শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

৮ দিন অনশন, অবশেষে দাবি আদায় করেই ছাড়লেন প্রেমিকা

প্রতীকী ছবি

পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার মুরাদিয়া ইউনিয়নের মুরাদিয়া গ্রামে  বিয়ের দাবি নিয়ে প্রেমিক অসীম সরকারের (২৬) বাড়িতে অবস্থান নিয়েছিলেন মুক্তা রাণী (২২) নামে এক তরুণী। সেসময় বাড়ি থেকে পালিয়ে আত্মগোপনে ছিলেন অসীম। অবশেষে টানা আট দিন প্রেমিকের বাড়িতে অবস্থানের পর তাদের বিয়ে হয়।

মুক্তা পটুয়াখালী সদর উপজেলার লোহালিয়া ইউনিয়নের কাঁকড়াবুনিয়া গ্রামের সুভাষ হালদারের মেয়ে। অপরদিকে, অসীম সরকার দুমকি উপজেলার মুরাদিয়া গ্রামের অনিল সরকারের ছেলে।

স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে পারিবারিকভাবে তাদের বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ৭ ফেব্রুয়ারি বিকালে মুক্তা রাণী অসীম সরকারের বাড়িতে উপস্থিত হন। ওই সময় অসীম বাড়িতে ছিলেন না। এরপর মুক্তা তার সঙ্গে অসীমের সম্পর্কের বিষয়টি ওই পরিবারের লোকজনকে জানিয়ে বিয়ের দাবি তোলেন।

এদিকে, মুক্তা বাড়িতে আসার খবর পেয়ে অসীম গা ঢাকা দেন। অসীমের পরিবারও বিয়ের দাবি মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানায়। এভাবে এক, দুই, তিন দিন করে আট দিন পর্যন্ত মুক্ত ওই বাড়ি থেকে সরেননি। এক পর্যায়ে তিনি খাওয়া-দাওয়া বন্ধ করে দেন। বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা মীমাংসার উদ্যোগ নেন।

অসীমের বাবা অনিল সরকার জানান, আট দিন ধরে মুক্তা তাদের বাড়িতে ছিলেন। শুরুতে তারা বিয়ের ব্যাপারে রাজি ছিলেন না। তবে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে দুই পরিবার আলাপ-আলোচনা শেষে আনুষ্ঠানিকভাবে তার ছেলের সঙ্গে মুক্তার বিয়ে হয়।

জানতে চাইলে মুরাদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান সিকদার বলেন, “গত সোমবার দুই পরিবারের লোকজনকে নিয়ে বৈঠক হয়। বৈঠকে লোহালিয়া ইউপি চেয়ারম্যান কবির হোসেন তালুকদারও উপস্থিত ছিলেন। পরে দুই পরিবার বিয়ের ব্যাপারে সম্মতি প্রকাশ করে। পরদিন অসীম সরকার বাড়িতে এলে দুই পরিবারের উপস্থিতিতে শাস্ত্রীয় আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে বিয়ে সম্পন্ন হয়।”

বিয়ের অনুষ্ঠানে মিজানুর রহমান সিকদার, ইউপি সদস্য জান্নাতুল ফেরদৌসীসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।

৮ দিন অনশন, অবশেষে দাবি আদায় করেই ছাড়লেন প্রেমিকা

প্রকাশের সময় : ১১:৫৮:২২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২২

পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার মুরাদিয়া ইউনিয়নের মুরাদিয়া গ্রামে  বিয়ের দাবি নিয়ে প্রেমিক অসীম সরকারের (২৬) বাড়িতে অবস্থান নিয়েছিলেন মুক্তা রাণী (২২) নামে এক তরুণী। সেসময় বাড়ি থেকে পালিয়ে আত্মগোপনে ছিলেন অসীম। অবশেষে টানা আট দিন প্রেমিকের বাড়িতে অবস্থানের পর তাদের বিয়ে হয়।

মুক্তা পটুয়াখালী সদর উপজেলার লোহালিয়া ইউনিয়নের কাঁকড়াবুনিয়া গ্রামের সুভাষ হালদারের মেয়ে। অপরদিকে, অসীম সরকার দুমকি উপজেলার মুরাদিয়া গ্রামের অনিল সরকারের ছেলে।

স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে পারিবারিকভাবে তাদের বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ৭ ফেব্রুয়ারি বিকালে মুক্তা রাণী অসীম সরকারের বাড়িতে উপস্থিত হন। ওই সময় অসীম বাড়িতে ছিলেন না। এরপর মুক্তা তার সঙ্গে অসীমের সম্পর্কের বিষয়টি ওই পরিবারের লোকজনকে জানিয়ে বিয়ের দাবি তোলেন।

এদিকে, মুক্তা বাড়িতে আসার খবর পেয়ে অসীম গা ঢাকা দেন। অসীমের পরিবারও বিয়ের দাবি মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানায়। এভাবে এক, দুই, তিন দিন করে আট দিন পর্যন্ত মুক্ত ওই বাড়ি থেকে সরেননি। এক পর্যায়ে তিনি খাওয়া-দাওয়া বন্ধ করে দেন। বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা মীমাংসার উদ্যোগ নেন।

অসীমের বাবা অনিল সরকার জানান, আট দিন ধরে মুক্তা তাদের বাড়িতে ছিলেন। শুরুতে তারা বিয়ের ব্যাপারে রাজি ছিলেন না। তবে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে দুই পরিবার আলাপ-আলোচনা শেষে আনুষ্ঠানিকভাবে তার ছেলের সঙ্গে মুক্তার বিয়ে হয়।

জানতে চাইলে মুরাদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান সিকদার বলেন, “গত সোমবার দুই পরিবারের লোকজনকে নিয়ে বৈঠক হয়। বৈঠকে লোহালিয়া ইউপি চেয়ারম্যান কবির হোসেন তালুকদারও উপস্থিত ছিলেন। পরে দুই পরিবার বিয়ের ব্যাপারে সম্মতি প্রকাশ করে। পরদিন অসীম সরকার বাড়িতে এলে দুই পরিবারের উপস্থিতিতে শাস্ত্রীয় আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে বিয়ে সম্পন্ন হয়।”

বিয়ের অনুষ্ঠানে মিজানুর রহমান সিকদার, ইউপি সদস্য জান্নাতুল ফেরদৌসীসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।