মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নিম্নবিত্ত মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বেড়েছে ৩ গুণ: তথ্যমন্ত্রী

গত ১৩ বছরে বাংলাদেশে মাথাপিছু আয় বেড়েছে সাড়ে ৪ গুণ। আর এই সময়ে নিম্নবিত্ত মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বেড়েছে ৩ গুণ বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, পৃথিবীতে আবহমান কাল থেকেই দ্রব্যমূল্য বাড়ছে। এক সময় বাম নেতারা দাবি করতেন, শ্রমিকের দৈনিক মুজুরি ৩ কেজি চালের সমান হতে হবে। বর্তমানে শ্রমিকরা দৈনিক ১২ কেজি চালের দামের সমান মুজুরি পাচ্ছেন। চট্রগ্রাম এলাকায় এর পরিমাণ আরও বেশি। সেখানে শ্রমিকদের দৈনিক মুজুরি ৮০০ টাকা।

আজ মঙ্গলবার (১ মার্চ) ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে)‘র দ্বি-বার্ষিক সাধারণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনার সরকার সাংবাদিক বান্ধব সরকার। শেখ হাসিনা সাংবাদিকবান্ধব প্রধানমন্ত্রী। ফলে সাংবাদিকদের বিভিন্ন দাবি দাওয়ার বিষয়ে তিনি সব সময় আন্তরিক। সাংবাদিকদের কল্যাণের জন্য প্রধানমন্ত্রী সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট করেছেন। এই ট্রাস্ট থেকে সব দল ও মতের সাংবাদিকরা সহায়তা পাচ্ছেন। এমনকি যেসব সাংবাদিক প্রেস ক্লাবে দাঁড়িয়ে সরকারের সমালোচনা করছেন তারাও সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট থেকে সহায়তা পাচ্ছেন এবং পাবেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ২০২০ ও ২০২১ সালে করোনার সময়েও প্রধানমন্ত্রী সাংবাদিকদের সব ধরনের সাহায্য-সহযোগিতা করেছেন। ২০২১ সালে তিনি সাংবাদিকদের জন্য ১০ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন। এক সময় বিদেশি মিডিয়ায় বিজ্ঞাপন চলে যেত, আমরা সেটা বন্ধ করেছি। যাতে করে দেশি টিভি চ্যানেলগুলোর আয় বৃদ্ধি পায়।

আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘সরকার নবম ওয়েজবোর্ড ঘোষণা করেছে। এখন পর্যন্ত বাসসসহ মাত্র দুটি প্রতিষ্ঠান নবম ওয়েজ বোর্ড বাস্তবায়ন করেছে। বাকি প্রতিষ্ঠানগুলো কেন বাস্তবায়ন করছে না এবং তাদের বিরুদ্ধে কী ধরনের ব্যবস্থা নেয়া যায়- সেসব বিষয়ে সবার সঙ্গে বসে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেব।

ডিইউজে’র সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম খান তপুর সঞ্চালনায় ওই সাধারণ সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বিশিষ্ট সাংবাদিক ও প্রধানমন্ত্রীর সাবেক তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সভাপতি ওমর ফারুক, সাবেক সভাপতি মনজুরুল আহসান বুলবুল, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি আবু জাফর সূর্য, বিএফইউজে‘র সাধারণ সম্পাদক দ্বীপ আজাদ প্রমুখ।

ইকবাল সোবহান চৌধুরী বলেন, সাংবাদিকদের মত প্রকাশের স্বাধীনতা, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও সাংবাদিকদের মর্যাদার মাধ্যমে গণতন্ত্র বিকশিত হবে।

মনজুরুল আহসান বুলবুল বলেন, সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের টাকা যাতে প্রকৃতভাবে যারা অসহায় তারা পাই সেদিকে আমাদের নজর দিতে হবে। দেখা যাচ্ছে বিভিন্ন সময়ে অনেক বিত্তশালী সাংবাদিকও এই ট্রাস্ট থেকে টাকা পাচ্ছেন। এটা যেন না হয়।

তিনি বলেন, সাংবাদিক ইউনিয়নের অন্যতম কাজ হলো- সাংবাদিকদের রুটি রুজির পাশাপাশি তাদের নিরাপত্তা এবং মর্যাদার বিষয়টি নিশ্চিত করা।

