
যশোর মেডিকেল কলেজে ৫০০ শয্যা হাসপাতালের দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ করেছেন সহস্রাধিক মানুষ। আজ শনিবার (৫মার্চ) দুপুরে যশোর-বেনাপোল মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে ঘণ্টাব্যাপী বিক্ষোভ করেন তারা। এ সময় দাবি আদায় না হলে যশোর অচলেরও ঘোষণা দেওয়া হয়।
জানা যায়, ৫০০ শয্যা হাসপাতালের দাবিতে শনিবার সকাল ১০ টায় যশোর-বেনাপোল মহাসড়কের মেডিকেল কলেজ মোড়ে অবস্থান নেয় হাসপাতাল বাস্তবায়ন সংগ্রাম কমিটি। বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা সহস্রাধিক মানুষ এ কর্মসূচিতে অংশ নেন। অবস্থান কর্মসূচির একপর্যায়ে মহাসড়ক অবরোধ করেন তারা। এতে যশোর-বেনাপোল মহাসড়কে গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
এ সময় যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল বাস্তবায়ন সংগ্রাম কমিটির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট আবুল হোসেনের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন- কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক যশোর সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ফারাজি আহমেদ সাঈদ বুলবুল, প্রেসক্লাব যশোরের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন,
যশোর আইনজীবী সমিতির সহসভাপতি আব্দুল লতিফ, জেলা জাসদ’র সাধারণ সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা অশোক রায়, জনউদ্যোগ সভাপতি প্রকৌশলী নাজির আহমেদ, যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালের সাবেক তত্ত্বাবধায়ক ডা. আবুল কালাম আজাদ লিটু, কপোতাক্ষ বাঁচাও আন্দোলন কমিটির নেতা ইকবাল কবির জাহিদ, অধ্যক্ষ মোস্তাক হোসেন শিম্বা, অধ্যক্ষ মোয়াজ্জেম হোসেন, রাজনীতিক হাসিনুর রহমান, আহসান উল্লাহ ময়না, আব্দুর রাজ্জাক ফুল, শেখ হাফিজুর রহমান, মফিজুর রহমান হিরু প্রমুখ।
কর্মসূচিতে উদীচী যশোর, বিবর্তন যশোর, শংকরপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ক্যাম্পাস থিয়েটার আন্দোলন যশোরসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ সংহতি প্রকাশ করেন।
কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন, শংকরপুরের খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ তাদের তিন ফসলি জমি দান করেন মেডিকেল কলেজ স্থাপনের জন্য। কারণ কলেজ হলে হাসপাতাল হবে, হাসপাতাল হলে এলাকার মানুষ উন্নত চিকিৎসা অল্প খরচে পাবেন। বহু আন্দোলন সংগ্রাম ও ত্যাগের বিনিময়ে পাওয়া এ মেডিকেল কলেজ হলেও তা পূর্ণাঙ্গ হয়নি এক দশকেও। দীর্ঘ ১০ বছরেও এ মেডিকেল কলেজের হাসপাতাল স্থাপন করা হয়নি।
নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, অবিলম্বে মেডিকেল কলেজ স্থাপনের ঘোষণা না হলে প্রয়োজনে হরতাল, অবরোধসহ বৃহত্তর আন্দোলন কর্মসূচির মাধ্যমে যশোরকে অচল করে দেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, ২০১১ সালে যশোর মেডিকেল কলেজ স্থাপন করা হয়। প্রাথমিক অবস্থায় যশোর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে কলেজটির সব কার্যক্রম পরিচালনা হতো। পরবর্তীতে শহরের শংকরপুর এলাকায় নিজস্ব ক্যাম্পাসে কলেজ স্থানান্তর করা হয়। বর্তমানে কলেজে চার শতাধিক শিক্ষার্থী রয়েছেন।
বার্তা/এন
সম্পাদক ও প্রকাশক: মহসিন মিলন
সম্পাদকীয় পরিষদ
সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি: নুরুজ্জামান লিটন, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: রোকনুজ্জামান রিপন, নির্বাহী সম্পাদক: আব্দুল লতিফ, যুগ্ন নির্বাহী সম্পাদক: আলহাজ্ব মতিয়ার রহমান, সহকারী সম্পাদক: সাজ্জাদুল ইসলাম সৌরভ, মামুন বাবু, বার্তা সম্পাদক: নজরুল ইসলাম
সম্পাদকীয় কার্যালয়
বার্তা ও বানিজ্যক কার্যালয়: গাজীপুর আবাসিক এলাকা, বেনাপোল, যশোর। ইমেইল: mohsin.milon@gmail.com, bartakontho@gmail.com ফোন: ৭৫২৮৯, ৭৫৬৯৫ মোবা: ০১৭১১৮২০৩৯৪
All Rights Reserved © Barta Kontho