শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নিরপেক্ষ আলোচনায় প্রস্তুত ইউক্রেন: জেলেনস্কি

ছবি-সংগৃহীত

নিরপেক্ষ অবস্থান গ্রহণ করে একটি শান্তি চুক্তির ব্যাপারে আলোচনা করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।

তবে তিনি বলেছেন, তার আগে কোনো তৃতীয় পক্ষের নিশ্চয়তা থাকতে হবে ও একটি গণভোট হতে হবে।

রাশিয়ার সাংবাদিকদের সাথে এক সাক্ষাৎকারে তিনি এমন বক্তব্য দিয়েছেন। এর পরপরই তার সাক্ষাৎকার প্রকাশ না করার ব্যাপারে মস্কো থেকে সতর্কবার্তা এসেছে।

এই সপ্তাহেই তুরস্কে ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে পরবর্তী মুখোমুখি আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে। সেখানে ইউক্রেনের স্বাধীনতা প্রাধান্য পাবে বলে উল্লেখ করেছেন প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি।

এদিকে ইউক্রেন অভিযোগ করেছে যে মারিওপোল থেকে জোর করে হাজার হাজার বেসামরিক ইউক্রেনীয় নাগরিকদের সীমান্ত পার করে রাশিয়া নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। স্যাটেলাইট ইমেজে দেখা গেছে, মারিওপোলের পূর্বে রাশিয়ার সীমান্তের ভেতরে একটি অস্থায়ী শিবির। যেখানে পাঁচ হাজারের মতো ইউক্রেনীয়নকে রাখা হয়েছে।

রাশিয়ার হামলায় বিধ্বস্ত গুরুত্বপূর্ণ বন্দরনগরী মারিওপোল। ইউক্রেনের ডেপুটি প্রধানমন্ত্রী ইরানা ভেরেশুক বলেছেন, ৪০ হাজারের মতো ইউক্রেনীয়কে রাশিয়া নিয়ন্ত্রিত এলাকায় জোর করে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

রাশিয়াতে রয়েছেন মারিওপোলের এরকম একজন শরণার্থী জানিয়েছেন, আমাদের সবাইকে জোর করে নিয়ে আসা হয়েছে।

ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা রাশিয়ার কর্মকাণ্ডকে বর্ণনা করতে গিয়ে ‘সংশোধনী শিবির’ শব্দটি ব্যাবহার করেছেন। যা চেচনিয়া যুদ্ধের কথা মনে করিয়ে দেয়। এই যুদ্ধে হাজার হাজার চেচেন নাগরিকদের অস্থায়ী শিবিরে আটকে রেখে নৃশংস কায়দায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। যাদের অনেকেই আর ফিরে আসেননি।

যুদ্ধের সময়ে বেসামরিক নাগরিক এভাবে জোর করে নিয়ে স্থানান্তর আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত মানবাধিকার লঙ্ঘন বলে বিবেচনা করা হয়।

মারিওপোল কর্তৃপক্ষ বলছে, এক লাখ ৪০ হাজারের মতো বাসিন্দা অবরুদ্ধ শহরটি থেকে পালাতে সক্ষম হলেও আরও এক লাখ ৭০ হাজারের মতো মানুষ সেখানে আটকে পড়েছেন।

তিন সপ্তাহ ধরে সেখানে রাশিয়ান বোমা হামলা শহরটিকে ধ্বংসস্তুপে পরিণত করেছে। আতঙ্কগ্রস্ত অধিবাসীরা মাটির নিচে আশ্রয় নিয়েছে। ব্যাপক খাবার, পানি ও ওষুধের সংকটের মুখে পড়েছেন তারা।

মারিওপোল থেকে কত লোককে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে অথবা সেখানে হতাহতের সংখ্যা কত সেটি কোনো নিরপেক্ষ সূত্র থেকে বিবিসি যাচাই করতে পারেনি। সূত্র-বিবিসি

