শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

যে পরিস্থিতিতে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করবে রাশিয়া

ছবি-সংগৃহীত

ইউক্রেনে এখনও রাশিয়া সামরিক লক্ষ্য অর্জন করতে পারেনি বলে স্বীকার করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ। একই সঙ্গে তিনি মস্কো পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করতে পারে-এমন সম্ভাবনাকে উড়িয়ে দেননি।

মঙ্গলবার (২২ মার্চ) যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন তিনি।

পুতিন কোন পরিস্থিতিতে রাশিয়ার পারমাণবিক সক্ষমতাকে ব্যবহার করবেন-এমন প্রশ্নের জবাবে পেসকভ বলেন, যদি পরিস্থিতি আমাদের দেশের অস্তিত্বের হুমকি হয়, তাহলে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করা হতে পারে।

এর আগে রাশিয়ার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়ানো দেশগুলোর বিরুদ্ধে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের ইঙ্গিত দিয়েছেন পুতিন। এরপর তিনি দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রী এবং সেনাবাহিনীর প্রধানকে পারমাণবিক প্রতিরোধ বাহিনীকে যুদ্ধ সতর্কতায় রাখার নির্দেশ দিন।

পুতিন কি এখন পর্যন্ত ইউক্রেনে লক্ষ্য অর্জন করতে পেরেছে-এ প্রশ্নের জবাবে পেসকভ বলেন, না। তিনি এখনও লক্ষ্য অর্জন করেননি

তিবি দাবি করেন, ইউক্রেনে রাশিয়ার অভিযান পরিকল্পনা অনুযায়ী কঠোরভাবে চলছে।

পুতিনের দাবির পুনরাবৃত্তি করে পেসকভও বলেন, অভিযানের প্রধান লক্ষ্য হলো ইউক্রেনকে ‘নিরস্ত্রীকরণ’, ইউক্রেনের ‘নিরপেক্ষতা’ নিশ্চিত করা, ‘জাতীয়তাবাদী ব্যাটালিয়ন’ থেকে পরিত্রাণ পাওয়া, দখলকৃত ক্রিমিয়াকে রাশিয়ার অংশ বলে স্বীকার করা এবং বিচ্ছিন্নতাবাদী লুহানস্ক ও দোনেৎস্ককে স্বাধীন দেশে হিসেবে মেনে নেওয়া। তিনি আরও দাবি করেন, রাশিয়া শুধু সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে হামলা করেছে।

উল্লেখ্য, পশ্চিমা দেশগুলোর সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্যপদের জন্য কয়েক বছর আগে আবেদন করে ইউক্রেন। মূলত, এ নিয়েই রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। এর মধ্যে ন্যাটো ইউক্রেনকে পূর্ণ সদস্যপদ না দিলেও ‘সহযোগী দেশ’ হিসেবে মনোনীত করায় দ্বন্দ্বের তীব্রতা আরও বাড়ে। ন্যাটোর সদস্যপদের জন্য আবেদন প্রত্যাহারে ইউক্রেনের ওপর চাপ প্রয়োগ করতে যুদ্ধ শুরুর দুই মাস আগ থেকেই ইউক্রেন সীমান্তে প্রায় দুই লাখ সেনা মোতায়েন রাখে মস্কো। কিন্তু এই কৌশল কোনো কাজে না আসায় গত ২২ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় দুই ভূখণ্ড দনেৎস্ক ও লুহানস্ককে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয় রাশিয়া। ঠিক তার দুদিন পর ২৪ তারিখ ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর নির্দেশ দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এরপর রাশিয়ার সশস্ত্র বাহিনী স্থল, আকাশ ও সমুদ্রপথে ইউক্রেনে এই হামলা শুরু করে।

এ দিকে চলমান এই যুদ্ধে ইতোমধ্যে ইউক্রেন ছেড়েছেন প্রায় ৩৩ লাখ মানুষ। যুদ্ধে ইউক্রেনের ১৩শ’ সেনা নিহত এবং রাশিয়ার ১৪ হাজার ৭০০ সৈন্য নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছে ইউক্রেন। তবে রাশিয়া বলছে, যুদ্ধে তাদের প্রায় ৫০০ সৈন্য নিহত এবং ইউক্রেনের আড়াই হাজারের বেশি সেনা নিহত হয়েছেন।

এ ছাড়া জাতিসংঘ জানিয়েছে, রুশ অভিযানে ইউক্রেনে ৯২৫ বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন।

ইসরায়েল ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র আক্রমণ’ও চালায়,তার জবাব হবে কঠোর-ইরানের প্রেসিডেন্ট

