শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

অস্ট্রেলিয়ায় বাংলাদেশি তরুণী খুনের রহস্য উদঘাটন

অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে এবার খুন হয়েছে ১৯ বছরের বাংলাদেশি তরুণী। তার নিজ বাসভবনে খুন নিশ্চিত করে প্রমাণ নষ্ট করতে অ্যাসিডভর্তি বাথটাবে মৃতদেহ ফেলে রাখা হয়। তার ২১ বছর বয়সী পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত স্বামীর বিরুদ্ধে এই খুনের অভিযোগ উঠেছে।

গত রোববার নিজ বাসভবনের বাথটাব থেকে অরনিমা হায়াত অ্যানি নামের ওই তরুণীর অ্যাসিডে গলিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

পুলিশের প্রাথমিক তদন্ত মতে, অরনিমা হায়াতকে আগে হত্যা করা হয়। পরে প্রমাণ নষ্ট করতে একটি বাথটাবে অ্যাসিডের মতো উচ্চ দাহ্য রাসায়নিক তরল ভর্তি করে সেখানে আরনিমার লাশ ফেলে রেখে চলে যান খুনি। হত্যাকাণ্ডের আগে মধ্যরাতে অ্যানির বাসা থেকে চিৎকারের আওয়াজ পান প্রতিবেশীরা। পরে পুলিশকে খবর দিলে বাসার দরজা ভেঙে ভিতরে গিয়ে তারা অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করা হয়।

এ হত্যার দায়ে ২১ বছর বয়সী পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত অস্ট্রেলিয়ান মিরাজ জাফর নামের এক তরুণকে আটক করা হয়েছে। ২০ ঘণ্টা নিখোঁজ থাকার পর পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেন এ যুবক।

পারিবারিক কলহে হত্যাকাণ্ডটি ঘটেছে বলে ধারণা করছে পুলিশ। তবে এখনো নিহত তরুণী ও হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত কোনো তথ্যই নিশ্চিত করেনি গোয়েন্দা সংস্থা। প্রেমের সম্পর্ক থেকে পরিবারের অমতে মাত্র কয়েক মাস আগে জাফর ও অ্যানি বিয়ে করে আলাদা থাকতে শুরু করেছিলেন।

নিহত তরুণীর বাবা আবু হায়াত ও মা মাহফুজা হায়াত সিডনির বাংলাদেশি অধ্যুষিত এলাকা ল্যাকেম্বার সুপরিচিত ব্যাবসায়ী। তারা শিশু এনিকে সঙ্গে নিয়ে ২০০৬ সালে অস্ট্রেলিয়ায় আসেন। অত্যন্ত মেধাবী অ্যানি ওয়েস্টার্ন সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। এনির চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন ছিল বলে জানায় তার শোকার্ত বাবা।

বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত তরুণীর অকাল মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমেছে অস্ট্রেলিয়ার বাংলাদেশি কমিউনিটিতে। ভিন্ন পরিবেশে বড় হওয়ায় বেশির ভাগ পরিবার তাদের
সন্তানদের ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কিত। বর্বরোচিত এই হত্যাকাণ্ড মিডিয়ায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে।

প্রায় দুই দশক ধরে বেশির ভাগ প্রবাসী বাংলাদেশীরা অস্ট্রেলিয়ায় স্থায়ীভাবে বসবাস করতে শুরু করেছে। তাই প্রবাসে জন্ম নেওয়া নতুন প্রজন্ম এখনও তরুণ। গত কয়েক বছরে পারিবারিক কলহের কারণে অস্ট্রেলিয়ায় কয়েকজন বাংলাদেশি তরুণীর মৃত্যু হয়েছে।

অস্ট্রেলিয়ায় বাংলাদেশি তরুণী খুনের রহস্য উদঘাটন

প্রকাশের সময় : ১১:৪৯:৩৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ ফেব্রুয়ারী ২০২২
অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে এবার খুন হয়েছে ১৯ বছরের বাংলাদেশি তরুণী। তার নিজ বাসভবনে খুন নিশ্চিত করে প্রমাণ নষ্ট করতে অ্যাসিডভর্তি বাথটাবে মৃতদেহ ফেলে রাখা হয়। তার ২১ বছর বয়সী পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত স্বামীর বিরুদ্ধে এই খুনের অভিযোগ উঠেছে।

গত রোববার নিজ বাসভবনের বাথটাব থেকে অরনিমা হায়াত অ্যানি নামের ওই তরুণীর অ্যাসিডে গলিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

পুলিশের প্রাথমিক তদন্ত মতে, অরনিমা হায়াতকে আগে হত্যা করা হয়। পরে প্রমাণ নষ্ট করতে একটি বাথটাবে অ্যাসিডের মতো উচ্চ দাহ্য রাসায়নিক তরল ভর্তি করে সেখানে আরনিমার লাশ ফেলে রেখে চলে যান খুনি। হত্যাকাণ্ডের আগে মধ্যরাতে অ্যানির বাসা থেকে চিৎকারের আওয়াজ পান প্রতিবেশীরা। পরে পুলিশকে খবর দিলে বাসার দরজা ভেঙে ভিতরে গিয়ে তারা অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করা হয়।

এ হত্যার দায়ে ২১ বছর বয়সী পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত অস্ট্রেলিয়ান মিরাজ জাফর নামের এক তরুণকে আটক করা হয়েছে। ২০ ঘণ্টা নিখোঁজ থাকার পর পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেন এ যুবক।

পারিবারিক কলহে হত্যাকাণ্ডটি ঘটেছে বলে ধারণা করছে পুলিশ। তবে এখনো নিহত তরুণী ও হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত কোনো তথ্যই নিশ্চিত করেনি গোয়েন্দা সংস্থা। প্রেমের সম্পর্ক থেকে পরিবারের অমতে মাত্র কয়েক মাস আগে জাফর ও অ্যানি বিয়ে করে আলাদা থাকতে শুরু করেছিলেন।

নিহত তরুণীর বাবা আবু হায়াত ও মা মাহফুজা হায়াত সিডনির বাংলাদেশি অধ্যুষিত এলাকা ল্যাকেম্বার সুপরিচিত ব্যাবসায়ী। তারা শিশু এনিকে সঙ্গে নিয়ে ২০০৬ সালে অস্ট্রেলিয়ায় আসেন। অত্যন্ত মেধাবী অ্যানি ওয়েস্টার্ন সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। এনির চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন ছিল বলে জানায় তার শোকার্ত বাবা।

বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত তরুণীর অকাল মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমেছে অস্ট্রেলিয়ার বাংলাদেশি কমিউনিটিতে। ভিন্ন পরিবেশে বড় হওয়ায় বেশির ভাগ পরিবার তাদের
সন্তানদের ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কিত। বর্বরোচিত এই হত্যাকাণ্ড মিডিয়ায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে।

প্রায় দুই দশক ধরে বেশির ভাগ প্রবাসী বাংলাদেশীরা অস্ট্রেলিয়ায় স্থায়ীভাবে বসবাস করতে শুরু করেছে। তাই প্রবাসে জন্ম নেওয়া নতুন প্রজন্ম এখনও তরুণ। গত কয়েক বছরে পারিবারিক কলহের কারণে অস্ট্রেলিয়ায় কয়েকজন বাংলাদেশি তরুণীর মৃত্যু হয়েছে।