শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

কাজ শেষ না হতেই মডেল মসজিদে ফাটল

প্রধানমন্ত্রীর অঙ্গীকার দেশের প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় একটি করে মডেল মসজিদ নির্মাণ করা হবে । এরই অংশ হিসেবে ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলায় নির্মাণ করা হচ্ছে মডেল মসজিদ। তবে মসজিদটির কাজ শেষ না হতেই বিভিন্ন দেয়ালে দেখা দিয়েছে ফাটল। এ নিয়ে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা।
জানা যায়,২০১৯ সালের আগস্টের দিকে ঠাকুরগাঁও জেলার হরিপুর উপজেলায় প্রায় ৪৩ শতক জমির ওপর নির্মাণ কাজ শুরু করা হয় এই মডেল মসজিদটির। পরে ২০২১ সালের ১০ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারাদেশে নির্মিত হরিপুর উপজেলার মডেল মসজিদটি সহ একযোগে ৫০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র উদ্বোধন করেন। সেদিন সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভার্চুয়াালি যুক্ত হয়ে সরাসরি আধুনিক ও সুসজ্জিত এই মডেল মসজিদ ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্রোগুলোর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। তবে এখনো কিছু কাজ বাকী থাকায় মসজিদটি কমিটির কাছে হস্তান্তর করা হয়নি। নির্মাণ কাজ শেষ না হতেই মসজিদটির বিভিন্ন দেয়ালে ফাটল। যদিও কর্তৃপক্ষ বলছেন এটা তেমন কোন বিষয় নয়।
গণপূর্ত অধিদপ্তরের বাস্তবায়নে মসজিদটির নির্মাণ কাজে ব্যয় ধরা হয় প্রায় ১২ কোটি ১৫ লক্ষ টাকা। আগামী দুই এক মাসের মধ্যে মসজিদটি কমিটির কাছে হস্তান্তর করার কথা রয়েছে বলে জানা গেছে।
স্থানীয়রা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “উদ্বোধন হওয়ার আট মাসের মধ্যে মডেল মসজিদটিতে ফাটল ধরার কারণে আমরা আতঙ্কে আছি। কারণ যে কোনো মুহূর্তে মসজিদটি ভেঙে পড়তে পারে। আর এর ফলে বড় ধরনের দুর্ঘটনাও ঘটতে পারে।
আমরা এখনও এই মসজিদে এক ওয়াক্ত নামাজ আদায় করতে পারিনি। আর এখন দেখা যাচ্ছে মসজিদের বিভিন্ন অংশে ফাটল। মসজিদের কাজে কোন অনিয়ম করা হলো কি না বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সুষ্ঠভাবে তদন্ত করবে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবে বলে আশা করছেন মসজিদ কমিটি।
মসজিদটির ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের নিযুক্ত ইমাম মুফতি মাসুদুর রহমান বলেন, সারা দেশে প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র করার যে উদ্যোগ সরকার নিয়েছে তা খুব প্রশংসনীয়। ইসলামের জন্য যা কিছু কল্যাণকর ইসলামিক সভ্যতা, ইসলামিক সংস্কৃতি অর্থাৎ ইসলাম শেখার জন্য যা কিছু দরকার সবকিছুই এখানে থাকছে। এসব কাজে যদি কোন অনিয়ম দুর্নীতি থেকে থাকে তবে তা সুষ্ঠুভাবে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া দরকার।
এদিকে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের খায়রুল কবিরের সাথে মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
ঠাকুরগাঁও গণপূর্ত বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী (সিভিল) এম কে এম নুরুল হাসান জানান, “আমরা সরেজমিনে মসজিদটি পরিদর্শন করেছি মসজিদের বিভিন্ন অংশে ফাটল ধরেছে। তবে এটি নিয়ে জনগণের আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এই ভবনটির দায়িত্বে যেহেতু আমরা আছি অবশ্যই বিষয়টি আমরা দেখব। সুন্দরভাবে মসজিদটির কাজ সম্পন্ন করে হস্তান্তর করা হবে।”
হরিপুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল করিম জানান, “আমি অভিযোগটি মৌখিকভাবে শুনেছি যে মসজিদের বিভিন্ন অংশে ফাটল ধরেছে। যেহেতু মসজিদটি এখনও আমরা বুঝে পায়নি, সেক্ষেত্রে গণপূর্ত বিভাগ তাদের ছোটখাটো ত্রুটিগুলো মেরামত করে আমাদেরকে মসজিদটি হস্তান্তর করবেন বলে জানিয়েছেন।
বার্তা/এন

