বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

প্রাথমিকে পবিত্র রমজান মাসে ক্লাস নেওয়া প্রসংগে

আগামী এপ্রিল মাসের প্রথম দিকেই শুরু হচ্ছে পবিত্র মাহে রমজান। এ সময় মুসলমানরা কুরআন-সুন্নাহ’র আলোকে পবিত্র এ মাসটি কাটানোর সিদ্ধান্ত নেন। ইতিপূর্বে মাঝে দু’এক বার বাদে প্রায় প্রত্যেক বছর পবিত্র রমজানের সিয়াম সাধনার জন্য দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকে। কারণ, শুধু শিক্ষক নন বহুসংখ্যক ছাত্রছাত্রীও রমজানের রোজা রাখেন। স্কুল খোলা থাকলে যা কঠিনই হবে বৈকি!
এদিকে, সদ্য প্রকাশিত পাঠপরিকল্পনায় দেখা যাচ্ছে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২১ এপ্রিল তথা ২০ রমজান পর্যন্ত ক্লাস চলবে। অথচ ২০২২ এর ছুটির তালিকায় পুরো রমজানেই স্কুল বন্ধ। মানছি, করোনার কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যে স্থবিরতা বিরাজ করেছে তা কাটাতেই রমজানের ছুটি বাতিল করে ক্লাসের সিদ্ধান্ত। কিন্তু এটা পবিত্র রমজানের ছুটি কমিয়ে কেন? তাছাড়া, গতবছরও শেষদিকে ৫ দিন ছুটি কর্তন করা হয়েছিল।  বারবার কেবল প্রাথমিকের বেলায় কেন এসব সিদ্ধান্ত? এ প্রশ্ন শিক্ষকদের। তারা মনে করেন শিক্ষকদের এক ধরণের ‘চাপে’ রাখার সংশ্লিষ্টদের কৌশলও হতে পারে এটি! তাই পবিত্র রমজান মাসে ক্লাসের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার অনুরোধ জানাই।
পাশাপাশি, নতুন ক্লাসরুটিনে অসামঞ্জস্যতাও লক্ষণীয়। রোবটিক সিস্টেমের এই ক্লাসরুটিনে শিক্ষার্থীরা কতটুকু শিখন সম্পন্ন করতে পারবে বলা মুশকিল! তাছাড়া, নামাজ ও খাবারের জন্য পর্যাপ্ত সময় রাখা হয়নি।।ফলে বিড়ম্বনায় পড়বেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। এ কারণে, ক্লাসরুটিনও সংশোধনের অনুরোধ রইল। আমার মতে, ক্লাসের সংখ্যা কমিয়ে প্রতিদিন মূল বিষয়গুলোতে সময় বাড়ানো যায়। বর্তমান রুটিনে ক্লাস বাড়ানো হলেও সময় একেবারে কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। দেশের প্রায় সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এক একটি ক্লাসে যে পরিমাণ শিক্ষার্থী রয়েছে তাতে বিদ্যমান শিডিউলে শিখন কার্যক্রম পুরোপুরিভাবে অর্জিত হবেনা। এজন্য পিরিয়ড কমিয়ে ক্লাসে সময় বাড়ানো উচিত। তাতে শিক্ষার্থীরা উপকৃতই হবে বলে মনে করি।
পরিশেষে, এটাই কামনা করি প্রাথমিকের সব কার্যক্রম হোক শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের জন্য ‘চাপমুক্ত’। মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষার জন্য এটি সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন। এ ব্যপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি প্রত্যাশা করছি।
★ লেখক: শিক্ষক ও কলামিস্ট

প্রাথমিকে পবিত্র রমজান মাসে ক্লাস নেওয়া প্রসংগে

প্রকাশের সময় : ১০:১৮:৫১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ মার্চ ২০২২
আগামী এপ্রিল মাসের প্রথম দিকেই শুরু হচ্ছে পবিত্র মাহে রমজান। এ সময় মুসলমানরা কুরআন-সুন্নাহ’র আলোকে পবিত্র এ মাসটি কাটানোর সিদ্ধান্ত নেন। ইতিপূর্বে মাঝে দু’এক বার বাদে প্রায় প্রত্যেক বছর পবিত্র রমজানের সিয়াম সাধনার জন্য দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকে। কারণ, শুধু শিক্ষক নন বহুসংখ্যক ছাত্রছাত্রীও রমজানের রোজা রাখেন। স্কুল খোলা থাকলে যা কঠিনই হবে বৈকি!
এদিকে, সদ্য প্রকাশিত পাঠপরিকল্পনায় দেখা যাচ্ছে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২১ এপ্রিল তথা ২০ রমজান পর্যন্ত ক্লাস চলবে। অথচ ২০২২ এর ছুটির তালিকায় পুরো রমজানেই স্কুল বন্ধ। মানছি, করোনার কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যে স্থবিরতা বিরাজ করেছে তা কাটাতেই রমজানের ছুটি বাতিল করে ক্লাসের সিদ্ধান্ত। কিন্তু এটা পবিত্র রমজানের ছুটি কমিয়ে কেন? তাছাড়া, গতবছরও শেষদিকে ৫ দিন ছুটি কর্তন করা হয়েছিল।  বারবার কেবল প্রাথমিকের বেলায় কেন এসব সিদ্ধান্ত? এ প্রশ্ন শিক্ষকদের। তারা মনে করেন শিক্ষকদের এক ধরণের ‘চাপে’ রাখার সংশ্লিষ্টদের কৌশলও হতে পারে এটি! তাই পবিত্র রমজান মাসে ক্লাসের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার অনুরোধ জানাই।
পাশাপাশি, নতুন ক্লাসরুটিনে অসামঞ্জস্যতাও লক্ষণীয়। রোবটিক সিস্টেমের এই ক্লাসরুটিনে শিক্ষার্থীরা কতটুকু শিখন সম্পন্ন করতে পারবে বলা মুশকিল! তাছাড়া, নামাজ ও খাবারের জন্য পর্যাপ্ত সময় রাখা হয়নি।।ফলে বিড়ম্বনায় পড়বেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। এ কারণে, ক্লাসরুটিনও সংশোধনের অনুরোধ রইল। আমার মতে, ক্লাসের সংখ্যা কমিয়ে প্রতিদিন মূল বিষয়গুলোতে সময় বাড়ানো যায়। বর্তমান রুটিনে ক্লাস বাড়ানো হলেও সময় একেবারে কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। দেশের প্রায় সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এক একটি ক্লাসে যে পরিমাণ শিক্ষার্থী রয়েছে তাতে বিদ্যমান শিডিউলে শিখন কার্যক্রম পুরোপুরিভাবে অর্জিত হবেনা। এজন্য পিরিয়ড কমিয়ে ক্লাসে সময় বাড়ানো উচিত। তাতে শিক্ষার্থীরা উপকৃতই হবে বলে মনে করি।
পরিশেষে, এটাই কামনা করি প্রাথমিকের সব কার্যক্রম হোক শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের জন্য ‘চাপমুক্ত’। মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষার জন্য এটি সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন। এ ব্যপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি প্রত্যাশা করছি।
★ লেখক: শিক্ষক ও কলামিস্ট