্ত হয়। তৎমতে আবুতালেব সিকদার ৪.৯০৬৬ একর এবং ওয়ারিশসূত্রে ২.৪৫৩৩ একর জমি প্রাপ্ত হয়। আবু তালেব সিকদারের প্রাপ্ত জমি সংক্রান্তে তাহার নামে বিএস ৩১৯ ও ৩২০ নাম্বার খতিয়ান চুড়ান্ত প্রচারিত। আবু তালেবের মেয়ে রৌশন জামাল ১১ ডিসেম্বর ১৯৮৪ ইং সনে ২১৫৩৬ নম্বার দানপত্রমুলে ১.৬৮ একর জমি আবু তালেবের পুত্র মোহাম্মদ হাসেম কে ও অপর ৩ ভ্রাতাকে দান করেন। তৎমতে দানপত্র মুলে. ৪২ একর জমি প্রাপ্ত হয়। আবু তালেবের মেয়ে জয়নাব ২.৪৫৩৩ একর জমি প্রাপ্ত হইয়া মৃত্যু বরণ করলে তার পুত্র বশির ও ফজলর রহমান মালিক হয়। তৎমতে ফজলর রহমান মৃত্যু বরণ করেন। বশির আহমদের প্রাপ্ত জমি হতে মোহাম্মদ হাসেমকে ৯ এপ্রিল ১৯৮৬ সালে ১৪৯৬ কবলামুলে. ৮০ একর জমি বিক্রি করে দখল বুঝিয়ে দিয়ে সে মারা যায়। পরে তার ২ পুত্র মালিক হয়। তারাই ১৯ মে ১৯৯৩ ইং শনে ২২৪৮ নম্বার কবলা মুলে. ৮৮ একর জমি হাসেম গং কে বিক্রি করে।  ভ্রাতা আবু তাহের হতে. ০৬৩  একর জমি প্রাপ্ত হয়। সবমিলিয়ে মোহাম্মদ হাসেম ২.৯৪ একর জমি প্রাপ্ত হয়ে আপোষ মতে বিএস ৩১৯, ৩২০ নম্বার খতিয়ানের বিএস ২৮৯৪ নং দাগের আন্দর. ০৩৮ একর, বিএস ২৮৯৫ নম্বার দাগের সম্পূর্ণ ১.৭৮ একরসহ মোট ২.৯২ একর জমিতে সুনির্দিষ্ট ভাবে তামাদির উধর্বকাল যাবৎ ভোগদখলকার থাকাবস্থায় পৃথক নামজারী ও জমাভাগ ২২০২ ও ২৩৩০ নম্বার খতিয়ান সৃজন করেন। পরে হেবামুলে ২.৬২ একর জমি হেফাজতুর রহমান ভুট্টুকে দান করেন। সেও নামজারি জমাভাগ সৃজন করে। সম্প্রতি রাজাখালী সুন্দরী পাড়ার হাবিবুর রহমানের পুত্র আলামিন ২৮৯৫ নম্বর দাগের. ২৫ একর জমি খরিদ করছেন দাবী করে সৃজিত বিএস ২৩৩০ নম্বর খতিয়ানের বিরুদ্ধে আপত্তি দেয়। পরে. ২৫ একর জমি কর্তন করিয়া মুল খতিয়ানে ফেরত নেন। ওই আদেশের বিরুদ্ধে  বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ( রাজস্ব)  আাদালতে মিচ পিটিশন ২০৯/২০১০ মামলা দায়ের করেন। পরে তদন্ত প্রতিবেদনে হাসেম গং এর ভোগদখল প্রতিয়মান হয়। তারপরও আলামিন গং হাসেম গং কে দখলে ব্যাঘাত করলে বিজ্ঞ উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট পেকুয়ার আাদালতে এম আর ১২৯/২০০৯ দায়ের করিয়া চুড়ান্ত আদেশ প্রাপ্ত হন। তা অমান্য করে মামলা চলমান অবস্থায় আলামিন গং নতুন ভাবে ৩টি হস্তান্তর দলিল সৃজন করেন।
এদিকে হাসেম গং এর পক্ষে হেফাজতুর রহমান জানান, তারই ধারাবাহিকতায় ২৪ জানুয়ারি ২২ ইং তারিখ আলামিন, পেকুয়া সদর ইউনিয়নের মাতবর পাড়া এলাকার ছরওয়ার উদ্দিনের পুত্র জুবাইর,  সিলেট সদর শামীমা বাদ এলাকার আব্দুল করিমের স্ত্রী রোকসানা আক্তার,  পেকুয়া নন্দীর পাড়া এলাকার মোজাফফর আহমদের পুত্র ছরওয়ার কামালসহ লোকজন নিয়ে উক্ত জমি দখল করতে যায়। এতে বাধা দিলে তারা দখলে ব্যর্থ হয়। গত ৩ দিন আগে হাসেম গং বাড়ীতে না থাকার সুবাধে তারা উক্ত জমিতে নিমার্ণ কাজ শুরু করে দেয়। এতে আমরা অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আশ্রয় নিয়ে উক্ত জমির উপর ১৪৪ ধারা নিষেধাজ্ঞা চাইলে আদালত সবকিছু বিবেচনা