শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

হাইকোর্টে জায়েদ খান

  • বিনোদন ডেস্ক
  • প্রকাশের সময় : ১২:৪১:২৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ ফেব্রুয়ারী ২০২২
  • ৩৫

সংগৃহীত ছবি

শনিবার এফডিসিতে এক বৈঠক করে জায়েদ খানের প্রার্থিতা বাতিল করে শিল্পী সমিতির এবারের নির্বাচনে দায়িত্বপ্রাপ্ত আপিল বোর্ড। পাশাপাশি নিপুণ আক্তারকে সাধারণ সম্পাদক পদে বিজয়ী ঘোষণা করে। আপিল বোর্ডের সেই সিদ্ধান্তিকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে আবেদন করেছেন দুইবারের সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান।

সোমবার সকাল ১০টায় হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় অভিনেতা এই আবেদন করেছেন। গণমাধ্যমকে বিষয়টি জায়েদ খান নিজেই নিশ্চিত করেছেন। রবিবার রাতে তিনি জানিয়েছিলেন, আইনি প্রক্রিয়ায় এগোবেন। সোমবার হাইকোর্টে অভিযোগ জানানোর মধ্যদিয়ে তার সেই পদক্ষেপ শুরু হলো।

গত ২৮ জানুয়ারি এফডিসিতে অনুষ্ঠিত হয় শিল্পী সমিতির ২০২২-২৪ মেয়াদের নির্বাচন। পরদিন ভোররাতে ঘোষণা হয় ফলাফল। এবার গত দুইবারের সভাপতি মিশা সওদাগরকে হারিয়ে নতুন সভাপতি হয়েছেন ইলিয়াস কাঞ্চন। তবে জায়েদের কাছে ১৩ ভোটে হেরে যান সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী নিপুণ।

কিন্তু সেই পরাজয় মানেননি নায়িকা। ফলাফল ঘোষণার দিনই তিনি আপিল বোর্ডে পুনরায় ভোট গণনার জন্য আবেদন করেন। পাশাপাশি জায়েদের বিরুদ্ধে টাকা দিয়ে ভোট কেনার অভিযোগ তোলেন। ওইদিন পুনরায় ভোট গণনার পর আপিল বোর্ড জানিয়ে দেয়, জায়েদ খানই জিতেছেন।

কিন্তু হাল ছাড়েননি নিপুণ। তিনি পরবর্তীতে জায়েদ ও তার প্যানেলের আরেক জয়ী প্রার্থী চুন্নুর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ে। সেখান থেকে এক চিঠির মাধ্যমে আপিল বোর্ডকে নির্দেশনা দেওয়া হয় নিপুণের অভিযোগের ব্যাপারে তদন্ত করে সিদ্ধান্ত নিতে। আপিল বোর্ডের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত হবে বলেও চিঠিতে জানায় মন্ত্রণালয়।

এর পরই একটি বৈঠক ডাকেন আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান সোহানুর রহমান সোহান। শনিবার বিকাল চারটায় এফডিসিতে শিল্পী সমিতির কার্যালয়ে হওয়ার কথা ছিল সেই বৈঠক। সেখানে বাদী নিপুণ এবং বিবাদী জায়েদ খান ও চুন্নুকে হাজির থাকতে বলা হয়। কিন্তু এদিন নিপুণ বৈঠকে হাজির হলেও এফডিসিতে পা রাখেননি দুই অভিযুক্ত।

এরপর একপক্ষকে নিয়ে বৈঠক করেই তাদের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেয় আপিল বোর্ড। সোহানুর রহমান সোহান এদিন সাংবাদিকদের জানান, জায়েদ খান ও চুন্নুর বিরুদ্ধে টাকা দিয়ে ভোট কেনার অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। তাই নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গের দায়ে তাদের প্রার্থিতা বাতিল করা হলো।

পাশাপাশি এদিন সাধারণ সম্পাদক পদে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নিপুণ আক্তারকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। অন্যদিকে কার্যনির্বাহী সদস্য পদে চুন্নুর জায়গায় দার প্যানেলের আরেক প্রার্থী নাদির খানকে বিজয়ী ঘোষণা করে আপিল বোর্ড। রবিবার বিকালে এফডিসিতে নতুন কমিটির সদস্যরা শপথও নিয়ে ফেলেছেন।

তারই বিরুদ্ধে হাইকোর্টের দারস্থ হলেন জায়েদ। গত ২০১৭-১৯ এবং ২০১৯-২১ মেয়াদে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব সামলেছেন এই অভিনেতা। এবার তিনি হ্যাট্রিক জয় পেয়েছিলেন। কিন্তু সেটি ধরে রাখতে পারেননি।

