বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পানির মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত জনগনের গলার ফাঁস : বাংলাদেশ ন্যাপ

পানির মূল্যবৃদ্ধির ফলে ধীরে ধীরে যেন পানি চলে যাচ্ছে সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে মন্তব্য করে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেন, নতুন করে পানির মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত জনগনের গলার ফাঁস হয়ে দাঁড়িয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় এসব কথা বলেন।

তারা বলেন, গত ১২ বছরে ১৩ বার পানির ম্ল্যূবৃদ্ধি করেছে ঢাকা ওয়াসা। সাথে পাল্লা দিয়ে বৃদ্ধি করেছে স্যুয়ারেজ বিলও। ৩০ শতাংশেরও কম এলাকায় সেবা দিলেও পানির দামের সমান দরে প্রায় শতভাগ গ্রাহকের কাছে স্যুয়ারেজ বিল নিয়ে আসছে ওয়াসা। যা সাধারণ জনগনের সাথে প্রতরানা ছাড়া আর কিছুই নয়।

নেতৃদ্বয় বলেন, ঢাকা ওয়াসা বিশুদ্ধ পানযোগ্য পানি নগরবাসীকে সরবরাহ করতে ব্যর্থ হয়েছে। পাশাপাশি ঢাকা ওয়াসায় দুর্নীতি বেড়েছে অসহনীয় পর্যায়ে পৌছে গেছে। এ ছাড়া দুই বছর ধরে চলছে করোনাভাইরাসের মহামারি। এ সময়ে মানুষের আয়-রোজগার অনেক কমে গেছে। সাধারণ মানুষের পক্ষে জীবন-জীবিকা টিকিয়ে রাখাই একটা বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই সময়ে পানি-বিদ্যুত-গ্যাসের দাম বৃদ্ধির উদ্যোগ কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। এতে করে নিম্ন ও সাধারণ আয়ের মানুষ ফুঁসে উঠতে পারে।

তারা আরো বলেন, পানির মুল্যবৃদ্ধি জনগন প্রত্যাশা করে না। এই মুহুর্তে পানির মূল্যবৃদ্ধি মোটেই সমীচীন হবে না। করোনার সময়ে মানুষ দুরবস্থার মধ্যে আছে। সাধারণ মানুষ তো জীবন-জীবিকাই নির্বাহ করতে পারছে না। ওয়াসা যেখানে সেবার মান উন্নত করতে পারছে না, সুপেয় পানিও তারা দিতে পারছে না। যে পানি দিচ্ছে, সেটা ফুটিয়ে বা ফিল্টার করে খেতে হয়। তারা বরং সংস্থার ব্যবস্থাপনা ব্যয় কমানো প্রয়োজন।

নেতৃদ্বয় বলেন, ওয়াসায় দুর্নীতির শেষ নেই। সেই দুর্নীতির কারণে তারা পানির মূল্যবৃদ্ধি করতে চাইছে। ওয়াসার এই সিদ্ধান্ত এক ধরনের মূল্য সন্ত্রাস। একের পর এক ঘটনা ঘটেই যাচ্ছে। যা জনগনের সহ্যের সীমা অতিক্রম করছে। ওয়াসার দুর্নীতি বন্ধ করা গেলে পানির মুল্যবৃদ্ধি নয়, কমানো সম্ভব। তারা সেটা করছে না। অথচ ঢাকা ওয়াসায় দুর্নীতি প্রাতিষ্ঠানিক রূপ লাভ করেছে। প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে তাদের অদক্ষতা আছে। অনেকটা ব্যর্থ প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে ওয়াসা। ঢাকা ওয়াসার আবারও পানির মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ স্বৈরতান্ত্রিক। সরকারের উচিত জনগনের কথা চিন্তা করে ঢাকা ওয়াসার পানির মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত বাতিল করা।

