
এ রকম কথা আপনি প্রায় শোনেন যে, সময়ের সঙ্গে সবারই ব্যস্ততা বাড়ছে। মানুষ ক্রমেই ব্যস্ত থেকে ব্যস্ততর হয়ে উঠছে। এমন অবস্থায় সম্পর্কের যত্ন নেওয়ার সময় কোথায়? কিন্তু দিন শেষে দেখা যাবে, সম্পর্কটাই সত্যি। আর সবই মিথ্যে। সঙ্গীকে যত সময় দেবেন, সম্পর্ক ততই সুন্দর হবে। সারা দিন কেবল কাজ আর কাজ। এর কোন ফাঁকে সম্পর্কের বাঁধন ছিঁড়ে গেল বুঝতেই পারলেন না।
বাসে জ্যামে বসে আর ভালো লাগছে না! ফোনে হেডফোন লাগিয়ে নিন। কথা বলুন প্রিয় মানুষের সঙ্গে। আবার ধরুন, লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন। লাইনটা যেন কচ্ছপের গতিতে এগোচ্ছে। ব্যস, ফোন করে একটা আড্ডা হয়ে যাক পুরনো বন্ধুর সঙ্গে। আর মাকে আপনি কাজের ফাঁকেই ফোন করে জিজ্ঞেস করতে পারেন, তিনি কেমন আছেন, কী রান্না করছেন! একান্তই যদি ফোন করার মতো অবস্থায় না থাকেন, মেসেঞ্জার, হোয়্যাটসঅ্যাপ, ইমোতে জানান যে, তাকে মনে পড়ছে।
সম্পর্ক অনেকটাই উঠে পড়েছে অনলাইনে। সেটার সুবিধা নিন। ছোটখাটো সেলিব্রেশনও সেরে ফেলতে পারেন জুমেই। দু’জনই ব্যস্ত থাকলে দিনের যে কোনো একটা সময় বেছে নিন, যখন দু’জনই একটু অবসর পাবেন। সেই সময়টুকু দু’জন দু’জনকে দিন। মন খুলে কথা বলুন। সম্পর্কে উপহারের গুরুত্বপূর্ণ অবদান আছে। উপহারটি সঙ্গীর স্মৃতি বহন করে। আবার এমনও হতে পারে, উপহারটি চোখে পড়তেই মন ভরে উঠতে পারে নস্টালজিয়ায়। তাই উপহাররূপে প্রিয় মানুষের কাছে নিজের অস্তিত্ব আর স্মৃতি জমা রাখতে পারেন। উপহার কিন্তু ‘ব্যথানাশক’। ছোটখাটো দুঃখ এক তুড়িতে উড়িয়ে দেওয়া যায় রঙিন কাগজে মোড়ানো উপহারে।
যে কাজ ভুলেও করা যাবে না
আপনি যদি বিবাহিত হন, রাজ্যের যত কাজই থাকুক না কেন, বিয়ের দিন তারিখ ভুলবেন না। কিছু ভুলের কোনো ক্ষমা নেই। এটা সে রকমই একটা! বিয়ের দিনটা সঙ্গীর সঙ্গে আনন্দে কাটান।
অনলাইন বা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজের অবস্থান পরিষ্কার রাখুন। চ্যাটবক্সে সবুজ বাতি জ্বলছে। এর মানে এই নয়, আপনার প্রিয়জন মুঠোফোন হাতে বসে আছেন বা অন্য কারও সঙ্গে কথা বলছেন। ‘কেন যোগাযোগ করছে না আমার সঙ্গে?’ এ ধরনের প্রশ্ন ভুল বোঝাবুঝির একটি বড় কারণ।
বিপরীত লিঙ্গের কোনো বন্ধুর সঙ্গে আপনার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক থাকলে সেটা আপনার সঙ্গীর সন্দেহ বা কষ্টের কারণ হতে পারে। তাই সঙ্গী কখনো যেন এমনটা না ভাবে। প্রয়োজনে এমন বন্ধুকে এড়িয়ে চলুন। স্বচ্ছ ও পরিচ্ছন্ন বন্ধুত্ব রাখুন।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মহসিন মিলন
সম্পাদকীয় পরিষদ
সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি: নুরুজ্জামান লিটন, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: রোকনুজ্জামান রিপন, নির্বাহী সম্পাদক: আব্দুল লতিফ, যুগ্ন নির্বাহী সম্পাদক: আলহাজ্ব মতিয়ার রহমান, সহকারী সম্পাদক: সাজ্জাদুল ইসলাম সৌরভ, মামুন বাবু, বার্তা সম্পাদক: নজরুল ইসলাম
সম্পাদকীয় কার্যালয়
বার্তা ও বানিজ্যক কার্যালয়: গাজীপুর আবাসিক এলাকা, বেনাপোল, যশোর। ইমেইল: mohsin.milon@gmail.com, bartakontho@gmail.com ফোন: ৭৫২৮৯, ৭৫৬৯৫ মোবা: ০১৭১১৮২০৩৯৪
All Rights Reserved © Barta Kontho