মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

যশোরে দলীয় কোন্দলে যুবলীগের কর্মী খুন

যশোরে রুম্মান (৩১) নামে এক যুবলীগ কর্মী খুন হয়েছে। শুক্রবার রাত ১১টার দিকে শহরের পুরাতন কসবা কাঁঠালতলা এলাকায় একই গ্রুপের সন্ত্রাসীরা তাকে কুপিয়ে হত্যা করে। নিহত রুম্মান বালির ব্যবসা করতেন এবং যুবলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।

রুম্মান শহরের টালিখোলা মাদ্রাসা এলাকার লিয়াকত পটোয়ারীর ছেলে। রুম্মানের অস্ত্র, মাদক ও বিষ্ফোরক দ্রব্যসহ একাধিক মামলার এজাহারভূক্ত আসামি। এসময় আরিফ হোসেন শাকিল (৩০) নামে আরেক যুবক আহত হয়েছেন। তিনি একই এলাকার আব্দুর রহমান বাবুর ছেলে।
এর আগে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি ইয়াসিন আরাফাত (৩০) নামে এক যুবলীগ কর্মীকে কুপিয়ে হত্যা করে একই গ্রুপের সন্ত্রাসীরা। ওইদিন সন্ধ্যায় শহরের বেজপাড়া ব্রাদার্স ক্লাবের মধ্যে তাকে হত্যা করা হয়। ইয়াসিন আরাফাত শহরের বেজপাড়া পানির ট্যাংক এলাকার মনির হোসেনের ছেলে।
একাধিক প্রত্যাক্ষদর্শী জানান, রাত ১১ টার দিকে রুম্মান ও আরিফ পুরাতন কসবা কাঁঠালতলায় বসে ছিলেন। এসময় পূর্ব শত্রুতায় একই এলাকার আরিফ সাজ্জদ, সাইদুলসহ ৭-৮ জন তাদের এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে গুরুতর আহত করের। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন।
হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ডাক্তার শাহিনুর রহমান সোহাগ বলেন, গুরুতর আহত অবস্থায় রুম্মান ও শাকিলকে ভর্তি করে সার্জারী ওয়ার্ডে পাঠানো হয়। রাত পোনে ১২টার দিকে রুম্মান মারা যায। আর শাকিলের অবস্থাও আশঙ্কাজনক।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, রুম্মান জেলা আওয়ামী লীগের এক শীর্ষ নেতার পক্ষে রাজনীতি করতেন। কিন্তু এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে একই গ্রুপের লোকজনের সাথে রুম্মানসহ তার পক্ষের লোকজনের বিরোধ ছিল। তারই জের ধরে শুক্রবার রাত ১১ টার দিকে আরিফ, আহাদুলসহ ৮-১০ জন রুম্মানকে কুপিয়ে হত্যা করেন।
কোতোয়ালী থানার ওসি তাজুল ইসলাম জানান, একই পক্ষের সন্ত্রাসীদের হাতে খুন হয়েছেন রুম্মান। আসামি আটকে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে।
যশোর ডিবি পুলিশের ওসি রুপন কুমার সরকার বলেন, ঘটনার সাথে জড়িতদের আটকের জন্য পুলিশ অভিযানে আছে। কারা কেন কি কারণে এই ঘটনা ঘটিয়েছে তদন্তের সার্থে তা এখন বলা সম্ভব হচ্ছে না।
বার্তা/এন
জনপ্রিয়

যশোরে দলীয় কোন্দলে যুবলীগের কর্মী খুন

প্রকাশের সময় : ০৫:৫৪:১০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ মার্চ ২০২২

যশোরে রুম্মান (৩১) নামে এক যুবলীগ কর্মী খুন হয়েছে। শুক্রবার রাত ১১টার দিকে শহরের পুরাতন কসবা কাঁঠালতলা এলাকায় একই গ্রুপের সন্ত্রাসীরা তাকে কুপিয়ে হত্যা করে। নিহত রুম্মান বালির ব্যবসা করতেন এবং যুবলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।

রুম্মান শহরের টালিখোলা মাদ্রাসা এলাকার লিয়াকত পটোয়ারীর ছেলে। রুম্মানের অস্ত্র, মাদক ও বিষ্ফোরক দ্রব্যসহ একাধিক মামলার এজাহারভূক্ত আসামি। এসময় আরিফ হোসেন শাকিল (৩০) নামে আরেক যুবক আহত হয়েছেন। তিনি একই এলাকার আব্দুর রহমান বাবুর ছেলে।
এর আগে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি ইয়াসিন আরাফাত (৩০) নামে এক যুবলীগ কর্মীকে কুপিয়ে হত্যা করে একই গ্রুপের সন্ত্রাসীরা। ওইদিন সন্ধ্যায় শহরের বেজপাড়া ব্রাদার্স ক্লাবের মধ্যে তাকে হত্যা করা হয়। ইয়াসিন আরাফাত শহরের বেজপাড়া পানির ট্যাংক এলাকার মনির হোসেনের ছেলে।
একাধিক প্রত্যাক্ষদর্শী জানান, রাত ১১ টার দিকে রুম্মান ও আরিফ পুরাতন কসবা কাঁঠালতলায় বসে ছিলেন। এসময় পূর্ব শত্রুতায় একই এলাকার আরিফ সাজ্জদ, সাইদুলসহ ৭-৮ জন তাদের এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে গুরুতর আহত করের। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন।
হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ডাক্তার শাহিনুর রহমান সোহাগ বলেন, গুরুতর আহত অবস্থায় রুম্মান ও শাকিলকে ভর্তি করে সার্জারী ওয়ার্ডে পাঠানো হয়। রাত পোনে ১২টার দিকে রুম্মান মারা যায। আর শাকিলের অবস্থাও আশঙ্কাজনক।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, রুম্মান জেলা আওয়ামী লীগের এক শীর্ষ নেতার পক্ষে রাজনীতি করতেন। কিন্তু এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে একই গ্রুপের লোকজনের সাথে রুম্মানসহ তার পক্ষের লোকজনের বিরোধ ছিল। তারই জের ধরে শুক্রবার রাত ১১ টার দিকে আরিফ, আহাদুলসহ ৮-১০ জন রুম্মানকে কুপিয়ে হত্যা করেন।
কোতোয়ালী থানার ওসি তাজুল ইসলাম জানান, একই পক্ষের সন্ত্রাসীদের হাতে খুন হয়েছেন রুম্মান। আসামি আটকে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে।
যশোর ডিবি পুলিশের ওসি রুপন কুমার সরকার বলেন, ঘটনার সাথে জড়িতদের আটকের জন্য পুলিশ অভিযানে আছে। কারা কেন কি কারণে এই ঘটনা ঘটিয়েছে তদন্তের সার্থে তা এখন বলা সম্ভব হচ্ছে না।
বার্তা/এন