শনিবার, ০১ এপ্রিল ২০২৩, ১৮ চৈত্র ১৪২৯ বঙ্গাব্দ

ইউক্রেনের শরণার্থীদের পাশে এবার জার্মানি

ছবি-সংগৃহীত

রাশিয়া হামলা শুরুর পর থেকে ইউক্রেনের লাখ লাখ মানুষ আশ্রয় নিচ্ছেন পোল্যান্ড, চেক প্রজাতন্ত্র, রোমানিয়া, হাঙ্গেরি কিংবা স্লোভেনিয়ার মতো প্রতিবেশী দেশগুলোতে। তবে এবার যুদ্ধ বিধ্বস্ত ইউক্রেন থেকে ছুটে আসা শরণার্থীদের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে জার্মানির বার্লিনের টেগেল বিমানবন্দর। শহরের মেয়র জানিয়েছেন, ইউক্রেন থেকে পোল্যান্ড হয়ে প্রায় প্রতিদিনই বিমানবন্দরটিতে আসছেন কমপক্ষে ২০ হাজার শরণার্থী।

ঘর হারানোর বেদনা, হতাশা, ভয় আর কষ্ট নিয়ে সব ছেড়ে আসা মানুষ যেন খুব সহজে আশ্রয় পায়, সে কারণেই বার্লিনের প্রধান ট্রেন স্টেশনের পাশাপাশি সাময়িকভাবে খুলে দেওয়া হলো শহরটির বন্ধ হয়ে যাওয়া টেগেল বিমানবন্দর। প্রায় প্রতিদিনই কমপক্ষে ১০ হাজার আশ্রয়প্রার্থী এখানে রেজিষ্ট্রেশন করতে পারবেন। সেখান থেকে তাদের জার্মানির ১৬টি অঙ্গরাজ্যে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এই কাজে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে সেনাবাহিনীসহ স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী বেশ কয়েকটি সংগঠন।

সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, অসহায় ইউক্রেনীয়দের সাদরে গ্রহণ করেছেন তারা, যাদের বেশির ভাগই যুদ্ধের কারণে মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়েছেন। তাদের প্রত্যেককে সর্বোচ্চ সুবিধা দেওয়ার চেষ্টা চলছে।

জার্মানির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এ পর্যন্ত আড়াই লাখেরও বেশি ইউক্রেনীয় জার্মানিতে রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনা করেছেন, যাদের বেশির ভাগই নারী ও শিশু। তবে ইউক্রেনে চলমান যুদ্ধের ইতি না ঘটলে উদ্বাস্তুর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ।

এদিকে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়ার সামরিক অভিযান শুরু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত ইউক্রেন থেকে পালিয়ে প্রতিবেশী বিভিন্ন দেশে আশ্রয় নিয়েছে ৩৫ লাখের বেশি মানুষ। সোমবার (২১ মার্চ) এ তথ্য জানায় জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা-ইউএনএইচসিআর।

সংস্থাটির তথ্যের বরাতে সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানায়, ইউক্রেনে রাশিয়ার অভিযান শুরু হওয়ার পর ২৬ দিনে মোট ৩৬ লাখের বেশি ইউক্রেনীয় প্রতিবেশী দেশগুলোতে আশ্রয় নিয়েছে।

এর মধ্যে পোল্যান্ডে আশ্রয় নিয়েছে সর্বোচ্চ ২১ লাখ ১৩ হাজার শরণার্থী। এ ছাড়া রোমানিয়ায় ৫ লাখ ৪৩ হাজার, মলদোভায় ৩ লাখ ৬৭ হাজার, হাঙ্গেরিতে ৩ লাখ ১৭ হাজার, স্লোভাকিয়ায় ২ লাখ ৫৩ হাজার, রাশিয়ায় ২ লাখ ৫২ হাজার ও বেলারুশে চার হাজার ৩০০ শরণার্থী আশ্রয় নিয়েছেন।

