মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

প্রাথমিকের শিক্ষার্থীরাও টিকা পাবে: প্রধানমন্ত্রী

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশের সময় : ০২:৩৮:৩০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ মার্চ ২০২২
  • ২৬

সংগৃহীত ছবি

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ১২ বছরের কম বয়সীদের করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকার আওতায় আনা হচ্ছে। এটা হলে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও টিকা পাবে।

তিনি বলেন, ‘বয়সের আওতা কমানোর লক্ষ্যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) কাছে আবেদন করা হয়েছে এবং শিগগিরই তা পাওয়া যাবে বলে বলে আশা করি। কাজেই আমরা তখন মনে হয় সবাইকে টিকা দিতে পারবো।

আজ বৃহস্পতিবার (৩ মার্চ) বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক, বিজ্ঞানী, গবেষক ও বিজ্ঞান শিক্ষার্থীদের মধ্যে বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপ, এনএসসি ফেলোশিপ এবং বিশেষ গবেষণা অনুদান প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। রাজধানীর ওসমানী মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এ ফেলোশিপ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সংযুক্ত হন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্কুল-কলেজ আমরা খুলে দিয়েছি। এখন তা স্বাভাবিকভাবেই চলবে। সঙ্গে সঙ্গে তাদের সুরক্ষাটা একান্তভাবে দরকার এবং আমরা সেটা করবো। যদি আমরা ৭-৮ বছর থেকে বা ১০ বছর থেকে টিকা দিতে পারি, তাহলে আমাদের প্রাইমারিতে আর কোনও অসুবিধা হবে না। তারা নিশ্চিন্তে স্কুলে যেতে পারবে।

এসময় সবাইকে করোনার টিকা নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা যদিও সবকিছু উন্মুক্ত করে দিয়েছি। তারপরও সবাই টিকা নিয়ে নেবেন। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলবেন। টিকা নেওয়ার ক্ষেত্রে একসময় ভয় ও অনীহা ছিল, এখন আগ্রহ বেড়েছে। দেশের প্রায় সত্তর ভাগের কাছাকাছি মানুষ টিকা পেয়েছেন।

তিনি বলেন, ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে আরও সামনের দিকে এগিয়ে নিতে হবে। আগামীদিনের বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য কাজ করতে হবে। বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। দেশকে এমনভাবে গড়তে চাই, যেন সবাই প্রযুক্তি জ্ঞান সস্পন্ন হয়। কিছুটা হলেও যেন তারা প্রযুক্তির বিষয়ে জানে।

দেশের বিজ্ঞানী ও গবেষকদের সর্বোচ্চ শ্রম ও দায়বদ্ধতা নিয়ে জাতীয় উন্নয়নে কাজ করার তাগিদ দিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, দেশের মানুষের দেওয়া রাজস্ব থেকে আপনাদের ফেলোশিপ/গবেষণা অনুদান দিচ্ছি। আপনাদের সর্বোচ্চ শ্রম ও দায়বদ্ধতা নিয়ে জাতীয় উন্নয়নে কাজ করতে হবে। আমাদের সরকার দক্ষ মানবসম্পদ সৃষ্টিতে বদ্ধপরিকর। মনে রাখবেন, আপনাদের উদ্ভাবনী জ্ঞানের ব্যবহারিক প্রয়োগ যেন মানুষের কল্যাণে হয়।

তিনি বলেন, গবেষণা না থাকলে আজকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে পারতাম না। এজন্য আমি গবেষণার ওপর গুরুত্ব দিই। বিশেষ করে বিজ্ঞান আর মেডিকেল সায়েন্সের গবেষণা। মেডিকেলের ওপর আমাদের গবেষণা কিছুটা কম। সেখানে আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি। বেশি করে আমাদের গবেষণা করতে হবে। গবেষণাই পারে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা দেশ-বিদেশে বিজ্ঞান-প্রযুক্তির ক্ষেত্রে এমএস, এমফিল, পিএইচডি, ও পিএইচডি-উত্তর প্রোগ্রামের জন্য বঙ্গবন্ধু ফোলোশিপ দিচ্ছি। ২০১০-১১ অর্থবছর থেকে বর্তমান পর্যন্ত ৫৯৬ জনকে ২২৫ কোটি ৮২ লাখ টাকা দিয়েছি।

তিনি বলেন, এছাড়াও এমফিল, পিএইচডি ও পিএইচডি-উত্তর পর্যায়ে ২০০৯-১০ অর্থবছর থেকে বর্তমান পর্যন্ত ২২ হাজার ২২০ ছাত্র-ছাত্রী ও গবেষকদের মধ্যে ১৩৭ কোটি ৫৩ লাখ টাকা জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপ দিয়েছি। পাশাপাশি ২০০৯-১০ অর্থবছর থেকে বর্তমান পর্যন্ত ৫ হাজার ২০টি প্রকল্পের অনুকূলে ১৭৮ কোটি ৯৩ লাখ টাকা বিশেষ অনুদান দিয়েছি।