করে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংকা দেখে উক্ত বিরোধিয়া জমিতে ফৌঃ কাঃ বিঃ ১৪৪ ধারা নিষেধাজ্ঞা জারি করে। যার স্মারক নং ৩০৮/২২। মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত শান্তি ভঙ্গের আশংকা বিদ্যমান বিধায় বিজ্ঞ আদালত অফিসার ইনচার্জ পেকুয়া থানাকে বিরোধীয় জায়গায় শান্তি শৃংখলা বজায় রাখার নিদের্শনা দেন। পেকুয়া থানার ওসি ১৪৪ ধারা নিষেধাজ্ঞা পেয়ে এস আই আলামিন কে দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দেন। এস আই আলামিন উভয়পক্ষকে এ আদেশ মেনে চলার জন্য নিদের্শ দিয়েছেন।  কিন্তু তারপরও তারা এ আদেশ অমান্য করে নির্মাণ কাজ শুরু করেন।
এদিকে আলামিন গং এর জুবাইর জানিয়েছেন, আমরা আদেশ মেনে চলছি। এখানে কেউও কাজ করছে না যা আগে ছিল তাই আছে।
এ ব্যাপারে পেকুয়া থানার এস আই আল আমিন জানান তাদেরকে কাজ না করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তারপরও যদি কাজ করে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পেকুয়ায় আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে স্থাপনা নির্মাণ, রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংকা! 

প্রকাশের সময় : ০৮:১৯:৩৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ ফেব্রুয়ারী ২০২২

কক্সবাজারের পেকুয়ায় আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে স্থাপনা নির্মাণ করছে একটি প্রভাবশালীমহল। নির্মাণ কাজে আদালতের ফৌজদারি কার্যবিধি ১৪৪ ধারা নিষেধাজ্ঞা থাকলেও তা মানছে না এ প্রভাবশালীমহল। এ নিয়ে রক্ত ক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংকা দেখা দিয়েছে। 

১ ফেব্রুয়ারী বিকালে উপজেলার সদর ইউনিয়নের সিকদারপাড়ার দক্ষিণে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, পেকুয়া মৌজার নালিশী আর এস ৩৫, ৫২৩, ৫৩৩, ৫১৯, ৪২৯/১, ৪১৭, ৫২, ৫৩ নং খতিয়ানের জমি ফজলর রহমানের রায়তী স্বত্বীয় জমি। ফজলর রহমান মৃত্যুর পর এক পুত্র চার কন্যা প্রাপ্ত হয়। তৎমতে আবুতালেব সিকদার ৪.৯০৬৬ একর এবং ওয়ারিশসূত্রে ২.৪৫৩৩ একর জমি প্রাপ্ত হয়। আবু তালেব সিকদারের প্রাপ্ত জমি সংক্রান্তে তাহার নামে বিএস ৩১৯ ও ৩২০ নাম্বার খতিয়ান চুড়ান্ত প্রচারিত। আবু তালেবের মেয়ে রৌশন জামাল ১১ ডিসেম্বর ১৯৮৪ ইং সনে ২১৫৩৬ নম্বার দানপত্রমুলে ১.৬৮ একর জমি আবু তালেবের পুত্র মোহাম্মদ হাসেম কে ও অপর ৩ ভ্রাতাকে দান করেন। তৎমতে দানপত্র মুলে. ৪২ একর জমি প্রাপ্ত হয়। আবু তালেবের মেয়ে জয়নাব ২.৪৫৩৩ একর জমি প্রাপ্ত হইয়া মৃত্যু বরণ করলে তার পুত্র বশির ও ফজলর রহমান মালিক হয়। তৎমতে ফজলর রহমান মৃত্যু বরণ করেন। বশির আহমদের প্রাপ্ত জমি হতে মোহাম্মদ হাসেমকে ৯ এপ্রিল ১৯৮৬ সালে ১৪৯৬ কবলামুলে. ৮০ একর জমি বিক্রি করে দখল বুঝিয়ে দিয়ে সে মারা যায়। পরে তার ২ পুত্র মালিক হয়। তারাই ১৯ মে ১৯৯৩ ইং শনে ২২৪৮ নম্বার কবলা মুলে. ৮৮ একর জমি হাসেম গং কে বিক্রি করে।  ভ্রাতা আবু তাহের হতে. ০৬৩  একর জমি প্রাপ্ত হয়। সবমিলিয়ে মোহাম্মদ হাসেম ২.