যে পরিস্থিতিতে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করবে রাশিয়া

প্রকাশের সময় : ০১:০৯:২২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ মার্চ ২০২২

ইউক্রেনে এখনও রাশিয়া সামরিক লক্ষ্য অর্জন করতে পারেনি বলে স্বীকার করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ। একই সঙ্গে তিনি মস্কো পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করতে পারে-এমন সম্ভাবনাকে উড়িয়ে দেননি।

মঙ্গলবার (২২ মার্চ) যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন তিনি।

পুতিন কোন পরিস্থিতিতে রাশিয়ার পারমাণবিক সক্ষমতাকে ব্যবহার করবেন-এমন প্রশ্নের জবাবে পেসকভ বলেন, যদি পরিস্থিতি আমাদের দেশের অস্তিত্বের হুমকি হয়, তাহলে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করা হতে পারে।

এর আগে রাশিয়ার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়ানো দেশগুলোর বিরুদ্ধে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের ইঙ্গিত দিয়েছেন পুতিন। এরপর তিনি দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রী এবং সেনাবাহিনীর প্রধানকে পারমাণবিক প্রতিরোধ বাহিনীকে যুদ্ধ সতর্কতায় রাখার নির্দেশ দিন।

পুতিন কি এখন পর্যন্ত ইউক্রেনে লক্ষ্য অর্জন করতে পেরেছে-এ প্রশ্নের জবাবে পেসকভ বলেন, না। তিনি এখনও লক্ষ্য অর্জন করেননি

তিবি দাবি করেন, ইউক্রেনে রাশিয়ার অভিযান পরিকল্পনা অনুযায়ী কঠোরভাবে চলছে।

পুতিনের দাবির পুনরাবৃত্তি করে পেসকভও বলেন, অভিযানের প্রধান লক্ষ্য হলো ইউক্রেনকে ‘নিরস্ত্রীকরণ’, ইউক্রেনের ‘নিরপেক্ষতা’ নিশ্চিত করা, ‘জাতীয়তাবাদী ব্যাটালিয়ন’ থেকে পরিত্রাণ পাওয়া, দখলকৃত ক্রিমিয়াকে রাশিয়ার অংশ বলে স্বীকার করা এবং বিচ্ছিন্নতাবাদী লুহানস্ক ও দোনেৎস্ককে স্বাধীন দেশে হিসেবে মেনে নেওয়া। তিনি আরও দাবি করেন, রাশিয়া শুধু সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে হামলা করেছে।

উল্লেখ্য, পশ্চিমা দেশগুলোর সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্যপদের জন্য কয়েক বছর আগে আবেদন করে ইউক্রেন। মূলত, এ নিয়েই রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। এর মধ্যে ন্যাটো ইউক্রেনকে পূর্ণ সদস্যপদ না দিলেও ‘সহযোগী দেশ’ হিসেবে মনোনীত করায় দ্বন্দ্বের তীব্রতা আরও বাড়ে। ন্যাটোর সদস্যপদের জন্য আবেদন প্রত্যাহারে ইউক্রেনের ওপর চাপ প্রয়োগ করতে যুদ্ধ শুরুর দুই মাস আগ থেকেই ইউক্রেন সীমান্তে প্রায় দুই লাখ সেনা মোতায়েন রাখে মস্কো। কিন্তু এই কৌশল কোনো কাজে না আসায় গত ২২ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় দুই ভূখণ্ড দনেৎস্ক ও লুহানস্ককে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয় রাশিয়া। ঠিক তার দুদিন পর ২৪ তারিখ ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর নির্দেশ দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এরপর রাশিয়ার সশস্ত্র বাহিনী স্থল, আকাশ ও সমুদ্রপথে ইউক্রেনে এই হামলা শুরু করে।

এ দিকে চলমান এই যুদ্ধে ইতোমধ্যে ইউক্রেন ছেড়েছেন প্রায় ৩৩ লাখ মানুষ। যুদ্ধে ইউক্রেনের ১৩শ’ সেনা নিহত এবং রাশিয়ার ১৪ হাজার ৭০০ সৈন্য নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছে ইউক্রেন। তবে রাশিয়া বলছে, যুদ্ধে তাদের প্রায় ৫০০ সৈন্য নিহত এবং ইউক্রেনের আড়াই হাজারের বেশি সেনা নিহত হয়েছেন।

এ ছাড়া জাতিসংঘ জানিয়েছে, রুশ অভিযানে ইউক্রেনে ৯২৫ বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন।