নেত্রকোনার দুর্গাপুরে উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক ৭ দিনব্যাপী ‘মুক্তির উৎসব ও সুবর্ণজয়ন্তী মেলার’ সমাপনী অনুষ্ঠানে ৩৫টি স্টলের মধ্যে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় সেরা স্টলের পুরষ্কার পেল। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলা চত্বর মুক্তম  প্রাঙ্গঁনে ওই অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয়। এসময় শ্রেষ্ট পুরস্কার গ্রহণ করেণ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম। চারটি ক্যাটাগরিতে স্টলের মূল্যায়ন করা হয়। কমিটির মূল্যায়নে একটি কমিটিও করে দেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার(ইউএনও)রাজীব উল আহসান।

শ্রেষ্ট স্টলের আনন্দ ও অনুভূতি জানতে চাইলে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম এ প্রতিবেধককে জানান, উপজেলা প্রশাসন গত ১৭ মার্চ থেকে ২৩ মার্চ পর্যন্ত ৭দিন ব্যাপী ‘মুক্তির উৎসব ও সুবর্ণজয়ন্তী মেলার’ আয়োজন করে। সেখানে প্রতিদিন সকাল ৯টা হতে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত বিভিন্ন জনসাধারণ ও দর্শনার্থী মেলায় প্রবেশ করে বিভিন্ন স্টল ঘুরে দেখেন। সাতদিন ব্যাপী স্টলে আমাদের পদর্শনীতে ছিলো গ্রামীণ মাটির রাস্তা সমূহ টেকসইকরণের লক্ষ্যে হেরিং বোন বন্ড(এইচবিবি) করণ প্রকল্পের একটি প্লাটফরম। সেখানে খুব টেকসই ও মজবুত রাস্তা বিনির্মাণের মধ্য দিয়ে গ্রামীণ মানুষের জীবন ও মান উন্নয়ন বিকশিত করা। টিআর/কাবিখা/কাবিটা প্রকল্প দ্বারা সোলার স্থাপন,মুজিববর্ষ উপলক্ষে ক শ্রেণির গৃহহীনদের জন্য আবাসন নির্মাণ প্রকল্প,গ্রামীণ মাটির রাস্তায় সেতু কালভার্ট নির্মাণ প্রকল্প,অচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বীর নিবাস প্রকল্প,টিআর/কাবিখা/কাবিটা দ্বারা গ্রামীণ নতুন রাস্তা নির্মাণ, মেরামত ও সংস্কার। এছাড়াও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে কম্বল বিতরণ,মানবিক সহায়তা জিআর চাল বিতরণ,মানবিক সহায়তা ঢেউটিন বিতরণ,প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে শুকনা খাবার বিতরণ ও ৩৩৩ ফোনকলের মাধ্যমে খাদ্য সহায়তা বিতরণ কর্মসূচী বাস্তবায়ন করে আসছি। মেলায় আমাদের সেবা সমূহ জনসাধারনের মাঝে তুলে ধারার চেষ্টা করেছি। দর্শনার্থীদের ওইসব সুবিধা যাতে প্রকৃত উপকারভোগীরা তাঁদের প্রাপ্যতা পায়, সে ব্যাপারে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয়, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে যথেষ্ট সচ্ছতা ও জবাবদিহীতার মধ্য দিয়ে এসকল কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে আসছি।

মুক্তির উৎসব ও সুবর্ণজয়ন্তী মেলায় ওইসব কার্যক্রম বাস্তব চিত্রই তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। বিজ্ঞ নির্বাচক মন্ডলী ক্যাটাগরিতে ৬৯.৩৩ মার্ক পেয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা দপ্তর ১ম স্থান অধিকার করে। আমি মনে করি এ অর্জন, কর্মকে এগিয়ে নেবার জন্য আরেকটি চ্যালেঞ্জ। অফিস স্টাফদের আন্তরিকতা ও উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সর্বাত্বক চেষ্টার ফলেই আজকের এই সুফল। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নকে বাস্তবে রুপ দিতে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধকে তুলে ধরতে মেলায় আগত দর্শনার্থীরা বিশেষ করে বীর মুক্তিযোদ্ধা বৃন্দ,ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক বৃন্দ,কৃষক শ্রমিক,সুশীল সমাজ, প্রতিদিনই উপভোগ করছেন স্টলের নানাবিধ প্রদর্শনী।

উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার নাসির উদ্দিনের সঞ্চালনায় ইউএনও মোহাম্মদ রাজীব উল আহসান এর সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেণ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের প্রাক্তন ডেপুটি কমান্ডার বীরমুক্তিযোদ্ধা সোহরাব হোসেন তালুকদার,সহকারী কমশিনার (ভুমি) মো. আরিফুল ইসলাম,উপজেলা প্রকৌশলী খোয়াজুর রহমান,উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি এডভোকেট মুজিবুর রহমান,উপজেলা যুবলীগের সহসভাপতি সুমন চৌধুরী পাভেল,সুসং আদর্শ বিদ্যানিকেতনের প্রধান শিক্ষক এ কে এম ইয়াহিয়া প্রমূখ।