শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চীনও আক্রমণ করবে তাইওয়ানকে, কী করবেন বাইডেন?

সংগৃহীত ছবি

রাশিয়া এখন যেমন ইউক্রেনে হামলা চালাচ্ছে, ঠিক সেভাবে চীনও আক্রমণ করবে তাইওয়ানকে। খুব শিগগিরই সেই যুদ্ধ বাধতে চলেছে বলে সতর্ক করে দিলেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। একই সঙ্গে তার ভবিষ্যদ্বাণী, ইউক্রেনে যেমন বাইডেন প্রশাসন যুদ্ধ আটকাতে পারেনি, ঠিক তেমনই তাইওয়ানকেও বাঁচাতে ব্যর্থ হবে তারা।

বৃহস্পতিবার (৩ মার্চ) রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের এক সপ্তাহ সম্পূর্ণ হলো। ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর ক্রমাগত প্রতিরোধে এখনও রাজধানী কিভের দখল নিতে পারেনি রাশিয়া। এদিকে যুক্তরাষ্ট্রে সরাসরি যুদ্ধে সাহায্য না করলেও ইউক্রেনের জন্য অস্ত্রশস্ত্রের পাশাপাশি ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ২ হাজার ৬৬৩ কোটি টাকার আর্থিক ঋণ মওকুফ করেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্টকে বর্তমান বাইডেন প্রশাসনের অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন করা হলে ট্রাম্প বলেন, শি জিনপিং এখন রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধ থেকে মজা নিচ্ছেন আর ভাবছেন যুক্তরাষ্ট্র কী বোকা। আমি নিশ্চিত এ সব দেখে তাইওয়ানে হামলার পরিকল্পনা একরকম পাকা করে ফেলেছে তারা।

চীনের মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন দক্ষিণ চীন সমুদ্রের দ্বীপ তাইওয়ান নিজেদের স্বায়ত্তশাসিত রাষ্ট্র বলে দাবি করে। অন্যদিকে চীন সরকার মনে করে তাইওয়ান চীনেরই অঙ্গ। বহুবার নিজেদের স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা করতে চাইলেও তাইওয়ানের দাবি বারবার প্রতিহত করেছে চীন। তবে তাইওয়ানের স্বাধীন হওয়ার ইচ্ছেকে দমিয়ে রাখা যায়নি। আসলে তাইওয়ানের নিরাপত্তার জন্য সরকারি দায়িত্বপ্রাপ্ত খোদ যুক্তরাষ্ট্র। ১৯৭৯ সালেই একটি আইনের মাধ্যমে তাইওয়ানকে সরাসরি যুক্তরাষ্ট্রের প্রযত্নে আনা হয়।

বাইডেন প্রশাসনের ব্যর্থতার ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে সেই দায়িত্বের কথাই টেনে এনেছেন ট্রাম্প। যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বলেন, ইউক্রেনে পুতিন সফল হলেই তাইওয়ানে হামলা চালাবে চীন। তখনও এমনই হাত গুটিয়ে বসে থাকবেন বাইডেন।

ট্রাম্প অবশ্য নিশ্চিত, আজ যদি তিনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হতেন তবে রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধই হতো না। সাবেক যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের যুক্তি, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন তার সঙ্গে এমন করতেই পারতেন না। এর আগেও রাশিয়ার সঙ্গে ট্রাম্পের বন্ধুত্ব সমালোচিত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক মহলে।

সম্প্রতি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ চলাকালীনও ট্রাম্প একবার পুতিনের পক্ষে কথা বলায় তার সমালোচনা শুরু হয়। তার পর অবশ্য ট্রাম্প সেই ভুল আর করেননি।

রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধে বাইডেনের অবস্থান নিয়ে ইতোমধ্যেই ক্ষোভ জমেছে মার্কিনিদের মনে। ট্রাম্পের সমালোচকদের বক্তব্য ট্রাম্প সেই আবেগকেই নিজের পক্ষে কাজে লাগাতে চাইছেন। গত দুদিন ধরেই পুতিনের পক্ষে মন্তব্য করার বদলে জেলেনস্কির প্রশংসা করেছেন ট্রাম্প।

সূত্র- আনন্দবাজার

 

চীনও আক্রমণ করবে তাইওয়ানকে, কী করবেন বাইডেন?

