কক্সবাজার টেকনাফে কেরুনতলীর গহীন পাহাড়ে র্যাব -১৫ অভিযান চালিয়ে ৬ টি অস্ত্র ও ৮ রাউন্ড তাজা কার্তুজসহ ডাকাত গ্রুপের (সর্দার) প্রধান খায়রুল আমিনকে গ্রেফতার করেছে
১৯ ফেব্রুয়ারি রাতে র্যাব -১৫ গোপন সংবাদে জানতে পারে টেকনাফে কেরুনতলীর এলাকায় ডাকাত গ্রুপের প্রধান খায়রুল আমিন টেকনাফ থানাধীন কাস্টমঘাট এলাকায় অবস্থান করছে ।
উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব -১৫ আভিযানিক দল উক্ত এলাকায় বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে। আভিযানিক দল বর্ণিত স্থান হতে খায়রুল আমিনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় ।
তখন উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে ধৃত ব্যক্তির দেহ তল্লাশী করে ১ টি দেশীয় পিস্তল ও ২ রাউন্ড তাজা কার্তুজ উদ্ধার করা হয় ।
রোহিঙ্গা মৃত মোস্তাফিজ এর পুত্র খায়রুল আমিন ( ৩৮ ) মাতা – রাবেয়া খাতুন , সাং – কুতুপালং রেজিস্টার ক্যাম্প -০১ , ব্লক – এফ ।
জিজ্ঞাসাবাদের জানা যায়, একদল ডাকাত টেকনাফ থানাধীন কেরুনতলীর গভীর অরণ্যে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদসহ অবস্থান করছে ।
র্যাব -১৫ এর আভিযানিক দল ধৃত আসামীকে সাথে নিয়ে ২০ ফেব্রুয়ারি রাত ৩ টার সময় টেকনাফের কেরুনতলী এলাকার গহীন পাহাড়ের ভিতরে অভিযান পরিচালনা করে ।
বর্ণিত জায়গায় পৌঁছালে কতিপয় ডাকাত একটি বস্তা ফেলে অন্ধকারের মধ্যে পাহাড়ের ভিতরে পালিয়ে যায় তখন উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে বস্তার ভিতর হতে ৩ টি একনলা বন্দুক , ২ টি থ্রি – কোয়ার্টারগান ও ৬ রাউন্ড তাজা কার্তুজ পাওয়া যায় ।
সহকারী পুলিশ সুপার সহকারী পরিচালক অধিনায়ক মোঃ বিল্লাল উদ্দিন জানান, খায়রুল আমিন ডাকাত গ্রুপ এক আতঙ্কের নাম । দীর্ঘদিন যাবৎ তারা খুন , গুম , অপহরণ , চাঁদাবাজি , ডাকাতি ও ইয়াবা ব্যবসা করে আসছে ।
তাকে ধরতে গত ২-৩ মাস ধরে র্যাব গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে ।
উদ্ধারকৃত অস্ত্র ও গোলাবারুদসমূহ নাশকতা এবং ডাকাতি করার উদ্দেশ্যে উক্ত স্থানে মজুদ করছিল আসামী স্বীকার করেন ।
গ্রেফতারকৃত আসামী সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন ।