মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ফুলের রাজধানী আমার জন্মভূমি: মনিরুজ্জামান

মনিরুজ্জামান ফেসবুক থেকে

ফুলের রাজধানী যশোরের গদখালি আমার জন্মভূমি।বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালীন সময়েই এলাকার ফুলচাষী ও ফুল ব্যাবসায়ীদের সাথে আমার সংযোগ ছিল নিবিড়।সে সম্পর্ক আরো গাঢ় হয়েছে দিনে দিনে,প্রয়োজনে,কারণে অকারনে।
সময়ের পরিক্রমায় গদখালির ফুল চাষীরা আজ আর গদখালি,ঝিকরগাছা বা যশোরের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই,তারা এখন তাদের কর্মক্ষেত্র বিস্তৃত করেছে সাভার,নারায়নগঞ্জ,মানিকগঞ্জ সহ ঢাকার আশেপাশের বিন্তীর্ণ অঞ্চলে।তাদের এ প্রয়াসে আমি সবসময়ই তাদের পাশে থাকার চেষ্টা করেছি।
আমাদের এলাকার কয়েকজন উদ্যমী পরিজায়ী তরুন ফুলচাষী মানিকগঞ্জের সিংগাইরে বিস্তৃত অঞ্চল নিয়ে গড়ে তুলেছে তাদের পুষ্প নিকেতন।সময়ে অসময়ে উৎপাদন বিপননের নানা পর্যায়ে অনাহুত ঝামেলায় ওরা আমার কাছে ছুটে আসে,আমিও সাধ্যমত তাদের পাশে দাড়াই।ফুল,ফুলচাষী,ফুলের কারবারি আর এলাকার মানুষের সাথে আমার কেমিষ্ট্রিটা দীর্ঘ বছরের।
প্রায়ই ওরা যেতে বলে ওদের ফুল,সবজির যৌথ খামারে।আমার শুক্রবারের সকালটা  পরিবারের জন্য ডেডিকেটেড রাখার চেষ্টা করি।গতকাল হঠাৎ করেই সিদ্ধান্ত নিলাম যাব ওদের খামারে আজ সকালে।
গোলাপ,রজনীগন্ধা,জারবারা,গ্লাডিওলাস,গাদা,চন্দ্রমল্লিকার বাগানে গিয়ে মনে হল নিজের গ্রামেই এসেছি।হেমায়েতপুর মানিকগঞ্জ রোড থেকে সিংগাইরের ধল্লা এলাকায় যাবার এবড়ো থেবড়ো রাস্তাটি আমাদের হ্যাংআউটকে স্মরনীয় করেছে আরো বেশী।রাস্তার সমান্তরালে ঝিরিঝিরি বয়ে যাওয়া সরু খালটি,তার দুধারের সবজি,ভুট্টা,ঘাসের ক্ষেত,খালের উপর কিছু দূর পর পর বাঁশের সাঁকো,গরু ছাগল,হাঁস মুরগী কবুতরের সারি,সাঁকো পেরিয়ে পায়ে চলা পথে শিশুদের লুটোপুটি খেলা সবমিলিয়ে দারুন ছিল ৪/৫ কিলোমিটারের গ্রাম্য রাস্তাটি।
খামারের কর্মী আর স্হানীয় অধিবাসীদের আন্তরিক ভালবাসা আমাদের স্বল্পসময়ের অবস্হানকে আরো স্মরণীয় করেছে।আমাদেরও ফেরার তাড়া ছিল।ফেরার সময় আবারও আপ্লুত হলাম ওদের উষ্ণ ভালভাসায়।তাজা ফুল,ফুলের চারা,টবে লাগানো গাছের পাশাপাশি উপহার হিসাবে দিল সদ্য দোয়ানো গরুর দুধ,দেশী মুরগীর ডিম,লাউপাতা,শিম আর একরাশ ভালবাসা।
রাব্বুুল আলামিন সত্যিই মেহেরবান।আমার প্রতি তার করুনা অপার। মাঝেমাঝেই ভাবি অল্পসল্প চেনাজানা সাধারণ মানুষের এত এত ভালবাসার ঋণ যেভাবে বাড়ছে তা শোধ করবো কিভাবে? মানুষের ভালবাসার এই গুরুভার যিনি দিয়েছেন সেই মা’বুদের কাছেই চাই তা শোধ করার চেষ্টাটুকু অন্তত করার তৌফিক পরোয়ার দিগার আমাকে যেন দেন।
–মনিরুজ্জামান ফেসবুক
জনপ্রিয়