প্রকাশের সময় : ০৩:৩৬:৪৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ মার্চ ২০২২
রাশিয়া এখন যেমন ইউক্রেনে হামলা চালাচ্ছে, ঠিক সেভাবে চীনও আক্রমণ করবে তাইওয়ানকে। খুব শিগগিরই সেই যুদ্ধ বাধতে চলেছে বলে সতর্ক করে দিলেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। একই সঙ্গে তার ভবিষ্যদ্বাণী, ইউক্রেনে যেমন বাইডেন প্রশাসন যুদ্ধ আটকাতে পারেনি, ঠিক তেমনই তাইওয়ানকেও বাঁচাতে ব্যর্থ হবে তারা।

বৃহস্পতিবার (৩ মার্চ) রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের এক সপ্তাহ সম্পূর্ণ হলো। ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর ক্রমাগত প্রতিরোধে এখনও রাজধানী কিভের দখল নিতে পারেনি রাশিয়া। এদিকে যুক্তরাষ্ট্রে সরাসরি যুদ্ধে সাহায্য না করলেও ইউক্রেনের জন্য অস্ত্রশস্ত্রের পাশাপাশি ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ২ হাজার ৬৬৩ কোটি টাকার আর্থিক ঋণ মওকুফ করেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্টকে বর্তমান বাইডেন প্রশাসনের অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন করা হলে ট্রাম্প বলেন, শি জিনপিং এখন রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধ থেকে মজা নিচ্ছেন আর ভাবছেন যুক্তরাষ্ট্র কী বোকা। আমি নিশ্চিত এ সব দেখে তাইওয়ানে হামলার পরিকল্পনা একরকম পাকা করে ফেলেছে তারা।

চীনের মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন দক্ষিণ চীন সমুদ্রের দ্বীপ তাইওয়ান নিজেদের স্বায়ত্তশাসিত রাষ্ট্র বলে দাবি করে। অন্যদিকে চীন সরকার মনে করে তাইওয়ান চীনেরই অঙ্গ। বহুবার নিজেদের স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা করতে চাইলেও তাইওয়ানের দাবি বারবার প্রতিহত করেছে চীন। তবে তাইওয়ানের স্বাধীন হওয়ার ইচ্ছেকে দমিয়ে রাখা যায়নি। আসলে তাইওয়ানের নিরাপত্তার জন্য সরকারি দায়িত্বপ্রাপ্ত খোদ যুক্তরাষ্ট্র। ১৯৭৯ সালেই একটি আইনের মাধ্যমে তাইওয়ানকে সরাসরি যুক্তরাষ্ট্রের প্রযত্নে আনা হয়।

বাইডেন প্রশাসনের ব্যর্থতার ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে সেই দায়িত্বের কথাই টেনে এনেছেন ট্রাম্প। যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বলেন, ইউক্রেনে পুতিন সফল হলেই তাইওয়ানে হামলা চালাবে চীন। তখনও এমনই হাত গুটিয়ে বসে থাকবেন বাইডেন।

ট্রাম্প অবশ্য নিশ্চিত, আজ যদি তিনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হতেন তবে রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধই হতো না। সাবেক যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের যুক্তি, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন তার সঙ্গে এমন করতেই পারতেন না। এর আগেও রাশিয়ার সঙ্গে ট্রাম্পের বন্ধুত্ব সমালোচিত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক মহলে।

সম্প্রতি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ চলাকালীনও ট্রাম্প একবার পুতিনের পক্ষে কথা বলায় তার সমালোচনা শুরু হয়। তার পর অবশ্য ট্রাম্প সেই ভুল আর করেননি।

রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধে বাইডেনের অবস্থান নিয়ে ইতোমধ্যেই ক্ষোভ জমেছে মার্কিনিদের মনে। ট্রাম্পের সমালোচকদের বক্তব্য ট্রাম্প সেই আবেগকেই নিজের পক্ষে কাজে লাগাতে চাইছেন। গত দুদিন ধরেই পুতিনের পক্ষে মন্তব্য করার বদলে জেলেনস্কির প্রশংসা করেছেন ট্রাম্প।

সূত্র- আনন্দবাজার