শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাশিয়ার ৩৫০০ সেনা হত্যা, দাবি ইউক্রেনের

সংগৃহীত ছবি

ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের বিভিন্ন অঞ্চলে তীব্র হামলা ও বিস্ফোরণের খবর পাওয়া যাচ্ছে। সেইসঙ্গে দক্ষিণ, পূর্ব ও উত্তরের প্রধান ইউক্রেনীয় শহরগুলোর চারপাশে যুদ্ধ চলছে।

ইউক্রেনের কর্মকর্তারা বলেছেন, রাশিয়ান বাহিনী চেষ্টা করছে রাজধানী কিয়েভ পুরোপুরি দখলে নেয়ার। আজ শনিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি)  উভয় পক্ষের সেনাদের সংঘর্ষের মধ্যে ইউক্রেন দাবি করেছে, রাশিয়ার সাড়ে তিন হাজার সেনাকে হত্যা করেছে তারা।

ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী তাদের ফেসবুক পেজে দাবি করে, তারা আগ্রাসনে জড়িত ৩ হাজার ৫০০ রুশ সেনাকে হত্যা ও প্রায় ২০০ জনকে বন্দি করেছে। এখন পর্যন্ত রাশিয়া ১৪টি যুদ্ধবিমান, আটটি হেলিকপ্টার ও ১০২টি ট্যাংক হারিয়েছে। এসব দাবির সত্যতা যাচাই করতে পারেনি বিবিসি।

গত বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর পর এখন পর্যন্ত নিজেদের কত সেনা হতাহত হয়েছে, সে সম্পর্কে রাশিয়া এখনও কিছুই জানায়নি। এদিকে আজ কৃষ্ণসাগর থেকে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ লক্ষ্য করে একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছে বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে জানা যাচ্ছে।

এছাড়া ইউক্রেনের একাধিক অঞ্চলে বিমান হামলা চালাচ্ছে রাশিয়া। এতে যুদ্ধ সহিংসতার বিস্তৃতি ছড়াচ্ছে।

কিয়েভের রাস্তায় রাস্তায় লড়াই শুরু হয়েছে। আজ ভোর থেকেই কিয়েভে একাধিক বিস্ফোরণ ও উভয় পক্ষের সেনাদের মধ্যে সংঘর্ষের খবর পাওয়া যাচ্ছে। রাজধানীর মাইডান স্কয়ারের কাছে একটি বড় ধরণের বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে এবং শহরের ত্রয়েশ্চিনা এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, কিয়েভের উপর গোলা হামলার শব্দ এতোটাই তীব্র ছিল যে শহরের কেন্দ্র থেকে কয়েক মাইল দূর পর্যন্ত শব্দ পেয়েছেন তারা।

কিয়েভ ইন্ডিপেন্ডেন্ট বলছে, শহরের চিড়িয়াখানার কাছে ও শুলিয়াভকা শহরের আশেপাশে ৫০টিরও বেশি বিস্ফোরণ ও ভারী মেশিনগানে গোলাগুলি হয়েছে।

ইউক্রেনীয় স্টেট স্পেশাল সার্ভিসের মতে, রাজধানীর ট্রয়েসচিনা এলাকার সিএইচপি-৬ পাওয়ার স্টেশনের কাছে তীব্র লড়াই চলছে। এই হামলার মাধ্যমে পুরো শহরটিকে বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন করা হতে পারে।

কিয়েভের পেরেমোহি অ্যাভিনিউতে গাড়ির ধ্বংসাবশেষ ও বিভিন্ন স্থানে আগুন জ্বলতে দেখা গেছে। ভাসিলকিভের একটি বিমান ঘাঁটির কাছে তীব্র লড়াইয়ের খবর পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে রাশিয়ান প্যারাট্রুপাররা কিয়েভের উপর হামলা চালানোর জন্য এই ঘাঁটিকে তাদের কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করবে।

অন্যদিকে ইউক্রেনীয় বাহিনী দাবি করছে, তারা কৃষ্ণ সাগরের শহর মাইকোলাইভে থেকে রাশিয়ানদের সফলভাবে হটিয়ে দিয়েছে। সেইসাথে কিয়েভ সেনা ঘাঁটিতে হামলা ঠেকিয়ে দেয়া হয়েছে।

ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনী শনিবার একটি ফেসবুক পোস্টে জানায়, কিয়েভের একটি সেনা ঘাঁটিতে রাশিয়ান সৈন্যরা আক্রমণের চেষ্টা করলে তারা এর বিরুদ্ধে লড়াই শুরু করে।

