শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

বর না আসায় কনে অজ্ঞান, অত:পর…

ছবি: সংগৃহীত

বধূ সেজে বিয়ের আসরে বসে অপেক্ষা করছিলেন বরের জন্য। বিয়ের সব আয়োজন সম্পন্ন কিন্তু সারাদিনেও বর না আসায় কনে অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।

গতকাল সোমবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চরহাজারী ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের আহম্মদ আলী মাঝি বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। এতে এলাকায় বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

তাৎক্ষণিক কনের পরিবার চরহাজারী ইউনিয়ন পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যানের কাছে অভিযোগ করেন। একপর্যায়ে ফের নতুন পাত্রের ব্যবস্থা হয়। পাত্রের নাম আলাউদ্দিন খোকন (৩৩), তিনি মুছাপুর ইউনিয়নের স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি এবং একই ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য (মেম্বার) মৃত নূর ইসলাম ভূঁইয়ার ছেলে।

স্থানীয় বাসিন্দা সাখাওয়াত হোসেন জায়েদ জানান, গত কয়েকদিন আগে পারিবারিকভাবে চরপার্বতী ইউনিয়নের বাসিন্দা মো. শাকিলের সঙ্গে চরহাজারী ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মো. হেলালের মেয়ে সানজিদা ইয়াছমিনের বিয়ের দিন ধার্য করা হয় ১৪ ফেব্রুয়ারি। বিয়েতে সাড়ে ছয় লাখ টাকা ও এক লাখ টাকা মূল্যের স্বর্ণালঙ্কার দেনমোহরে গতকাল দুপুরে বিয়ের সব আয়োজন সম্পন্ন করে কনের পক্ষ। দুপুরের মধ্যে কনে পক্ষের মেহমান ও সমাজের লোকজন খাওয়া-দাওয়া শেষ করে। কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ে বর পক্ষ বিয়ে বাড়িতে আসেনি।

এতে মেয়ের পরিবারের পক্ষ থেকে ঘটক ও বর পক্ষের পরিবারের সদস্যদের সাথে যোগাযোগ করা হলেও তারা শেষ পর্যন্ত আসেননি। একপর্যায়ে কনে অজ্ঞান হয়ে যান।

বর আলাউদ্দিন খোকন জানান, আমি নিজের ইচ্ছায় একটি অসহায় পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর জন্য মানবিক দিক বিবেচনা করে এ সিন্ধান্ত গ্রহণ করেছি। রাত ৯টার দিকে আমার পরিবারের একাধিক সদস্যের উপস্থিতিতে এ বিয়ের কাজ সম্পন্ন করা হয়। তিনি দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন।

রাজনীতিতে নাম লেখাতে যাচ্ছেন সানিয়া মির্জা

বর না আসায় কনে অজ্ঞান, অত:পর…

প্রকাশের সময় : ০২:১৪:৩১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২২

বধূ সেজে বিয়ের আসরে বসে অপেক্ষা করছিলেন বরের জন্য। বিয়ের সব আয়োজন সম্পন্ন কিন্তু সারাদিনেও বর না আসায় কনে অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।

গতকাল সোমবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চরহাজারী ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের আহম্মদ আলী মাঝি বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। এতে এলাকায় বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

তাৎক্ষণিক কনের পরিবার চরহাজারী ইউনিয়ন পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যানের কাছে অভিযোগ করেন। একপর্যায়ে ফের নতুন পাত্রের ব্যবস্থা হয়। পাত্রের নাম আলাউদ্দিন খোকন (৩৩), তিনি মুছাপুর ইউনিয়নের স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি এবং একই ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য (মেম্বার) মৃত নূর ইসলাম ভূঁইয়ার ছেলে।

স্থানীয় বাসিন্দা সাখাওয়াত হোসেন জায়েদ জানান, গত কয়েকদিন আগে পারিবারিকভাবে চরপার্বতী ইউনিয়নের বাসিন্দা মো. শাকিলের সঙ্গে চরহাজারী ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মো. হেলালের মেয়ে সানজিদা ইয়াছমিনের বিয়ের দিন ধার্য করা হয় ১৪ ফেব্রুয়ারি। বিয়েতে সাড়ে ছয় লাখ টাকা ও এক লাখ টাকা মূল্যের স্বর্ণালঙ্কার দেনমোহরে গতকাল দুপুরে বিয়ের সব আয়োজন সম্পন্ন করে কনের পক্ষ। দুপুরের মধ্যে কনে পক্ষের মেহমান ও সমাজের লোকজন খাওয়া-দাওয়া শেষ করে। কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ে বর পক্ষ বিয়ে বাড়িতে আসেনি।

এতে মেয়ের পরিবারের পক্ষ থেকে ঘটক ও বর পক্ষের পরিবারের সদস্যদের সাথে যোগাযোগ করা হলেও তারা শেষ পর্যন্ত আসেননি। একপর্যায়ে কনে অজ্ঞান হয়ে যান।

বর আলাউদ্দিন খোকন জানান, আমি নিজের ইচ্ছায় একটি অসহায় পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর জন্য মানবিক দিক বিবেচনা করে এ সিন্ধান্ত গ্রহণ করেছি। রাত ৯টার দিকে আমার পরিবারের একাধিক সদস্যের উপস্থিতিতে এ বিয়ের কাজ সম্পন্ন করা হয়। তিনি দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন।