শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাঙ্গুনিয়ার আলমশাহ পাড়া মাদ্রাসায় বঙ্গবন্ধুর ১০২ তম জন্মবার্ষিকী পালিত 

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০২ তম জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া আলম শাহ পাড়া কামিল বিশ্ববিদ্যালয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৭ মার্চ) সকাল ১০টায় আলম শাহ পাড়া কামিল বিশ্ববিদ্যালয়ের হল রুমে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মীর মুহাম্মদ জাহাঙ্গীরের সভাপতিত্বে ও অধ্যাপক মোঃ মনিরুজ্জামানের সঞ্চালনায় উক্ত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাদ্রাসার গভর্নিং বডির সভাপতি ও ইসলামী ব্যাংকের শরিয়া বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন তালুকদার।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মাদ্রাসার গভর্নিং বডির সহ সভাপতি ও উপজেলা আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মোঃ জসিম উদ্দিন তালুকদার, ব্যাংকার খাঁন মুহাম্মদ ইশতিয়াক, গভর্নিং বডির সদস্য বেলাল বিন সত্তার, মির্জা খোরশেদ আলম।
প্রধান অতিথি বক্তব্যে ড. মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন তালুকদার বলেন, বঙ্গবন্ধু একটি আদর্শের নাম, যে আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে বাঙালি জাতি মহান মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল, বিশ্বের বুকে জন্ম দিয়েছিল স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশের। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯২০ সালের এই দিনে গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়ায় এক মুসলিম সভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহন করেছিলেন। তিনি বায়ান্নের ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে সকল আন্দোলনে যোগ দেন।
তিনি আরও বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট রাতে ঘাতকরা বাঙ্গালীর অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্ব-পরিবারে হত্যা করেন। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আজ ১০২ জন্মদিন। আজকের দিনে জাতি গভীর শ্রদ্ধার সাথে তাঁকে স্মরণ করছে। তাই বাঙ্গালী জাতি চিরদিনই তাঁকে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণে রাখার লক্ষেই জাতীয় শিশু দিবস ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন পালন করা হয়।
জসিম উদ্দিন তালুকদার বলেন, বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতির ইতিহাসে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি। বাঙালির জন্য একটি স্বাধীন দেশের প্রথম রূপকার ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রিত্ব চাননি, এদেশের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠাই ছিল তাঁর লক্ষ্য। ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলাই ছিল তাঁর একমাত্র লক্ষ্য। তরই লক্ষ্যে ১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ শাসনের কবল থেকে এ জাতিকে মুক্ত করতে নতুন রাজনৈতিক চিন্তা-চেতনা নিয়ে অগ্রসর হন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু ’৫২-র ভাষা আন্দোলন, ’৫৮-র আইয়ুব খানের সামরিক শাসনবিরোধী আন্দোলন ও ’৬২-র শিক্ষা আন্দোলনসহ পাকিস্তানি সামরিক শাসনবিরোধী সব আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ১৯৫৪ সালে তিনি যুক্তফ্রন্ট সরকারের মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত হন। ১৯৬৬ সালের ২ ফেব্রুয়ারি লাহোরে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের স্বায়ত্তশাসন তথা বাঙালির মুক্তির সনদ ঐতিহাসিক ছয় দফা ঘোষণা করেন। ’৭১-এর ৭ মার্চ তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানের ঐতিহাসিক ভাষণে দিয়ে অসহযোগ আন্দোলন শুরু করে স্বাধীনতার ডাক দেন। পরে ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে  ধানমন্ডির ৩২ নম্বর রোডের বাসভবন থেকে বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। অবশেষে নয় মাসের সশস্ত্র যুদ্ধ শেষে ’৭১-সালের ১৬ ডিসেম্বর বিজয় ছিনিয়ে আনেন।
তিনি আরও বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের কালরাতে নিজ বাসভবনে ক্ষমতালোভী ঘাতকদের হাতে তিনি স্ব-পরিবারে নিহত হন। এদিকে স্বাধীনতা অর্জনের মাত্র সাড়ে তিন বছরের মধ্যে স্বাধীনতার মহানায়ক বঙ্গবন্ধুর জীবনাবসান হয়। স্বাধীনতা, গণতন্ত্র ও বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় অবিস্মরণীয় ভূমিকার জন্যও তিনি সারা বিশ্বে সমাদৃত নেতা ছিলেন।
এসময় মাদ্রাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সভায় উপস্থিত ছিলেন।
বার্তা/এন

