বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

প্রত্যাবাসনেই রোহিঙ্গা সমস্যার টেকসই সমাধান: পররাষ্ট্র সচিব

ছবি-সংগৃহীত

বাংলাদেশ অনির্দিষ্টকালের জন্য লাখ লাখ শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়ে বিশাল আর্থ-সামাজিক ও পরিবেশগত খরচ বহন করতে পারে না। কাজেই বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে রাখাইন রাজ্যে তাদের মূল ভূখণ্ডে প্রত্যাবাসন করতে হবে। আর এ প্রত্যাবাসনই রোহিঙ্গা সমস্যার টেকসই সমাধান। পাকিস্তানের ইসলামাবাদে অনুষ্ঠিত রোহিঙ্গাদের মানবাধিকার লঙ্ঘনে জবাবদিহির জন্য ওআইসি অ্যাডহক মন্ত্রী পর্যায়ের কমিটির উন্মুক্ত বৈঠকে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন এসব কথা বলেন।

দুই দিনব্যাপী পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়। মাসুদ বিন মোমেন বাংলাদেশের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন। বুধবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বৈঠকে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে মিয়ানমারকে জবাবদিহি করার জন্য আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে অ্যাডহক কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে গাম্বিয়ার দায়ের করা মামলার শুনানির হালনাগাদ অবস্থা নিয়ে আলোচনা করা হয়। এ সময় গাম্বিয়া সদস্য রাষ্ট্রগুলোর স্বেচ্ছায় অবদানের বর্তমান অবস্থা এবং মামলাটি পরিচালনা করতে তহবিলের প্রয়োজনীয়তার সারসংক্ষেপ উপস্থাপন করে।

পররাষ্ট্র সচিব মোমেন তাঁর বিবৃতিতে লাখ লাখ রোহিঙ্গা, বিশেষ করে হাজার হাজার কিশোর ও যুবক-যুবতী তাঁদের ভবিষ্যৎ নিয়ে কোনো আশা নিয়ে শঙ্কিত হওয়ার কারণে আন্তঃজাতিক আর্থসামাজিক বিপর্যয় এড়াতে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের গুরুত্ব পুনর্ব্যক্ত করেন। গাম্বিয়া ও ওআইসিকে ধন্যবাদ জানাতে এবং আইনি পদক্ষেপের জন্য সদয় সমর্থনের জন্য তিনি রোহিঙ্গাদের ন্যায়বিচার প্রদানে গতি বজায় রাখার আহ্বান জানান। তিনি মামলার আইনি খরচ মেটাতে স্বেচ্ছায় অবদান রেখে সদস্য রাষ্ট্রগুলোর কাছ থেকে দৃঢ় সংহতির আহ্বান জানান।

এ সময় তুরস্ক তহবিলে দুই লাখ মার্কিন ডলার অবদান রাখতে প্রতিশ্রুতি দেয়। অ্যাডহক কমিটির সদস্যেরা বছরের পর বছর ধরে এ বিপুল সংখ্যক শরণার্থীকে আতিথেয়তা, এমনকি তাদের কোভিড ভ্যাকসিন কর্মসূচির মধ্যে আনার জন্য বাংলাদেশের প্রশংসা করেন।

প্রত্যাবাসনেই রোহিঙ্গা সমস্যার টেকসই সমাধান: পররাষ্ট্র সচিব

প্রকাশের সময় : ০২:০১:২১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ মার্চ ২০২২

বাংলাদেশ অনির্দিষ্টকালের জন্য লাখ লাখ শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়ে বিশাল আর্থ-সামাজিক ও পরিবেশগত খরচ বহন করতে পারে না। কাজেই বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে রাখাইন রাজ্যে তাদের মূল ভূখণ্ডে প্রত্যাবাসন করতে হবে। আর এ প্রত্যাবাসনই রোহিঙ্গা সমস্যার টেকসই সমাধান। পাকিস্তানের ইসলামাবাদে অনুষ্ঠিত রোহিঙ্গাদের মানবাধিকার লঙ্ঘনে জবাবদিহির জন্য ওআইসি অ্যাডহক মন্ত্রী পর্যায়ের কমিটির উন্মুক্ত বৈঠকে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন এসব কথা বলেন।

দুই দিনব্যাপী পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়। মাসুদ বিন মোমেন বাংলাদেশের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন। বুধবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বৈঠকে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে মিয়ানমারকে জবাবদিহি করার জন্য আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে অ্যাডহক কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে গাম্বিয়ার দায়ের করা মামলার শুনানির হালনাগাদ অবস্থা নিয়ে আলোচনা করা হয়। এ সময় গাম্বিয়া সদস্য রাষ্ট্রগুলোর স্বেচ্ছায় অবদানের বর্তমান অবস্থা এবং মামলাটি পরিচালনা করতে তহবিলের প্রয়োজনীয়তার সারসংক্ষেপ উপস্থাপন করে।

পররাষ্ট্র সচিব মোমেন তাঁর বিবৃতিতে লাখ লাখ রোহিঙ্গা, বিশেষ করে হাজার হাজার কিশোর ও যুবক-যুবতী তাঁদের ভবিষ্যৎ নিয়ে কোনো আশা নিয়ে শঙ্কিত হওয়ার কারণে আন্তঃজাতিক আর্থসামাজিক বিপর্যয় এড়াতে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের গুরুত্ব পুনর্ব্যক্ত করেন। গাম্বিয়া ও ওআইসিকে ধন্যবাদ জানাতে এবং আইনি পদক্ষেপের জন্য সদয় সমর্থনের জন্য তিনি রোহিঙ্গাদের ন্যায়বিচার প্রদানে গতি বজায় রাখার আহ্বান জানান। তিনি মামলার আইনি খরচ মেটাতে স্বেচ্ছায় অবদান রেখে সদস্য রাষ্ট্রগুলোর কাছ থেকে দৃঢ় সংহতির আহ্বান জানান।

এ সময় তুরস্ক তহবিলে দুই লাখ মার্কিন ডলার অবদান রাখতে প্রতিশ্রুতি দেয়। অ্যাডহক কমিটির সদস্যেরা বছরের পর বছর ধরে এ বিপুল সংখ্যক শরণার্থীকে আতিথেয়তা, এমনকি তাদের কোভিড ভ্যাকসিন কর্মসূচির মধ্যে আনার জন্য বাংলাদেশের প্রশংসা করেন।