রাজনীতিতে নাম লেখাতে যাচ্ছেন সানিয়া মির্জা

কাজ শেষ না হতেই মডেল মসজিদে ফাটল

প্রকাশের সময় : ০৬:১২:৪৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২২
প্রধানমন্ত্রীর অঙ্গীকার দেশের প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় একটি করে মডেল মসজিদ নির্মাণ করা হবে । এরই অংশ হিসেবে ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলায় নির্মাণ করা হচ্ছে মডেল মসজিদ। তবে মসজিদটির কাজ শেষ না হতেই বিভিন্ন দেয়ালে দেখা দিয়েছে ফাটল। এ নিয়ে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা।
জানা যায়,২০১৯ সালের আগস্টের দিকে ঠাকুরগাঁও জেলার হরিপুর উপজেলায় প্রায় ৪৩ শতক জমির ওপর নির্মাণ কাজ শুরু করা হয় এই মডেল মসজিদটির। পরে ২০২১ সালের ১০ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারাদেশে নির্মিত হরিপুর উপজেলার মডেল মসজিদটি সহ একযোগে ৫০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র উদ্বোধন করেন। সেদিন সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভার্চুয়াালি যুক্ত হয়ে সরাসরি আধুনিক ও সুসজ্জিত এই মডেল মসজিদ ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্রোগুলোর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। তবে এখনো কিছু কাজ বাকী থাকায় মসজিদটি কমিটির কাছে হস্তান্তর করা হয়নি। নির্মাণ কাজ শেষ না হতেই মসজিদটির বিভিন্ন দেয়ালে ফাটল। যদিও কর্তৃপক্ষ বলছেন এটা তেমন কোন বিষয় নয়।
গণপূর্ত অধিদপ্তরের বাস্তবায়নে মসজিদটির নির্মাণ কাজে ব্যয় ধরা হয় প্রায় ১২ কোটি ১৫ লক্ষ টাকা। আগামী দুই এক মাসের মধ্যে মসজিদটি কমিটির কাছে হস্তান্তর করার কথা রয়েছে বলে জানা গেছে।
স্থানীয়রা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “উদ্বোধন হওয়ার আট মাসের মধ্যে মডেল মসজিদটিতে ফাটল ধরার কারণে আমরা আতঙ্কে আছি। কারণ যে কোনো মুহূর্তে মসজিদটি ভেঙে পড়তে পারে। আর এর ফলে বড় ধরনের দুর্ঘটনাও ঘটতে পারে।
আমরা এখনও এই মসজিদে এক ওয়াক্ত নামাজ আদায় করতে পারিনি। আর এখন দেখা যাচ্ছে মসজিদের বিভিন্ন অংশে ফাটল। মসজিদের কাজে কোন অনিয়ম করা হলো কি না বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সুষ্ঠভাবে তদন্ত করবে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবে বলে আশা করছেন মসজিদ কমিটি।
মসজিদটির ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের নিযুক্ত ইমাম মুফতি মাসুদুর রহমান বলেন, সারা দেশে প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র করার যে উদ্যোগ সরকার নিয়েছে তা খুব প্রশংসনীয়। ইসলামের জন্য যা কিছু কল্যাণকর ইসলামিক সভ্যতা, ইসলামিক সংস্কৃতি অর্থাৎ ইসলাম শেখার জন্য যা কিছু দরকার সবকিছুই এখানে থাকছে। এসব কাজে যদি কোন অনিয়ম দুর্নীতি থেকে থাকে তবে তা সুষ্ঠুভাবে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া দরকার।
এদিকে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের খায়রুল কবিরের সাথে মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
ঠাকুরগাঁও গণপূর্ত বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী (সিভিল) এম কে এম নুরুল হাসান জানান, “আমরা সরেজমিনে মসজিদটি পরিদর্শন করেছি মসজিদের বিভিন্ন অংশে ফাটল ধরেছে। তবে এটি নিয়ে জনগণের আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এই ভবনটির দায়িত্বে যেহেতু আমরা আছি অবশ্যই বিষয়টি আমরা দেখব। সুন্দরভাবে মসজিদটির কাজ সম্পন্ন করে হস্তান্তর করা হবে।”
হরিপুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল করিম জানান, “আমি অভিযোগটি মৌখিকভাবে শুনেছি যে মসজিদের বিভিন্ন অংশে ফাটল ধরেছে। যেহেতু মসজিদটি এখনও আমরা বুঝে পায়নি, সেক্ষেত্রে গণপূর্ত বিভাগ তাদের ছোটখাটো ত্রুটিগুলো মেরামত করে আমাদেরকে মসজিদটি হস্তান্তর করবেন বলে জানিয়েছেন।
বার্তা/এন