ফুলের রাজধানী আমার জন্মভূমি: মনিরুজ্জামান

প্রকাশের সময় : ০৭:৩৪:৪০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২২
ফুলের রাজধানী যশোরের গদখালি আমার জন্মভূমি।বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালীন সময়েই এলাকার ফুলচাষী ও ফুল ব্যাবসায়ীদের সাথে আমার সংযোগ ছিল নিবিড়।সে সম্পর্ক আরো গাঢ় হয়েছে দিনে দিনে,প্রয়োজনে,কারণে অকারনে।
সময়ের পরিক্রমায় গদখালির ফুল চাষীরা আজ আর গদখালি,ঝিকরগাছা বা যশোরের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই,তারা এখন তাদের কর্মক্ষেত্র বিস্তৃত করেছে সাভার,নারায়নগঞ্জ,মানিকগঞ্জ সহ ঢাকার আশেপাশের বিন্তীর্ণ অঞ্চলে।তাদের এ প্রয়াসে আমি সবসময়ই তাদের পাশে থাকার চেষ্টা করেছি।
আমাদের এলাকার কয়েকজন উদ্যমী পরিজায়ী তরুন ফুলচাষী মানিকগঞ্জের সিংগাইরে বিস্তৃত অঞ্চল নিয়ে গড়ে তুলেছে তাদের পুষ্প নিকেতন।সময়ে অসময়ে উৎপাদন বিপননের নানা পর্যায়ে অনাহুত ঝামেলায় ওরা আমার কাছে ছুটে আসে,আমিও সাধ্যমত তাদের পাশে দাড়াই।ফুল,ফুলচাষী,ফুলের কারবারি আর এলাকার মানুষের সাথে আমার কেমিষ্ট্রিটা দীর্ঘ বছরের।
প্রায়ই ওরা যেতে বলে ওদের ফুল,সবজির যৌথ খামারে।আমার শুক্রবারের সকালটা  পরিবারের জন্য ডেডিকেটেড রাখার চেষ্টা করি।গতকাল হঠাৎ করেই সিদ্ধান্ত নিলাম যাব ওদের খামারে আজ সকালে।
গোলাপ,রজনীগন্ধা,জারবারা,গ্লাডিওলাস,গাদা,চন্দ্রমল্লিকার বাগানে গিয়ে মনে হল নিজের গ্রামেই এসেছি।হেমায়েতপুর মানিকগঞ্জ রোড থেকে সিংগাইরের ধল্লা এলাকায় যাবার এবড়ো থেবড়ো রাস্তাটি আমাদের হ্যাংআউটকে স্মরনীয় করেছে আরো বেশী।রাস্তার সমান্তরালে ঝিরিঝিরি বয়ে যাওয়া সরু খালটি,তার দুধারের সবজি,ভুট্টা,ঘাসের ক্ষেত,খালের উপর কিছু দূর পর পর বাঁশের সাঁকো,গরু ছাগল,হাঁস মুরগী কবুতরের সারি,সাঁকো পেরিয়ে পায়ে চলা পথে শিশুদের লুটোপুটি খেলা সবমিলিয়ে দারুন ছিল ৪/৫ কিলোমিটারের গ্রাম্য রাস্তাটি।
খামারের কর্মী আর স্হানীয় অধিবাসীদের আন্তরিক ভালবাসা আমাদের স্বল্পসময়ের অবস্হানকে আরো স্মরণীয় করেছে।আমাদেরও ফেরার তাড়া ছিল।ফেরার সময় আবারও আপ্লুত হলাম ওদের উষ্ণ ভালভাসায়।তাজা ফুল,ফুলের চারা,টবে লাগানো গাছের পাশাপাশি উপহার হিসাবে দিল সদ্য দোয়ানো গরুর দুধ,দেশী মুরগীর ডিম,লাউপাতা,শিম আর একরাশ ভালবাসা।
রাব্বুুল আলামিন সত্যিই মেহেরবান।আমার প্রতি তার করুনা অপার। মাঝেমাঝেই ভাবি অল্পসল্প চেনাজানা সাধারণ মানুষের এত এত ভালবাসার ঋণ যেভাবে বাড়ছে তা শোধ করবো কিভাবে? মানুষের ভালবাসার এই গুরুভার যিনি দিয়েছেন সেই মা’বুদের কাছেই চাই তা শোধ করার চেষ্টাটুকু অন্তত করার তৌফিক পরোয়ার দিগার আমাকে যেন দেন।
–মনিরুজ্জামান ফেসবুক