নিরপেক্ষ আলোচনায় প্রস্তুত ইউক্রেন: জেলেনস্কি

প্রকাশের সময় : ০২:৪২:৪৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ মার্চ ২০২২

নিরপেক্ষ অবস্থান গ্রহণ করে একটি শান্তি চুক্তির ব্যাপারে আলোচনা করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।

তবে তিনি বলেছেন, তার আগে কোনো তৃতীয় পক্ষের নিশ্চয়তা থাকতে হবে ও একটি গণভোট হতে হবে।

রাশিয়ার সাংবাদিকদের সাথে এক সাক্ষাৎকারে তিনি এমন বক্তব্য দিয়েছেন। এর পরপরই তার সাক্ষাৎকার প্রকাশ না করার ব্যাপারে মস্কো থেকে সতর্কবার্তা এসেছে।

এই সপ্তাহেই তুরস্কে ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে পরবর্তী মুখোমুখি আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে। সেখানে ইউক্রেনের স্বাধীনতা প্রাধান্য পাবে বলে উল্লেখ করেছেন প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি।

এদিকে ইউক্রেন অভিযোগ করেছে যে মারিওপোল থেকে জোর করে হাজার হাজার বেসামরিক ইউক্রেনীয় নাগরিকদের সীমান্ত পার করে রাশিয়া নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। স্যাটেলাইট ইমেজে দেখা গেছে, মারিওপোলের পূর্বে রাশিয়ার সীমান্তের ভেতরে একটি অস্থায়ী শিবির। যেখানে পাঁচ হাজারের মতো ইউক্রেনীয়নকে রাখা হয়েছে।

রাশিয়ার হামলায় বিধ্বস্ত গুরুত্বপূর্ণ বন্দরনগরী মারিওপোল। ইউক্রেনের ডেপুটি প্রধানমন্ত্রী ইরানা ভেরেশুক বলেছেন, ৪০ হাজারের মতো ইউক্রেনীয়কে রাশিয়া নিয়ন্ত্রিত এলাকায় জোর করে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

রাশিয়াতে রয়েছেন মারিওপোলের এরকম একজন শরণার্থী জানিয়েছেন, আমাদের সবাইকে জোর করে নিয়ে আসা হয়েছে।

ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা রাশিয়ার কর্মকাণ্ডকে বর্ণনা করতে গিয়ে ‘সংশোধনী শিবির’ শব্দটি ব্যাবহার করেছেন। যা চেচনিয়া যুদ্ধের কথা মনে করিয়ে দেয়। এই যুদ্ধে হাজার হাজার চেচেন নাগরিকদের অস্থায়ী শিবিরে আটকে রেখে নৃশংস কায়দায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। যাদের অনেকেই আর ফিরে আসেননি।

যুদ্ধের সময়ে বেসামরিক নাগরিক এভাবে জোর করে নিয়ে স্থানান্তর আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত মানবাধিকার লঙ্ঘন বলে বিবেচনা করা হয়।

মারিওপোল কর্তৃপক্ষ বলছে, এক লাখ ৪০ হাজারের মতো বাসিন্দা অবরুদ্ধ শহরটি থেকে পালাতে সক্ষম হলেও আরও এক লাখ ৭০ হাজারের মতো মানুষ সেখানে আটকে পড়েছেন।

তিন সপ্তাহ ধরে সেখানে রাশিয়ান বোমা হামলা শহরটিকে ধ্বংসস্তুপে পরিণত করেছে। আতঙ্কগ্রস্ত অধিবাসীরা মাটির নিচে আশ্রয় নিয়েছে। ব্যাপক খাবার, পানি ও ওষুধের সংকটের মুখে পড়েছেন তারা।

মারিওপোল থেকে কত লোককে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে অথবা সেখানে হতাহতের সংখ্যা কত সেটি কোনো নিরপেক্ষ সূত্র থেকে বিবিসি যাচাই করতে পারেনি। সূত্র-বিবিসি