শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শ্রমিকদের দালালের খপ্পরে না পড়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশের সময় : ০৩:২৭:৫৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ ফেব্রুয়ারী ২০২২
  • ৪৬

সংগৃহীত ছবি

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিদেশগামী শ্রমিকদের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে বলেছেন, তারা যেন দালালদের খপ্পরে পড়ে নিঃস্ব না হন। সরকারের প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিদেশ যাওয়ার ক্ষেত্রে সহযোগিতা নেন। বিদেশ যাওয়ার সময় জমিজমা বিক্রি না করে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। একই সঙ্গে তিনি বলেছেন, শ্রমিক হিসেবে বিদশে যাওয়া মানুষকে সচেতন করতে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় যেন ব্যাপক প্রচার প্রচারণা চালায়।

সোমবার (৭ ফেব্রুয়ারি) মন্ত্রিসভা বৈঠকে এমন নির্দেশনা দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।

বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সভাকক্ষে নিয়মিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে পরিষদ সচিব জানিয়েছেন, আজ বিশেষ করে বিদেশে শ্রমিক নিয়োগের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আমাদের যেসব জনশক্তি বিদেশে যাবে তারা যেন প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় বা অধিদপ্তরের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করে। কোনোভাবেই যেন তারা অতিরিক্ত অর্থ কোথাও প্রদান না করে। অনেকেই না জেনে সরাসরি পেমেন্ট করে দেয়। এজন্য একটা সাজেশন আছে। প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়কে বলা আছে, তারা প্রমোট করবে শ্রমিকরা যেন জমিজমা বিক্রি না করে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে শ্রমিকরা বিদেশে যেতে পারে। এ ক্ষেত্রে ব্যাংক এ্যাপয়েন্টমেন্ট বা নিয়োগপত্র নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত লোন দিবে না। তখন ওই শ্রমিক কিন্তু নিরাপদ থাকবে। কিন্তু তারা সেটা না করে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দালাল শ্রেণির লোকজনের খপ্পরে পড়ে জমিজমা বাড়িঘর বিক্রি করে বিদেশ যেয়ে প্রতারিত হচ্ছেন।
মন্ত্রিসভার বৈঠকে কয়েকজনের বিষয়ে সুনির্দিষ্টভাবে আলোচনা হয়েছে। তারা মালয়েশিয়াতে গিয়েছেন জমিজমা বিক্রি করে তিন-চার লাখ টাকা খরচ করে। কিন্তু আনফরচুনেটলি ওই টাকার মধ্যে দুই লাখ টাকাও চার বছরে সে তুলতে পারেননি। নিঃস্ব হয়ে ফেরত এসেছেন।

খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘মন্ত্রিসভা বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বিশেষভাবে নির্দেশনা দিয়েছেন, বিদেশে যাওয়ার বিষয়ে ব্যাপকভাবে জনসচেতনতা সৃষ্টির উপর। রেডিও, টিভি ও সংবাদপত্রের মাধ্যমে ব্যাপক প্রচার করতে হবে যে, বিদেশ যাওয়ার ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানই হচ্ছে অথরিটি বা কর্তৃপক্ষ। কি পরিমাণ টাকা লাগবে সেটিও প্রচারের কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। আর আপনারা যথাসম্ভব জমিজমা বিক্রি না করে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের কাছ থেকে লোন নিয়ে যান।’

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘ব্যাংক যখন আপনাকে ঋণ দেবে তখন অবশ্যই নিয়োগপত্র ছাড়া ঋণ দেবে না। এক্ষেত্রে বিদেশগামী ওই শ্রমিক অর্থ নষ্টের হাত থেকে নিরাপদ থাকবে।’

মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, প্রধানমন্ত্রী আরেকটা বিষয়ের উপর জোর দিয়েছেন। দেশে যে ১০০টি শিল্প পার্ক হচ্ছে, সেখানে বহু শ্রমিক লাগবে। এসব খোঁজ নিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ দিয়ে বলেছেন, ‘আপনারা স্কিল ডেভেলপ করেন। কোথায় কোন ধরনের শ্রমিক লাগবে, সেটা খুঁজে বের করেন। এসব শ্রমিকদের প্রশিক্ষণ দেন এবং কাজে লাগান।’

এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়কে ব্যাপক প্রচার প্রচারণা চালানোর জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন।

ব্যাংক থেকে কত টাকা পর্যন্ত ঋণ পাওয়া যাবে এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, এই বিষয়ে নিশ্চিত করে বলতে পারছি না, আমার জানা নেই।

