বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

ভোটাধিকার রক্ষায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে: ড. কামাল

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশের সময় : ১২:১৬:৫৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২২
  • ৪৯

ফাইল ছবি

গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেন বলেছেন, ভোটাধিকার রক্ষায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। এর জন্য মানুষকে সচেতন করতে হবে। পাড়া-মহল্লায় ঐক্য গড়ে তুলতে হবে।

শনিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘বর্তমান জাতীয় সংকট এবং সমাধানে নাগরিক ভাবনা’ শীর্ষক এক সেমিনারে ড. কামাল হোসেন এসব কথা বলেন।

নাগরিক সমাজের ব্যানারে আয়োজিত সেমিনারে সভাপতির বক্তব্যে ড. কামাল হোসেন বলেন, জনগণ এ দেশের মালিক। ভোটাধিকার মানুষের সবচেয়ে মূল্যবান অধিকার। এটি রক্ষা করার জন্য সক্রিয় ভূমিকা রাখতে হবে। না হলে যারা এই অধিকার থেকে জনগণকে বঞ্চিত করতে চায়, তারা সফল হয়ে যাবে।

সেমিনারে উপস্থাপিত লিখিত বক্তব্যে ড. কামাল হোসেন বলেন, দেশ এখন সর্বগ্রাসী সংকটে নিমজ্জিত। রাষ্ট্রের সর্বক্ষেত্রে আজ ভগ্নদশা।

তিনি বলেন, ‘জনগণের দাবি যখন নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য একটি শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় আইন প্রণয়ন করা, তখন সরকার দেশের জাতির বিবেককে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য তড়িঘড়ি করে আইন প্রণয়ন করেছে একটি সার্চ কমিটি গঠনের জন্য, যা নির্বাচন কমিশন গঠনের আইন বলে প্রচার করা জাতির সঙ্গে তামাশা ও এক মহা প্রহসনমাত্র।

নির্বাচন কমিশন গঠনে রাষ্ট্রপতির করা অনুসন্ধান কমিটির ওপর আস্থা নেই বলে মন্তব্য করেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ড. আকবর আলি খান।

তিনি বলেন, অনুসন্ধান কমিটির ওপর সুশীল সমাজের নেতারা আস্থা প্রকাশ করেছেন। কিন্তু তাঁর আস্থা নেই। সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ মানুষ পাওয়া যাবে না।

আকবর আলি খান আরও বলেন, রাজনীতিক দলগুলোরও সংস্কার করতে হবে। বেশির ভাগ দল গণতান্ত্রিক রীতিনীতিতে বিশ্বাস করে না।

সেমিনারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনে সরকার ফলাফল বেহাত করতে তিনটি কাজ করছে। সরকার অনুগত লোকদের নিয়ে একটি অনুসন্ধান কমিটি গঠন করেছে।

তিনি আশঙ্কা করেন, এর মাধ্যমে একটি অনুগত ও মেরুদণ্ডহীন নির্বাচন কমিশন গঠন করা হবে এবং পেপার অডিট ট্রেইল ছাড়া ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারের মাধ্যমে আসল কারচুপি হবে।

অন্যদের মধ্যে গণফোরামের সাংসদ মোকাব্বির খান, আইনজীবী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বক্তব্য দেন।

ভোটাধিকার রক্ষায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে: ড. কামাল

প্রকাশের সময় : ১২:১৬:৫৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২২

গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেন বলেছেন, ভোটাধিকার রক্ষায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। এর জন্য মানুষকে সচেতন করতে হবে। পাড়া-মহল্লায় ঐক্য গড়ে তুলতে হবে।

শনিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘বর্তমান জাতীয় সংকট এবং সমাধানে নাগরিক ভাবনা’ শীর্ষক এক সেমিনারে ড. কামাল হোসেন এসব কথা বলেন।

নাগরিক সমাজের ব্যানারে আয়োজিত সেমিনারে সভাপতির বক্তব্যে ড. কামাল হোসেন বলেন, জনগণ এ দেশের মালিক। ভোটাধিকার মানুষের সবচেয়ে মূল্যবান অধিকার। এটি রক্ষা করার জন্য সক্রিয় ভূমিকা রাখতে হবে। না হলে যারা এই অধিকার থেকে জনগণকে বঞ্চিত করতে চায়, তারা সফল হয়ে যাবে।

সেমিনারে উপস্থাপিত লিখিত বক্তব্যে ড. কামাল হোসেন বলেন, দেশ এখন সর্বগ্রাসী সংকটে নিমজ্জিত। রাষ্ট্রের সর্বক্ষেত্রে আজ ভগ্নদশা।

তিনি বলেন, ‘জনগণের দাবি যখন নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য একটি শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় আইন প্রণয়ন করা, তখন সরকার দেশের জাতির বিবেককে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য তড়িঘড়ি করে আইন প্রণয়ন করেছে একটি সার্চ কমিটি গঠনের জন্য, যা নির্বাচন কমিশন গঠনের আইন বলে প্রচার করা জাতির সঙ্গে তামাশা ও এক মহা প্রহসনমাত্র।

নির্বাচন কমিশন গঠনে রাষ্ট্রপতির করা অনুসন্ধান কমিটির ওপর আস্থা নেই বলে মন্তব্য করেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ড. আকবর আলি খান।

তিনি বলেন, অনুসন্ধান কমিটির ওপর সুশীল সমাজের নেতারা আস্থা প্রকাশ করেছেন। কিন্তু তাঁর আস্থা নেই। সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ মানুষ পাওয়া যাবে না।

আকবর আলি খান আরও বলেন, রাজনীতিক দলগুলোরও সংস্কার করতে হবে। বেশির ভাগ দল গণতান্ত্রিক রীতিনীতিতে বিশ্বাস করে না।

সেমিনারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনে সরকার ফলাফল বেহাত করতে তিনটি কাজ করছে। সরকার অনুগত লোকদের নিয়ে একটি অনুসন্ধান কমিটি গঠন করেছে।

তিনি আশঙ্কা করেন, এর মাধ্যমে একটি অনুগত ও মেরুদণ্ডহীন নির্বাচন কমিশন গঠন করা হবে এবং পেপার অডিট ট্রেইল ছাড়া ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারের মাধ্যমে আসল কারচুপি হবে।

অন্যদের মধ্যে গণফোরামের সাংসদ মোকাব্বির খান, আইনজীবী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বক্তব্য দেন।