মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

দ্বিতীয় ডোজের ৪ মাস পরেই বুস্টার নেওয়া যাবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

সংগৃহীত ছবি

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে টিকার দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার চার মাস পরেই বুস্টার ডোজ নেওয়া যাবে।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষে বিশেষ ক্যাম্পেইন হাতে নিয়েছে সরকার। প্রথম, দ্বিতীয় ও বুস্টার ডোজ মিলে ১৭ থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত দেশে মোট ৩ কোটি ২৫ লাখ মানুষকে করোনা টিকা দেবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

আজ বুধবার (১৬ মার্চ) দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে ‘জাতীয় কৃমি নিয়ন্ত্রণ সপ্তাহ’ উদযাপন উপলক্ষে মিডিয়া ব্রিফিংয়ে তিনি এই তথ্য জানান।

আগে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার ছয় মাস পর বুস্টার ডোজ দেওয়ার নিয়ম থাকলেও সেটি কমিয়ে এনে চার মাস করা হলো।

মন্ত্রী বলেন, আগে বুস্টার ডোজ দেওয়ার সময়সীমা ছিল ছয়মাস। কিন্তু বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, ছয় মাস লাগবে না, চার মাস পরেই দেওয়া যাবে। সেই নির্দেশনা অনুযায়ী, আমরাও সময়সীমা কমিয়ে এনেছি। ইতোমধ্যে যারা টিকার দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন, আমরা তাদের আহ্বান করবো, যাদের চার মাস বা তার বেশি সময় পার হয়ে গেছে, তারা বুস্টার ডোজ নিতে টিকা কেন্দ্রে আসুন ও টিকা নিন।

তিনি বলেন, আমরা সফলভাবে টিকা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি। করোনাকালীন সময়ে যখন সব সেবা বন্ধ ছিল, আমরা আমাদের হাসপাতালগুলোতে সব সেবা কার্যক্রম চালিয়েছি। করোনার পাশাপাশি নন-কোভিড রোগীদেরও সেবা দিয়েছি। এখন করোনা সংক্রমণ কমে এসেছে, এখনো আমরা একসাথে দুটি সেবাই চালিয়ে যাচ্ছি।

শিশুদের টিকা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) সাথে আমরা যোগাযোগ রাখছি। তাদের অনুমোদন পেলে দেশে ১২ বছরের কম বয়সী শিশুদের টিকা দেওয়া শুরু হবে।

তিনি আরো বলেন, ইতোমধ্যে দেশে ১২ কোটি ৬২ লাখ প্রথম ডোজ, ৯ কোটি ৪ লাখ দ্বিতীয় ডোজ এবং ৫০ লাখ বুস্টার ডোজ দেওয়া হয়েছে। সবমিলিয়ে আমাদের ২২ কোটির বেশি টিকা দেওয়া হয়েছে। দেশে টিকার কোনো অভাব নেই। আট কোটির বেশি টিকা মজুত আছে।

এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. লোকমান হোসেন মিয়া, অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম, অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবিরসহ আরও অনেকে।

দ্বিতীয় ডোজের ৪ মাস পরেই বুস্টার নেওয়া যাবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশের সময় : ০১:১০:২১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ মার্চ ২০২২

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে টিকার দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার চার মাস পরেই বুস্টার ডোজ নেওয়া যাবে।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষে বিশেষ ক্যাম্পেইন হাতে নিয়েছে সরকার। প্রথম, দ্বিতীয় ও বুস্টার ডোজ মিলে ১৭ থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত দেশে মোট ৩ কোটি ২৫ লাখ মানুষকে করোনা টিকা দেবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

আজ বুধবার (১৬ মার্চ) দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে ‘জাতীয় কৃমি নিয়ন্ত্রণ সপ্তাহ’ উদযাপন উপলক্ষে মিডিয়া ব্রিফিংয়ে তিনি এই তথ্য জানান।

আগে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার ছয় মাস পর বুস্টার ডোজ দেওয়ার নিয়ম থাকলেও সেটি কমিয়ে এনে চার মাস করা হলো।

মন্ত্রী বলেন, আগে বুস্টার ডোজ দেওয়ার সময়সীমা ছিল ছয়মাস। কিন্তু বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, ছয় মাস লাগবে না, চার মাস পরেই দেওয়া যাবে। সেই নির্দেশনা অনুযায়ী, আমরাও সময়সীমা কমিয়ে এনেছি। ইতোমধ্যে যারা টিকার দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন, আমরা তাদের আহ্বান করবো, যাদের চার মাস বা তার বেশি সময় পার হয়ে গেছে, তারা বুস্টার ডোজ নিতে টিকা কেন্দ্রে আসুন ও টিকা নিন।

তিনি বলেন, আমরা সফলভাবে টিকা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি। করোনাকালীন সময়ে যখন সব সেবা বন্ধ ছিল, আমরা আমাদের হাসপাতালগুলোতে সব সেবা কার্যক্রম চালিয়েছি। করোনার পাশাপাশি নন-কোভিড রোগীদেরও সেবা দিয়েছি। এখন করোনা সংক্রমণ কমে এসেছে, এখনো আমরা একসাথে দুটি সেবাই চালিয়ে যাচ্ছি।

শিশুদের টিকা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) সাথে আমরা যোগাযোগ রাখছি। তাদের অনুমোদন পেলে দেশে ১২ বছরের কম বয়সী শিশুদের টিকা দেওয়া শুরু হবে।

তিনি আরো বলেন, ইতোমধ্যে দেশে ১২ কোটি ৬২ লাখ প্রথম ডোজ, ৯ কোটি ৪ লাখ দ্বিতীয় ডোজ এবং ৫০ লাখ বুস্টার ডোজ দেওয়া হয়েছে। সবমিলিয়ে আমাদের ২২ কোটির বেশি টিকা দেওয়া হয়েছে। দেশে টিকার কোনো অভাব নেই। আট কোটির বেশি টিকা মজুত আছে।

এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. লোকমান হোসেন মিয়া, অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম, অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবিরসহ আরও অনেকে।