জনপ্রিয়

ইউক্রেনের শরণার্থীদের পাশে এবার জার্মানি

প্রকাশের সময় : ১২:০৫:২৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ মার্চ ২০২২
রাশিয়া হামলা শুরুর পর থেকে ইউক্রেনের লাখ লাখ মানুষ আশ্রয় নিচ্ছেন পোল্যান্ড, চেক প্রজাতন্ত্র, রোমানিয়া, হাঙ্গেরি কিংবা স্লোভেনিয়ার মতো প্রতিবেশী দেশগুলোতে। তবে এবার যুদ্ধ বিধ্বস্ত ইউক্রেন থেকে ছুটে আসা শরণার্থীদের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে জার্মানির বার্লিনের টেগেল বিমানবন্দর। শহরের মেয়র জানিয়েছেন, ইউক্রেন থেকে পোল্যান্ড হয়ে প্রায় প্রতিদিনই বিমানবন্দরটিতে আসছেন কমপক্ষে ২০ হাজার শরণার্থী।

ঘর হারানোর বেদনা, হতাশা, ভয় আর কষ্ট নিয়ে সব ছেড়ে আসা মানুষ যেন খুব সহজে আশ্রয় পায়, সে কারণেই বার্লিনের প্রধান ট্রেন স্টেশনের পাশাপাশি সাময়িকভাবে খুলে দেওয়া হলো শহরটির বন্ধ হয়ে যাওয়া টেগেল বিমানবন্দর। প্রায় প্রতিদিনই কমপক্ষে ১০ হাজার আশ্রয়প্রার্থী এখানে রেজিষ্ট্রেশন করতে পারবেন। সেখান থেকে তাদের জার্মানির ১৬টি অঙ্গরাজ্যে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এই কাজে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে সেনাবাহিনীসহ স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী বেশ কয়েকটি সংগঠন।

সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, অসহায় ইউক্রেনীয়দের সাদরে গ্রহণ করেছেন তারা, যাদের বেশির ভাগই যুদ্ধের কারণে মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়েছেন। তাদের প্রত্যেককে সর্বোচ্চ সুবিধা দেওয়ার চেষ্টা চলছে।

জার্মানির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এ পর্যন্ত আড়াই লাখেরও বেশি ইউক্রেনীয় জার্মানিতে রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনা করেছেন, যাদের বেশির ভাগই নারী ও শিশু। তবে ইউক্রেনে চলমান যুদ্ধের ইতি না ঘটলে উদ্বাস্তুর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ।

এদিকে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়ার সামরিক অভিযান শুরু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত ইউক্রেন থেকে পালিয়ে প্রতিবেশী বিভিন্ন দেশে আশ্রয় নিয়েছে ৩৫ লাখের বেশি মানুষ। সোমবার (২১ মার্চ) এ তথ্য জানায় জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা-ইউএনএইচসিআর।

সংস্থাটির তথ্যের বরাতে সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানায়, ইউক্রেনে রাশিয়ার অভিযান শুরু হওয়ার পর ২৬ দিনে মোট ৩৬ লাখের বেশি ইউক্রেনীয় প্রতিবেশী দেশগুলোতে আশ্রয় নিয়েছে।

এর মধ্যে পোল্যান্ডে আশ্রয় নিয়েছে সর্বোচ্চ ২১ লাখ ১৩ হাজার শরণার্থী। এ ছাড়া রোমানিয়ায় ৫ লাখ ৪৩ হাজার, মলদোভায় ৩ লাখ ৬৭ হাজার, হাঙ্গেরিতে ৩ লাখ ১৭ হাজার, স্লোভাকিয়ায় ২ লাখ ৫৩ হাজার, রাশিয়ায় ২ লাখ ৫২ হাজার ও বেলারুশে চার হাজার ৩০০ শরণার্থী আশ্রয় নিয়েছেন।