বিএনপি নেতা দস্তগীর চৌধুরীর মৃত্যুবার্ষিকীতে দোয়া মাহফিল 

পানির মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত জনগনের গলার ফাঁস : বাংলাদেশ ন্যাপ

প্রকাশের সময় : ০১:২৪:৩৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২২

পানির মূল্যবৃদ্ধির ফলে ধীরে ধীরে যেন পানি চলে যাচ্ছে সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে মন্তব্য করে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেন, নতুন করে পানির মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত জনগনের গলার ফাঁস হয়ে দাঁড়িয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় এসব কথা বলেন।

তারা বলেন, গত ১২ বছরে ১৩ বার পানির ম্ল্যূবৃদ্ধি করেছে ঢাকা ওয়াসা। সাথে পাল্লা দিয়ে বৃদ্ধি করেছে স্যুয়ারেজ বিলও। ৩০ শতাংশেরও কম এলাকায় সেবা দিলেও পানির দামের সমান দরে প্রায় শতভাগ গ্রাহকের কাছে স্যুয়ারেজ বিল নিয়ে আসছে ওয়াসা। যা সাধারণ জনগনের সাথে প্রতরানা ছাড়া আর কিছুই নয়।

নেতৃদ্বয় বলেন, ঢাকা ওয়াসা বিশুদ্ধ পানযোগ্য পানি নগরবাসীকে সরবরাহ করতে ব্যর্থ হয়েছে। পাশাপাশি ঢাকা ওয়াসায় দুর্নীতি বেড়েছে অসহনীয় পর্যায়ে পৌছে গেছে। এ ছাড়া দুই বছর ধরে চলছে করোনাভাইরাসের মহামারি। এ সময়ে মানুষের আয়-রোজগার অনেক কমে গেছে। সাধারণ মানুষের পক্ষে জীবন-জীবিকা টিকিয়ে রাখাই একটা বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই সময়ে পানি-বিদ্যুত-গ্যাসের দাম বৃদ্ধির উদ্যোগ কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। এতে করে নিম্ন ও সাধারণ আয়ের মানুষ ফুঁসে উঠতে পারে।

তারা আরো বলেন, পানির মুল্যবৃদ্ধি জনগন প্রত্যাশা করে না। এই মুহুর্তে পানির মূল্যবৃদ্ধি মোটেই সমীচীন হবে না। করোনার সময়ে মানুষ দুরবস্থার মধ্যে আছে। সাধারণ মানুষ তো জীবন-জীবিকাই নির্বাহ করতে পারছে না। ওয়াসা যেখানে সেবার মান উন্নত করতে পারছে না, সুপেয় পানিও তারা দিতে পারছে না। যে পানি দিচ্ছে, সেটা ফুটিয়ে বা ফিল্টার করে খেতে হয়। তারা বরং সংস্থার ব্যবস্থাপনা ব্যয় কমানো প্রয়োজন।

নেতৃদ্বয় বলেন, ওয়াসায় দুর্নীতির শেষ নেই। সেই দুর্নীতির কারণে তারা পানির মূল্যবৃদ্ধি করতে চাইছে। ওয়াসার এই সিদ্ধান্ত এক ধরনের মূল্য সন্ত্রাস। একের পর এক ঘটনা ঘটেই যাচ্ছে। যা জনগনের সহ্যের সীমা অতিক্রম করছে। ওয়াসার দুর্নীতি বন্ধ করা গেলে পানির মুল্যবৃদ্ধি নয়, কমানো সম্ভব। তারা সেটা করছে না। অথচ ঢাকা ওয়াসায় দুর্নীতি প্রাতিষ্ঠানিক রূপ লাভ করেছে। প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে তাদের অদক্ষতা আছে। অনেকটা ব্যর্থ প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে ওয়াসা। ঢাকা ওয়াসার আবারও পানির মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ স্বৈরতান্ত্রিক। সরকারের উচিত জনগনের কথা চিন্তা করে ঢাকা ওয়াসার পানির মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত বাতিল করা।