জনপ্রিয়

প্রাথমিকের শিক্ষার্থীরাও টিকা পাবে: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশের সময় : ০২:৩৮:৩০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ মার্চ ২০২২

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ১২ বছরের কম বয়সীদের করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকার আওতায় আনা হচ্ছে। এটা হলে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও টিকা পাবে।

তিনি বলেন, ‘বয়সের আওতা কমানোর লক্ষ্যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) কাছে আবেদন করা হয়েছে এবং শিগগিরই তা পাওয়া যাবে বলে বলে আশা করি। কাজেই আমরা তখন মনে হয় সবাইকে টিকা দিতে পারবো।

আজ বৃহস্পতিবার (৩ মার্চ) বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক, বিজ্ঞানী, গবেষক ও বিজ্ঞান শিক্ষার্থীদের মধ্যে বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপ, এনএসসি ফেলোশিপ এবং বিশেষ গবেষণা অনুদান প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। রাজধানীর ওসমানী মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এ ফেলোশিপ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সংযুক্ত হন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্কুল-কলেজ আমরা খুলে দিয়েছি। এখন তা স্বাভাবিকভাবেই চলবে। সঙ্গে সঙ্গে তাদের সুরক্ষাটা একান্তভাবে দরকার এবং আমরা সেটা করবো। যদি আমরা ৭-৮ বছর থেকে বা ১০ বছর থেকে টিকা দিতে পারি, তাহলে আমাদের প্রাইমারিতে আর কোনও অসুবিধা হবে না। তারা নিশ্চিন্তে স্কুলে যেতে পারবে।

এসময় সবাইকে করোনার টিকা নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা যদিও সবকিছু উন্মুক্ত করে দিয়েছি। তারপরও সবাই টিকা নিয়ে নেবেন। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলবেন। টিকা নেওয়ার ক্ষেত্রে একসময় ভয় ও অনীহা ছিল, এখন আগ্রহ বেড়েছে। দেশের প্রায় সত্তর ভাগের কাছাকাছি মানুষ টিকা পেয়েছেন।

তিনি বলেন, ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে আরও সামনের দিকে এগিয়ে নিতে হবে। আগামীদিনের বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য কাজ করতে হবে। বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। দেশকে এমনভাবে গড়তে চাই, যেন সবাই প্রযুক্তি জ্ঞান সস্পন্ন হয়। কিছুটা হলেও যেন তারা প্রযুক্তির বিষয়ে জানে।

দেশের বিজ্ঞানী ও গবেষকদের সর্বোচ্চ শ্রম ও দায়বদ্ধতা নিয়ে জাতীয় উন্নয়নে কাজ করার তাগিদ দিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, দেশের মানুষের দেওয়া রাজস্ব থেকে আপনাদের ফেলোশিপ/গবেষণা অনুদান দিচ্ছি। আপনাদের সর্বোচ্চ শ্রম ও দায়বদ্ধতা নিয়ে জাতীয় উন্নয়নে কাজ করতে হবে। আমাদের সরকার দক্ষ মানবসম্পদ সৃষ্টিতে বদ্ধপরিকর। মনে রাখবেন, আপনাদের উদ্ভাবনী জ্ঞানের ব্যবহারিক প্রয়োগ যেন মানুষের কল্যাণে হয়।

তিনি বলেন, গবেষণা না থাকলে আজকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে পারতাম না। এজন্য আমি গবেষণার ওপর গুরুত্ব দিই। বিশেষ করে বিজ্ঞান আর মেডিকেল সায়েন্সের গবেষণা। মেডিকেলের ওপর আমাদের গবেষণা কিছুটা কম। সেখানে আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি। বেশি করে আমাদের গবেষণা করতে হবে। গবেষণাই পারে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা দেশ-বিদেশে বিজ্ঞান-প্রযুক্তির ক্ষেত্রে এমএস, এমফিল, পিএইচডি, ও পিএইচডি-উত্তর প্রোগ্রামের জন্য বঙ্গবন্ধু ফোলোশিপ দিচ্ছি। ২০১০-১১ অর্থবছর থেকে বর্তমান পর্যন্ত ৫৯৬ জনকে ২২৫ কোটি ৮২ লাখ টাকা দিয়েছি।

তিনি বলেন, এছাড়াও এমফিল, পিএইচডি ও পিএইচডি-উত্তর পর্যায়ে ২০০৯-১০ অর্থবছর থেকে বর্তমান পর্যন্ত ২২ হাজার ২২০ ছাত্র-ছাত্রী ও গবেষকদের মধ্যে ১৩৭ কোটি ৫৩ লাখ টাকা জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপ দিয়েছি। পাশাপাশি ২০০৯-১০ অর্থবছর থেকে বর্তমান পর্যন্ত ৫ হাজার ২০টি প্রকল্পের অনুকূলে ১৭৮ কোটি ৯৩ লাখ টাকা বিশেষ অনুদান দিয়েছি।