শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শীতের তীব্রতা সইতে না পেরে মায়ের শাড়ির আঁচলেই শীত নিবারণ

উত্তরের হিমেল শীতল হাওয়ায় থরথর করে কাঁপছে অবুঝ তিন শিশু। টাকার অভাবে কিনে নিতে পারেনি শীতের গরম কাপড়। এ শিশুদের গায়ে ছিলো ছেড়া পাতলা কাপড়। শীতের কাপড় না থাকায় রাতে শীত নিবারণ করে মায়ের শাড়ীর আঁচলে। সেই অবুঝ তিন শিশুরা হল রাকিব, ইসরাত ও শাওন।

তারা জানিয়েছে, ঘরে শীত নিবারণের মত কোন শীতবস্ত্র নেই। তাই মায়ের আঁচলে গা ডেকেই কিছুটা গরম পরশ অনুভব করি। মুজিববর্ষে একটি পরিবারও গৃহহীন না থাকার কথা থাকলেও তাদের কপালে জুটেনি সেই সরকারি বরাদ্দের ঘর। এভাবেই কাটছে তাদের মানবেতর অসহায়ত্বের জীবন।

মোহাম্মদ ইউনুসের সাথে পনের বছর আগেই বিয়ে হয় শাকিলা বেগমের। তাদের সংসারে আসে দুই ছেলে ও এক মেয়েসহ তিন সন্তান। নিজস্ব কোন ভিটাবাড়ী না থাকায় উপজেলার সদর ইউনিয়নের গোঁয়াখালী মাতবরপাড়া মেইন রোডের পাশেই নদীর ধারে একটি ঝুপড়ি ঘরে বসবাস তাদের। ভাঙা বাঁশের বেড়া ও পলিথিন মোড়ানো একটা জরাজীর্ণ কুঁড়েঘরে মানবেতর জীবনযাপন করছে ইউনুসের পরিবার। তার অর্ধেকটা আবার বিলীন হয়েছে নদী গর্ভে। সবকিছুই এক ঘরের মেজেতেই থাকা-খাওয়া করতে হয় তাদের। কোন রকম দিনমজুরি কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন স্বামী ইউনুস। বর্তমানে হার্ডের বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত। কাজ করতে অক্ষম। কোন রকম খেয়ে না খেয়ে জীবন চলছে অসহায় পরিবারটির। শীতের তীব্রতা বাড়লেও তাঁদের কপালে জুটেনি শীতের কাপড়। জুটেনি সরকারি-বেসরকারিসহ জনপ্রতিনিধির কোন রকম সহায়তা।

সরেজমিনে গিয়ে এমন এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের দেখা মেলে, কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের গোঁয়াখালী মাতবরপাড়া এলাকায়। রাস্তার ধারে ভাঙা বাঁশের বেড়া ও পলিথিন মোড়ানো জরাজীর্ণ একটি কুঁড়েঘর । নেই কোন বিদ্যুৎ ব্যবস্থা, নেই বিশুদ্ধ পানির যথাযথ ব্যবস্থা। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খোলামেলা একটি টয়লেট। সড়ক প্রসস্থ হওয়ার কারণেও স্থান বদল করতে হয়েছে তাদের। কোন মতে মাটি ভরাট করে থাকার ঠাঁই জোগাড় করলেও তার অর্ধেকটা নদীতে হারাতে বসেছে।

অসহায় গৃহবধূ শাকিলা বেগম আবেগাপ্লুত কণ্ঠে জানান,তাঁদের নিজস্ব কোন ভিটাবাড়ী না থাকায় ৭/৮ বছর ধরেই নদীর ধারে বসবাস করি। স্বামী অসুস্থ হওয়ায় কোন কাজ করতে পারেনা। ছোট ছোট বাচ্চা নিয়ে খুব কষ্টে দিন কাটাচ্ছি। কোন ধরনের সহযোগিতাও আমাদের কপালে জুটেনি। শীতের তীব্রতা সইতে না পেরে শাড়ির আঁচলে ঘুমায় শিশুরা। রাতে শীতের যন্ত্রণায় বাচ্চাদের কান্না যেন থামানো যায়না। তাদের কাছে যেন আমি এক ব্যর্থ মা।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পূর্বিতা চাকমা জানান,বিষয়টি খোঁজ নিয়ে সহায়তার ব্যবস্থা করা হবে।

 

