তথ্য সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, মানুষের ক্রয় ক্ষমতা তিন গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতিটি মানুষের ভাগ্যের উন্নয়ন হয়েছে। মানুষের মাথাপিছু আয় গত ১৩ বছরে সাড়ে চার গুণগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।

মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলায় বাংলাদেশের চলচ্চিত্র উৎসবে যোগদানকালে দুই দেশের শূন্যরেখায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, উন্নয়নের কারণে পুরো বাংলাদেশের চেহারা পাল্টে গেছে। সমগ্র পৃথিবী বাংলাদেশের প্রশংসা করছে। জাতিসংঘের মহাসচিব প্রশংসা করছে। বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট প্রশংসা করছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট প্রশংসা করছে।

তিনি বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেবরা উন্নয়নে কিছু দেখতে পায় না। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেবেরা মানুষকে প্রতারিত করেছে। তারা যখন ক্ষমতায় ছিল নিজেদের আখের ঘুছিয়েছে। তারা হাওয়া ভবন পরিচালনা করে সমান্তরাল সরকার পরিচালনা করেছে। দুর্নীতির মাধ্যমে হাজার হাজার কোটি টাকা লোপাট করে বিদেশে নিয়ে গেছে। তারেক জিয়া বিদেশে বসে এখন বিলাসবহুল জীবনযাপন করছে। দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। তারা যদি অপরাজনীতি না করত, সবকিছুতে না না-বলতো তাহলে গত ১৩ বছরে দেশ আরো অনেক দূর এগিয়ে যেত।

এ সময় তিনি বাংলাদেশের চ্যানেলগুলো ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে প্রচার বিষয় নিয়েও কথা বলেন। এর আগে মঙ্গলবার বিকেলে বাংলাদেশের চলচ্চিত্র শিল্পের সাথে জড়িত বিভিন্ন নায়ক নায়িকাসহ ২৮ সদস্যের প্রতিনিধিদল একই পথে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলা পৌঁছান।

রাতে আখাউড়া স্থলবন্দরে মন্ত্রীকে স্বাগত জানান, আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রোমানা আক্তার, পৌরসভার মেয়র তাকজিল খলিফা কাজল প্রমুখ।

পরে ভারত অভ্যন্তরে তাকে স্বাগত জানান, ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের সহকারী হাই কমিশনার আরিফ মোহাম্মদ, ভারতের দিল্লীতে বাংলাদেশ হাইকমিশনে নিযুক্ত প্রেস মিনিস্টার শাবান মাহমুদ, কলকাতা বাংলাদেশ হাইকমিশনে নিযুক্ত ফার্স্ট সেক্রেটারি (প্রেস) রঞ্জন রঞ্জন সেনসহ দুই দেশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে নিজ দেশে ফেরার কথা রয়েছে তথ্যমন্ত্রীর।