৯৪ একর জমি প্রাপ্ত হয়ে আপোষ মতে বিএস ৩১৯, ৩২০ নম্বার খতিয়ানের বিএস ২৮৯৪ নং দাগের আন্দর. ০৩৮ একর, বিএস ২৮৯৫ নম্বার দাগের সম্পূর্ণ ১.৭৮ একরসহ মোট ২.৯২ একর জমিতে সুনির্দিষ্ট ভাবে তামাদির উধর্বকাল যাবৎ ভোগদখলকার থাকাবস্থায় পৃথক নামজারী ও জমাভাগ ২২০২ ও ২৩৩০ নম্বার খতিয়ান সৃজন করেন। পরে হেবামুলে ২.৬২ একর জমি হেফাজতুর রহমান ভুট্টুকে দান করেন। সেও নামজারি জমাভাগ সৃজন করে। সম্প্রতি রাজাখালী সুন্দরী পাড়ার হাবিবুর রহমানের পুত্র আলামিন ২৮৯৫ নম্বর দাগের. ২৫ একর জমি খরিদ করছেন দাবী করে সৃজিত বিএস ২৩৩০ নম্বর খতিয়ানের বিরুদ্ধে আপত্তি দেয়। পরে. ২৫ একর জমি কর্তন করিয়া মুল খতিয়ানে ফেরত নেন। ওই আদেশের বিরুদ্ধে  বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ( রাজস্ব)  আাদালতে মিচ পিটিশন ২০৯/২০১০ মামলা দায়ের করেন। পরে তদন্ত প্রতিবেদনে হাসেম গং এর ভোগদখল প্রতিয়মান হয়। তারপরও আলামিন গং হাসেম গং কে দখলে ব্যাঘাত করলে বিজ্ঞ উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট পেকুয়ার আাদালতে এম আর ১২৯/২০০৯ দায়ের করিয়া চুড়ান্ত আদেশ প্রাপ্ত হন। তা অমান্য করে মামলা চলমান অবস্থায় আলামিন গং নতুন ভাবে ৩টি হস্তান্তর দলিল সৃজন করেন।
এদিকে হাসেম গং এর পক্ষে হেফাজতুর রহমান জানান, তারই ধারাবাহিকতায় ২৪ জানুয়ারি ২২ ইং তারিখ আলামিন, পেকুয়া সদর ইউনিয়নের মাতবর পাড়া এলাকার ছরওয়ার উদ্দিনের পুত্র জুবাইর,  সিলেট সদর শামীমা বাদ এলাকার আব্দুল করিমের স্ত্রী রোকসানা আক্তার,  পেকুয়া নন্দীর পাড়া এলাকার মোজাফফর আহমদের পুত্র ছরওয়ার কামালসহ লোকজন নিয়ে উক্ত জমি দখল করতে যায়। এতে বাধা দিলে তারা দখলে ব্যর্থ হয়। গত ৩ দিন আগে হাসেম গং বাড়ীতে না থাকার সুবাধে তারা উক্ত জমিতে নিমার্ণ কাজ শুরু করে দেয়। এতে আমরা অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আশ্রয় নিয়ে উক্ত জমির উপর ১৪৪ ধারা নিষেধাজ্ঞা চাইলে আদালত সবকিছু বিবেচনা করে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংকা দেখে উক্ত বিরোধিয়া জমিতে ফৌঃ কাঃ বিঃ ১৪৪ ধারা নিষেধাজ্ঞা জারি করে। যার স্মারক নং ৩০৮/২২। মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত শান্তি ভঙ্গের আশংকা বিদ্যমান বিধায় বিজ্ঞ আদালত অফিসার ইনচার্জ পেকুয়া থানাকে বিরোধীয় জায়গায় শান্তি শৃংখলা বজায় রাখার নিদের্শনা দেন। পেকুয়া থানার ওসি ১৪৪ ধারা নিষেধাজ্ঞা পেয়ে এস আই আলামিন কে দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দেন। এস আই আলামিন উভয়পক্ষকে এ আদেশ মেনে চলার জন্য নিদের্শ দিয়েছেন।  কিন্তু তারপরও তারা এ আদেশ অমান্য করে নির্মাণ কাজ শুরু করেন।
এদিকে আলামিন গং এর জুবাইর জানিয়েছেন, আমরা আদেশ মেনে চলছি। এখানে কেউও কাজ করছে না যা আগে ছিল তাই আছে।
এ ব্যাপারে পেকুয়া থানার এস আই আল আমিন জানান তাদেরকে কাজ না করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তারপরও যদি কাজ করে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।