
ফেনীতে কাজে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে দুর্গাপুর উপজেলার পাটলী গ্রামের নোমান(২১) নামে এক যুবককে অপহরণ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশী বাদশা মিয়ার বিরুদ্ধে। গত বৃহস্পতিবার এই অপহরণের ঘটনা ঘটলেও আজ মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত ওই যুবকের কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। তবে এরই মধ্যে চক্রটি অপহৃত যুবকের পরিবার ও স্বজনদের কাছে মুঠোফোনে কল করে ১ লাখ ৪০ জাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছে। অপহৃত নোমান মিয়া বাকলজোড়া ইউনিয়নের পাটলী গ্রামের মোঃ শুক্কর আলীর ছেলে। অভিযোগ ওঠা প্রতিবেশী আমরুজ আলীর পুত্র বাদশা মিয়া(৩২) এই অপহরণ ঘটনার সাথে প্রত্যক্ষ জড়িত বলেও দাবী স্বজনদের।
ওই অপহরণের ঘটনায় গত সোমবার(২১ ফেব্রুয়ারি) দিনগত রাতে দুর্গাপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করে অপহৃত ভুক্তভোগীর পিতা শুক্কর আলী। ওই অভিযোগটির তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টর আব্দুল্লাহ আল ফাহাদ নিখোঁজ ব্যক্তির সন্ধানে সর্বাত্বক চেষ্টা করছেন বলে জানান।
অপহৃত যুবকের পিতা শুক্কর আলী বলেন, নোমান তার স্ত্রী ও সন্তান নিয়ে গাজীপুর কোনাবাড়ি এলাকায় রিক্সা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতো। সে গত ১৭ই ফেব্রুয়ারি গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে আসে। ওইদিন বিকেলে প্রতিবেশী আমরুজ আলীর পুত্র বাদশা মিয়া(৩২) ফেনীতে নিয়ে যায়। সেখান থেকে মুঠোফোনে তাকে আটক,শারীরিকভাবে নির্যাতন ও মুক্তিপণের বিষয়টি ছোট বোন নুরজাহানকে অবহিত করে। বাদশা মিয়া ও ফেনীর লাবু মিয়া নামের দুজনের নেতৃত্বে ওই যুবককে অপহরণের ঘটনা ঘটেছে। মুক্তিপণের টাকা দিতে সোস্যাল মিডিয়া ইমুর মাধ্যমে শিকলে বাঁধা ছবি, পলিথিনের ব্যাগে রাখা গাঁজা ও মারধরের একটি ভিডিও পাটায় চক্রটি অপহৃতের বড় ভাই শামীমের মুঠোফোনে।
যুবক অপহরণের বিষয়টি নিশ্চিত করে দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মীর মাহবুব বলেন, অপহৃত যুবকের ঘটনাস্থল ফেনী হলেও নিজ বাড়ি দুর্গাপুর উপজেলার পাটলী গ্রামে। ফলে ওই অপহৃত যুবকের উদ্ধারে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করছি। বিষয়টি খুব গুরুত্বের সাথে দেখা হচ্ছেও বলে তিনি জানান।
দুর্গাপুর সার্কেল এর সিনিয়র পুলিশ সুপার মাহমুদা শারমিন নেলী বলেন, ঘটনাস্থল অন্যত্র জায়গা হওয়ায় অনেকটা জটিলতা রয়েছে। তবে ওসি সাহেবকে বলে দিচ্ছি। মুক্তিপণদাতার মোবাইল ফোনের লোকেশন নিশ্চিত করে সংশ্লিষ্ট থানায় গিয়ে অপহৃত যুবককে উদ্ধারে সহযোগিতা করা হবে।
বার্তা/এন
শফিকুল আলম সজীব, জেলা প্রতিনিধি নেত্রকোনা 







