বার্তা/এন

শীতের তীব্রতা সইতে না পেরে মায়ের শাড়ির আঁচলেই শীত নিবারণ

প্রকাশের সময় : ১১:০৪:৩৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২২

উত্তরের হিমেল শীতল হাওয়ায় থরথর করে কাঁপছে অবুঝ তিন শিশু। টাকার অভাবে কিনে নিতে পারেনি শীতের গরম কাপড়। এ শিশুদের গায়ে ছিলো ছেড়া পাতলা কাপড়। শীতের কাপড় না থাকায় রাতে শীত নিবারণ করে মায়ের শাড়ীর আঁচলে। সেই অবুঝ তিন শিশুরা হল রাকিব, ইসরাত ও শাওন।

তারা জানিয়েছে, ঘরে শীত নিবারণের মত কোন শীতবস্ত্র নেই। তাই মায়ের আঁচলে গা ডেকেই কিছুটা গরম পরশ অনুভব করি। মুজিববর্ষে একটি পরিবারও গৃহহীন না থাকার কথা থাকলেও তাদের কপালে জুটেনি সেই সরকারি বরাদ্দের ঘর। এভাবেই কাটছে তাদের মানবেতর অসহায়ত্বের জীবন।

মোহাম্মদ ইউনুসের সাথে পনের বছর আগেই বিয়ে হয় শাকিলা বেগমের। তাদের সংসারে আসে দুই ছেলে ও এক মেয়েসহ তিন সন্তান। নিজস্ব কোন ভিটাবাড়ী না থাকায় উপজেলার সদর ইউনিয়নের গোঁয়াখালী মাতবরপাড়া মেইন রোডের পাশেই নদীর ধারে একটি ঝুপড়ি ঘরে বসবাস তাদের। ভাঙা বাঁশের বেড়া ও পলিথিন মোড়ানো একটা জরাজীর্ণ কুঁড়েঘরে মানবেতর জীবনযাপন করছে ইউনুসের পরিবার। তার অর্ধেকটা আবার বিলীন হয়েছে নদী গর্ভে। সবকিছুই এক ঘরের মেজেতেই থাকা-খাওয়া করতে হয় তাদের। কোন রকম দিনমজুরি কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন স্বামী ইউনুস। বর্তমানে হার্ডের বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত। কাজ করতে অক্ষম। কোন রকম খেয়ে না খেয়ে জীবন চলছে অসহায় পরিবারটির। শীতের তীব্রতা বাড়লেও তাঁদের কপালে জুটেনি শীতের কাপড়। জুটেনি সরকারি-বেসরকারিসহ জনপ্রতিনিধির কোন রকম সহায়তা।

সরেজমিনে গিয়ে এমন এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের দেখা মেলে, কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের গোঁয়াখালী মাতবরপাড়া এলাকায়। রাস্তার ধারে ভাঙা বাঁশের বেড়া ও পলিথিন মোড়ানো জরাজীর্ণ একটি কুঁড়েঘর । নেই কোন বিদ্যুৎ ব্যবস্থা, নেই বিশুদ্ধ পানির যথাযথ ব্যবস্থা। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খোলামেলা একটি টয়লেট। সড়ক প্রসস্থ হওয়ার কারণেও স্থান বদল করতে হয়েছে তাদের। কোন মতে মাটি ভরাট করে থাকার ঠাঁই জোগাড় করলেও তার অর্ধেকটা নদীতে হারাতে বসেছে।

অসহায় গৃহবধূ শাকিলা বেগম আবেগাপ্লুত কণ্ঠে জানান,তাঁদের নিজস্ব কোন ভিটাবাড়ী না থাকায় ৭/৮ বছর ধরেই নদীর ধারে বসবাস করি। স্বামী অসুস্থ হওয়ায় কোন কাজ করতে পারেনা। ছোট ছোট বাচ্চা নিয়ে খুব কষ্টে দিন কাটাচ্ছি। কোন ধরনের সহযোগিতাও আমাদের কপালে জুটেনি। শীতের তীব্রতা সইতে না পেরে শাড়ির আঁচলে ঘুমায় শিশুরা। রাতে শীতের যন্ত্রণায় বাচ্চাদের কান্না যেন থামানো যায়না। তাদের কাছে যেন আমি এক ব্যর্থ মা।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পূর্বিতা চাকমা জানান,বিষয়টি খোঁজ নিয়ে সহায়তার ব্যবস্থা করা হবে।

 

বার্তা/এন