শ্রমিকদের দালালের খপ্পরে না পড়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

প্রকাশের সময় : ০৩:২৭:৫৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ ফেব্রুয়ারী ২০২২

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিদেশগামী শ্রমিকদের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে বলেছেন, তারা যেন দালালদের খপ্পরে পড়ে নিঃস্ব না হন। সরকারের প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিদেশ যাওয়ার ক্ষেত্রে সহযোগিতা নেন। বিদেশ যাওয়ার সময় জমিজমা বিক্রি না করে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। একই সঙ্গে তিনি বলেছেন, শ্রমিক হিসেবে বিদশে যাওয়া মানুষকে সচেতন করতে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় যেন ব্যাপক প্রচার প্রচারণা চালায়।

সোমবার (৭ ফেব্রুয়ারি) মন্ত্রিসভা বৈঠকে এমন নির্দেশনা দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।

বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সভাকক্ষে নিয়মিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে পরিষদ সচিব জানিয়েছেন, আজ বিশেষ করে বিদেশে শ্রমিক নিয়োগের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আমাদের যেসব জনশক্তি বিদেশে যাবে তারা যেন প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় বা অধিদপ্তরের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করে। কোনোভাবেই যেন তারা অতিরিক্ত অর্থ কোথাও প্রদান না করে। অনেকেই না জেনে সরাসরি পেমেন্ট করে দেয়। এজন্য একটা সাজেশন আছে। প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়কে বলা আছে, তারা প্রমোট করবে শ্রমিকরা যেন জমিজমা বিক্রি না করে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে শ্রমিকরা বিদেশে যেতে পারে। এ ক্ষেত্রে ব্যাংক এ্যাপয়েন্টমেন্ট বা নিয়োগপত্র নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত লোন দিবে না। তখন ওই শ্রমিক কিন্তু নিরাপদ থাকবে। কিন্তু তারা সেটা না করে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দালাল শ্রেণির লোকজনের খপ্পরে পড়ে জমিজমা বাড়িঘর বিক্রি করে বিদেশ যেয়ে প্রতারিত হচ্ছেন।
মন্ত্রিসভার বৈঠকে কয়েকজনের বিষয়ে সুনির্দিষ্টভাবে আলোচনা হয়েছে। তারা মালয়েশিয়াতে গিয়েছেন জমিজমা বিক্রি করে তিন-চার লাখ টাকা খরচ করে। কিন্তু আনফরচুনেটলি ওই টাকার মধ্যে দুই লাখ টাকাও চার বছরে সে তুলতে পারেননি। নিঃস্ব হয়ে ফেরত এসেছেন।

খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘মন্ত্রিসভা বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বিশেষভাবে নির্দেশনা দিয়েছেন, বিদেশে যাওয়ার বিষয়ে ব্যাপকভাবে জনসচেতনতা সৃষ্টির উপর। রেডিও, টিভি ও সংবাদপত্রের মাধ্যমে ব্যাপক প্রচার করতে হবে যে, বিদেশ যাওয়ার ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানই হচ্ছে অথরিটি বা কর্তৃপক্ষ। কি পরিমাণ টাকা লাগবে সেটিও প্রচারের কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। আর আপনারা যথাসম্ভব জমিজমা বিক্রি না করে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের কাছ থেকে লোন নিয়ে যান।’

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘ব্যাংক যখন আপনাকে ঋণ দেবে তখন অবশ্যই নিয়োগপত্র ছাড়া ঋণ দেবে না। এক্ষেত্রে বিদেশগামী ওই শ্রমিক অর্থ নষ্টের হাত থেকে নিরাপদ থাকবে।’

মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, প্রধানমন্ত্রী আরেকটা বিষয়ের উপর জোর দিয়েছেন। দেশে যে ১০০টি শিল্প পার্ক হচ্ছে, সেখানে বহু শ্রমিক লাগবে। এসব খোঁজ নিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ দিয়ে বলেছেন, ‘আপনারা স্কিল ডেভেলপ করেন। কোথায় কোন ধরনের শ্রমিক লাগবে, সেটা খুঁজে বের করেন। এসব শ্রমিকদের প্রশিক্ষণ দেন এবং কাজে লাগান।’

এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়কে ব্যাপক প্রচার প্রচারণা চালানোর জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন।

ব্যাংক থেকে কত টাকা পর্যন্ত ঋণ পাওয়া যাবে এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, এই বিষয়ে নিশ্চিত করে বলতে পারছি না, আমার জানা নেই।