জনপ্রিয়

নিম্নবিত্ত মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বেড়েছে ৩ গুণ: তথ্যমন্ত্রী

প্রকাশের সময় : ০৮:০২:১৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ মার্চ ২০২২

গত ১৩ বছরে বাংলাদেশে মাথাপিছু আয় বেড়েছে সাড়ে ৪ গুণ। আর এই সময়ে নিম্নবিত্ত মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বেড়েছে ৩ গুণ বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, পৃথিবীতে আবহমান কাল থেকেই দ্রব্যমূল্য বাড়ছে। এক সময় বাম নেতারা দাবি করতেন, শ্রমিকের দৈনিক মুজুরি ৩ কেজি চালের সমান হতে হবে। বর্তমানে শ্রমিকরা দৈনিক ১২ কেজি চালের দামের সমান মুজুরি পাচ্ছেন। চট্রগ্রাম এলাকায় এর পরিমাণ আরও বেশি। সেখানে শ্রমিকদের দৈনিক মুজুরি ৮০০ টাকা।

আজ মঙ্গলবার (১ মার্চ) ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে)‘র দ্বি-বার্ষিক সাধারণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনার সরকার সাংবাদিক বান্ধব সরকার। শেখ হাসিনা সাংবাদিকবান্ধব প্রধানমন্ত্রী। ফলে সাংবাদিকদের বিভিন্ন দাবি দাওয়ার বিষয়ে তিনি সব সময় আন্তরিক। সাংবাদিকদের কল্যাণের জন্য প্রধানমন্ত্রী সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট করেছেন। এই ট্রাস্ট থেকে সব দল ও মতের সাংবাদিকরা সহায়তা পাচ্ছেন। এমনকি যেসব সাংবাদিক প্রেস ক্লাবে দাঁড়িয়ে সরকারের সমালোচনা করছেন তারাও সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট থেকে সহায়তা পাচ্ছেন এবং পাবেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ২০২০ ও ২০২১ সালে করোনার সময়েও প্রধানমন্ত্রী সাংবাদিকদের সব ধরনের সাহায্য-সহযোগিতা করেছেন। ২০২১ সালে তিনি সাংবাদিকদের জন্য ১০ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন। এক সময় বিদেশি মিডিয়ায় বিজ্ঞাপন চলে যেত, আমরা সেটা বন্ধ করেছি। যাতে করে দেশি টিভি চ্যানেলগুলোর আয় বৃদ্ধি পায়।

আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘সরকার নবম ওয়েজবোর্ড ঘোষণা করেছে। এখন পর্যন্ত বাসসসহ মাত্র দুটি প্রতিষ্ঠান নবম ওয়েজ বোর্ড বাস্তবায়ন করেছে। বাকি প্রতিষ্ঠানগুলো কেন বাস্তবায়ন করছে না এবং তাদের বিরুদ্ধে কী ধরনের ব্যবস্থা নেয়া যায়- সেসব বিষয়ে সবার সঙ্গে বসে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেব।

ডিইউজে’র সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম খান তপুর সঞ্চালনায় ওই সাধারণ সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বিশিষ্ট সাংবাদিক ও প্রধানমন্ত্রীর সাবেক তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সভাপতি ওমর ফারুক, সাবেক সভাপতি মনজুরুল আহসান বুলবুল, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি আবু জাফর সূর্য, বিএফইউজে‘র সাধারণ সম্পাদক দ্বীপ আজাদ প্রমুখ।

ইকবাল সোবহান চৌধুরী বলেন, সাংবাদিকদের মত প্রকাশের স্বাধীনতা, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও সাংবাদিকদের মর্যাদার মাধ্যমে গণতন্ত্র বিকশিত হবে।

মনজুরুল আহসান বুলবুল বলেন, সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের টাকা যাতে প্রকৃতভাবে যারা অসহায় তারা পাই সেদিকে আমাদের নজর দিতে হবে। দেখা যাচ্ছে বিভিন্ন সময়ে অনেক বিত্তশালী সাংবাদিকও এই ট্রাস্ট থেকে টাকা পাচ্ছেন। এটা যেন না হয়।

তিনি বলেন, সাংবাদিক ইউনিয়নের অন্যতম কাজ হলো- সাংবাদিকদের রুটি রুজির পাশাপাশি তাদের নিরাপত্তা এবং মর্যাদার বিষয়টি নিশ্চিত করা।