রাঙ্গুনিয়ার আলমশাহ পাড়া মাদ্রাসায় বঙ্গবন্ধুর ১০২ তম জন্মবার্ষিকী পালিত 

প্রকাশের সময় : ০৮:০৪:৪৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ মার্চ ২০২২
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০২ তম জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া আলম শাহ পাড়া কামিল বিশ্ববিদ্যালয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৭ মার্চ) সকাল ১০টায় আলম শাহ পাড়া কামিল বিশ্ববিদ্যালয়ের হল রুমে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মীর মুহাম্মদ জাহাঙ্গীরের সভাপতিত্বে ও অধ্যাপক মোঃ মনিরুজ্জামানের সঞ্চালনায় উক্ত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাদ্রাসার গভর্নিং বডির সভাপতি ও ইসলামী ব্যাংকের শরিয়া বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন তালুকদার।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মাদ্রাসার গভর্নিং বডির সহ সভাপতি ও উপজেলা আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মোঃ জসিম উদ্দিন তালুকদার, ব্যাংকার খাঁন মুহাম্মদ ইশতিয়াক, গভর্নিং বডির সদস্য বেলাল বিন সত্তার, মির্জা খোরশেদ আলম।
প্রধান অতিথি বক্তব্যে ড. মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন তালুকদার বলেন, বঙ্গবন্ধু একটি আদর্শের নাম, যে আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে বাঙালি জাতি মহান মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল, বিশ্বের বুকে জন্ম দিয়েছিল স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশের। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯২০ সালের এই দিনে গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়ায় এক মুসলিম সভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহন করেছিলেন। তিনি বায়ান্নের ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে সকল আন্দোলনে যোগ দেন।
তিনি আরও বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট রাতে ঘাতকরা বাঙ্গালীর অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্ব-পরিবারে হত্যা করেন। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আজ ১০২ জন্মদিন। আজকের দিনে জাতি গভীর শ্রদ্ধার সাথে তাঁকে স্মরণ করছে। তাই বাঙ্গালী জাতি চিরদিনই তাঁকে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণে রাখার লক্ষেই জাতীয় শিশু দিবস ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন পালন করা হয়।
জসিম উদ্দিন তালুকদার বলেন, বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতির ইতিহাসে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি। বাঙালির জন্য একটি স্বাধীন দেশের প্রথম রূপকার ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রিত্ব চাননি, এদেশের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠাই ছিল তাঁর লক্ষ্য। ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলাই ছিল তাঁর একমাত্র লক্ষ্য। তরই লক্ষ্যে ১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ শাসনের কবল থেকে এ জাতিকে মুক্ত করতে নতুন রাজনৈতিক চিন্তা-চেতনা নিয়ে অগ্রসর হন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু ’৫২-র ভাষা আন্দোলন, ’৫৮-র আইয়ুব খানের সামরিক শাসনবিরোধী আন্দোলন ও ’৬২-র শিক্ষা আন্দোলনসহ পাকিস্তানি সামরিক শাসনবিরোধী সব আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ১৯৫৪ সালে তিনি যুক্তফ্রন্ট সরকারের মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত হন। ১৯৬৬ সালের ২ ফেব্রুয়ারি লাহোরে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের স্বায়ত্তশাসন তথা বাঙালির মুক্তির সনদ ঐতিহাসিক ছয় দফা ঘোষণা করেন। ’৭১-এর ৭ মার্চ তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানের ঐতিহাসিক ভাষণে দিয়ে অসহযোগ আন্দোলন শুরু করে স্বাধীনতার ডাক দেন। পরে ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে  ধানমন্ডির ৩২ নম্বর রোডের বাসভবন থেকে বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। অবশেষে নয় মাসের সশস্ত্র যুদ্ধ শেষে ’৭১-সালের ১৬ ডিসেম্বর বিজয় ছিনিয়ে আনেন।
তিনি আরও বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের কালরাতে নিজ বাসভবনে ক্ষমতালোভী ঘাতকদের হাতে তিনি স্ব-পরিবারে নিহত হন। এদিকে স্বাধীনতা অর্জনের মাত্র সাড়ে তিন বছরের মধ্যে স্বাধীনতার মহানায়ক বঙ্গবন্ধুর জীবনাবসান হয়। স্বাধীনতা, গণতন্ত্র ও বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় অবিস্মরণীয় ভূমিকার জন্যও তিনি সারা বিশ্বে সমাদৃত নেতা ছিলেন।
এসময় মাদ্রাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সভায় উপস্থিত ছিলেন।
বার্তা/এন