শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ধর্ষণ মামলায় বিয়ের শর্তে জামিন পেলেন সেই এসআই

বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে পঞ্চগড়ের এক বিধবা নারীর দায়ের করা মামলায় কুড়িগ্রাম সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল জলিলের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত।

বুধবার (২৩ মার্চ) বিকেলে পঞ্চগড় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের বিচারক মেহেদী হাসান তালুকদার তার জামিন মঞ্জুর করেন। এর আগে বুধবার দুপুরে মামলায় হাজিরা দিতে এসে বিয়ে করার শর্তে জামিন আবেদন করেন এসআই জলিল। আদালত তার জামিন আবেদনে সন্তুষ্ট হয়ে বিয়ের কাবিননামা দাখিলের পরে জামিন মঞ্জুর করেন। পরে জেলা আইনজীবি সমিতির ভবনে ৭ লাখ ৯৫ হাজার টাকা দেনমোহরে ভূক্তভোগী ওই নারীকে বিয়ে করেন পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল জলিল। এসআই জলিল এর আগে পঞ্চগড় সদর থানার এসআই হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

গত ২৩ জানুয়ারি এই মামলায় এসআই জলিলের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। পরে তিনি উচ্চ আদালতের রায়ে ৬ সপ্তাহের জামিনে ছিলেন। তার জামিনের মেয়াদ শেষ হলে তিনি পঞ্চগড় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে গত রোববার (২০ মার্চ) দুপুরে আত্মসমর্পন করে স্থায়ী জামিনের আবেদন করলে আদালত তার জামিন না মঞ্জুর করে জেলহাজতে প্রেরণ করেন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০২০ সালের ৩০ এপ্রিল জমিসংক্রান্ত বিষয় নিয়ে পঞ্চগড় সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন ওই বিধবা নারী। সেই ডায়েরির তদন্ত করতে গিয়ে তৎকালীন পঞ্চগড় সদর থানার উপ-পরিদর্শক আব্দুল জলিল বিধবা ওই নারীর সঙ্গে ‘প্রেমের সম্পর্ক’ গড়ে তোলেন। এরপরে তিনি ভুয়া কাবিননামা করিয়ে নিয়ে ওই নারীর সঙ্গে একাধিকবার ‘শারীরিক সম্পর্ক’ গড়ে তোলেন। একসময় ভূক্তভোগী নারী বিবাহের কাবিননামা চাইতে গেলে জলিল বিবাহের কথা অস্বীকার করেন।
পরে ওই ভুক্তভোগী নারী ২০২০ সালের ৬ অক্টোবর পঞ্চগড় নারী শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। আদালত মামলাটি তদন্তের জন্য অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে দায়িত্ব দেন। গত ২০ জানুয়ারি অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। ২৩ জানুয়ারি (রবিবার) আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে ওই উপ-পরিদর্শকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
ভুক্তভোগী ওই নারী (৪৩) বলেন, এতদিন আব্দুল জলিলের কাছে আমি স্ত্রীর স্বীকৃতি পাইনি। আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আদালতে মামলা করার পর আমি ন্যায় বিচার পেয়েছি।

বাদী পক্ষের আইনজীবী মেহেদী হাসান মিলন বলেন,বিয়ের শর্তে আদালত এসআই জলিলকে জামিন দিলে সন্ধ্যায় তাদের বিয়ে পড়ানো হয়।
যেহেতু মামলাটি কাবিন পাওয়ার জন্য করা হয়েছিল বাদিনী তার নায্য অধিকার পেয়েছেন। আমি বিজ্ঞ  আদালতের রায়ে সন্তুষ্ট। আদালতের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।

ধর্ষণ মামলায় বিয়ের শর্তে জামিন পেলেন সেই এসআই

প্রকাশের সময় : ০৬:৪৫:৪৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ মার্চ ২০২২

বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে পঞ্চগড়ের এক বিধবা নারীর দায়ের করা মামলায় কুড়িগ্রাম সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল জলিলের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত।

বুধবার (২৩ মার্চ) বিকেলে পঞ্চগড় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের বিচারক মেহেদী হাসান তালুকদার তার জামিন মঞ্জুর করেন। এর আগে বুধবার দুপুরে মামলায় হাজিরা দিতে এসে বিয়ে করার শর্তে জামিন আবেদন করেন এসআই জলিল। আদালত তার জামিন আবেদনে সন্তুষ্ট হয়ে বিয়ের কাবিননামা দাখিলের পরে জামিন মঞ্জুর করেন। পরে জেলা আইনজীবি সমিতির ভবনে ৭ লাখ ৯৫ হাজার টাকা দেনমোহরে ভূক্তভোগী ওই নারীকে বিয়ে করেন পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল জলিল। এসআই জলিল এর আগে পঞ্চগড় সদর থানার এসআই হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

গত ২৩ জানুয়ারি এই মামলায় এসআই জলিলের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। পরে তিনি উচ্চ আদালতের রায়ে ৬ সপ্তাহের জামিনে ছিলেন। তার জামিনের মেয়াদ শেষ হলে তিনি পঞ্চগড় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে গত রোববার (২০ মার্চ) দুপুরে আত্মসমর্পন করে স্থায়ী জামিনের আবেদন করলে আদালত তার জামিন না মঞ্জুর করে জেলহাজতে প্রেরণ করেন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০২০ সালের ৩০ এপ্রিল জমিসংক্রান্ত বিষয় নিয়ে পঞ্চগড় সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন ওই বিধবা নারী। সেই ডায়েরির তদন্ত করতে গিয়ে তৎকালীন পঞ্চগড় সদর থানার উপ-পরিদর্শক আব্দুল জলিল বিধবা ওই নারীর সঙ্গে ‘প্রেমের সম্পর্ক’ গড়ে তোলেন। এরপরে তিনি ভুয়া কাবিননামা করিয়ে নিয়ে ওই নারীর সঙ্গে একাধিকবার ‘শারীরিক সম্পর্ক’ গড়ে তোলেন। একসময় ভূক্তভোগী নারী বিবাহের কাবিননামা চাইতে গেলে জলিল বিবাহের কথা অস্বীকার করেন।
পরে ওই ভুক্তভোগী নারী ২০২০ সালের ৬ অক্টোবর পঞ্চগড় নারী শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। আদালত মামলাটি তদন্তের জন্য অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে দায়িত্ব দেন। গত ২০ জানুয়ারি অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। ২৩ জানুয়ারি (রবিবার) আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে ওই উপ-পরিদর্শকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
ভুক্তভোগী ওই নারী (৪৩) বলেন, এতদিন আব্দুল জলিলের কাছে আমি স্ত্রীর স্বীকৃতি পাইনি। আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আদালতে মামলা করার পর আমি ন্যায় বিচার পেয়েছি।

বাদী পক্ষের আইনজীবী মেহেদী হাসান মিলন বলেন,বিয়ের শর্তে আদালত এসআই জলিলকে জামিন দিলে সন্ধ্যায় তাদের বিয়ে পড়ানো হয়।
যেহেতু মামলাটি কাবিন পাওয়ার জন্য করা হয়েছিল বাদিনী তার নায্য অধিকার পেয়েছেন। আমি বিজ্ঞ  আদালতের রায়ে সন্তুষ্ট। আদালতের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।