হাইকোর্টে জায়েদ খান

প্রকাশের সময় : ১২:৪১:২৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ ফেব্রুয়ারী ২০২২

শনিবার এফডিসিতে এক বৈঠক করে জায়েদ খানের প্রার্থিতা বাতিল করে শিল্পী সমিতির এবারের নির্বাচনে দায়িত্বপ্রাপ্ত আপিল বোর্ড। পাশাপাশি নিপুণ আক্তারকে সাধারণ সম্পাদক পদে বিজয়ী ঘোষণা করে। আপিল বোর্ডের সেই সিদ্ধান্তিকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে আবেদন করেছেন দুইবারের সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান।

সোমবার সকাল ১০টায় হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় অভিনেতা এই আবেদন করেছেন। গণমাধ্যমকে বিষয়টি জায়েদ খান নিজেই নিশ্চিত করেছেন। রবিবার রাতে তিনি জানিয়েছিলেন, আইনি প্রক্রিয়ায় এগোবেন। সোমবার হাইকোর্টে অভিযোগ জানানোর মধ্যদিয়ে তার সেই পদক্ষেপ শুরু হলো।

গত ২৮ জানুয়ারি এফডিসিতে অনুষ্ঠিত হয় শিল্পী সমিতির ২০২২-২৪ মেয়াদের নির্বাচন। পরদিন ভোররাতে ঘোষণা হয় ফলাফল। এবার গত দুইবারের সভাপতি মিশা সওদাগরকে হারিয়ে নতুন সভাপতি হয়েছেন ইলিয়াস কাঞ্চন। তবে জায়েদের কাছে ১৩ ভোটে হেরে যান সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী নিপুণ।

কিন্তু সেই পরাজয় মানেননি নায়িকা। ফলাফল ঘোষণার দিনই তিনি আপিল বোর্ডে পুনরায় ভোট গণনার জন্য আবেদন করেন। পাশাপাশি জায়েদের বিরুদ্ধে টাকা দিয়ে ভোট কেনার অভিযোগ তোলেন। ওইদিন পুনরায় ভোট গণনার পর আপিল বোর্ড জানিয়ে দেয়, জায়েদ খানই জিতেছেন।

কিন্তু হাল ছাড়েননি নিপুণ। তিনি পরবর্তীতে জায়েদ ও তার প্যানেলের আরেক জয়ী প্রার্থী চুন্নুর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ে। সেখান থেকে এক চিঠির মাধ্যমে আপিল বোর্ডকে নির্দেশনা দেওয়া হয় নিপুণের অভিযোগের ব্যাপারে তদন্ত করে সিদ্ধান্ত নিতে। আপিল বোর্ডের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত হবে বলেও চিঠিতে জানায় মন্ত্রণালয়।

এর পরই একটি বৈঠক ডাকেন আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান সোহানুর রহমান সোহান। শনিবার বিকাল চারটায় এফডিসিতে শিল্পী সমিতির কার্যালয়ে হওয়ার কথা ছিল সেই বৈঠক। সেখানে বাদী নিপুণ এবং বিবাদী জায়েদ খান ও চুন্নুকে হাজির থাকতে বলা হয়। কিন্তু এদিন নিপুণ বৈঠকে হাজির হলেও এফডিসিতে পা রাখেননি দুই অভিযুক্ত।

এরপর একপক্ষকে নিয়ে বৈঠক করেই তাদের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেয় আপিল বোর্ড। সোহানুর রহমান সোহান এদিন সাংবাদিকদের জানান, জায়েদ খান ও চুন্নুর বিরুদ্ধে টাকা দিয়ে ভোট কেনার অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। তাই নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গের দায়ে তাদের প্রার্থিতা বাতিল করা হলো।

পাশাপাশি এদিন সাধারণ সম্পাদক পদে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নিপুণ আক্তারকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। অন্যদিকে কার্যনির্বাহী সদস্য পদে চুন্নুর জায়গায় দার প্যানেলের আরেক প্রার্থী নাদির খানকে বিজয়ী ঘোষণা করে আপিল বোর্ড। রবিবার বিকালে এফডিসিতে নতুন কমিটির সদস্যরা শপথও নিয়ে ফেলেছেন।

তারই বিরুদ্ধে হাইকোর্টের দারস্থ হলেন জায়েদ। গত ২০১৭-১৯ এবং ২০১৯-২১ মেয়াদে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব সামলেছেন এই অভিনেতা। এবার তিনি হ্যাট্রিক জয় পেয়েছিলেন। কিন্তু সেটি ধরে রাখতে পারেননি।