সুত্র-বিবিসি

রাশিয়ার ৩৫০০ সেনা হত্যা, দাবি ইউক্রেনের

প্রকাশের সময় : ০৪:৫১:০৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২২

ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের বিভিন্ন অঞ্চলে তীব্র হামলা ও বিস্ফোরণের খবর পাওয়া যাচ্ছে। সেইসঙ্গে দক্ষিণ, পূর্ব ও উত্তরের প্রধান ইউক্রেনীয় শহরগুলোর চারপাশে যুদ্ধ চলছে।

ইউক্রেনের কর্মকর্তারা বলেছেন, রাশিয়ান বাহিনী চেষ্টা করছে রাজধানী কিয়েভ পুরোপুরি দখলে নেয়ার। আজ শনিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি)  উভয় পক্ষের সেনাদের সংঘর্ষের মধ্যে ইউক্রেন দাবি করেছে, রাশিয়ার সাড়ে তিন হাজার সেনাকে হত্যা করেছে তারা।

ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী তাদের ফেসবুক পেজে দাবি করে, তারা আগ্রাসনে জড়িত ৩ হাজার ৫০০ রুশ সেনাকে হত্যা ও প্রায় ২০০ জনকে বন্দি করেছে। এখন পর্যন্ত রাশিয়া ১৪টি যুদ্ধবিমান, আটটি হেলিকপ্টার ও ১০২টি ট্যাংক হারিয়েছে। এসব দাবির সত্যতা যাচাই করতে পারেনি বিবিসি।

গত বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর পর এখন পর্যন্ত নিজেদের কত সেনা হতাহত হয়েছে, সে সম্পর্কে রাশিয়া এখনও কিছুই জানায়নি। এদিকে আজ কৃষ্ণসাগর থেকে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ লক্ষ্য করে একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছে বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে জানা যাচ্ছে।

এছাড়া ইউক্রেনের একাধিক অঞ্চলে বিমান হামলা চালাচ্ছে রাশিয়া। এতে যুদ্ধ সহিংসতার বিস্তৃতি ছড়াচ্ছে।

কিয়েভের রাস্তায় রাস্তায় লড়াই শুরু হয়েছে। আজ ভোর থেকেই কিয়েভে একাধিক বিস্ফোরণ ও উভয় পক্ষের সেনাদের মধ্যে সংঘর্ষের খবর পাওয়া যাচ্ছে। রাজধানীর মাইডান স্কয়ারের কাছে একটি বড় ধরণের বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে এবং শহরের ত্রয়েশ্চিনা এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, কিয়েভের উপর গোলা হামলার শব্দ এতোটাই তীব্র ছিল যে শহরের কেন্দ্র থেকে কয়েক মাইল দূর পর্যন্ত শব্দ পেয়েছেন তারা।

কিয়েভ ইন্ডিপেন্ডেন্ট বলছে, শহরের চিড়িয়াখানার কাছে ও শুলিয়াভকা শহরের আশেপাশে ৫০টিরও বেশি বিস্ফোরণ ও ভারী মেশিনগানে গোলাগুলি হয়েছে।

ইউক্রেনীয় স্টেট স্পেশাল সার্ভিসের মতে, রাজধানীর ট্রয়েসচিনা এলাকার সিএইচপি-৬ পাওয়ার স্টেশনের কাছে তীব্র লড়াই চলছে। এই হামলার মাধ্যমে পুরো শহরটিকে বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন করা হতে পারে।

কিয়েভের পেরেমোহি অ্যাভিনিউতে গাড়ির ধ্বংসাবশেষ ও বিভিন্ন স্থানে আগুন জ্বলতে দেখা গেছে। ভাসিলকিভের একটি বিমান ঘাঁটির কাছে তীব্র লড়াইয়ের খবর পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে রাশিয়ান প্যারাট্রুপাররা কিয়েভের উপর হামলা চালানোর জন্য এই ঘাঁটিকে তাদের কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করবে।

অন্যদিকে ইউক্রেনীয় বাহিনী দাবি করছে, তারা কৃষ্ণ সাগরের শহর মাইকোলাইভে থেকে রাশিয়ানদের সফলভাবে হটিয়ে দিয়েছে। সেইসাথে কিয়েভ সেনা ঘাঁটিতে হামলা ঠেকিয়ে দেয়া হয়েছে।

ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনী শনিবার একটি ফেসবুক পোস্টে জানায়, কিয়েভের একটি সেনা ঘাঁটিতে রাশিয়ান সৈন্যরা আক্রমণের চেষ্টা করলে তারা এর বিরুদ্ধে লড়াই শুরু করে।

সুত্র-বিবিসি