মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বহিঃশত্রুর থেকে রক্ষা পেতে সর্বদা প্রস্তুত থাকতে হবে সশস্ত্র বাহিনীকে: প্রধানমন্ত্রী

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশের সময় : ১১:৪৯:৩০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ মার্চ ২০২২
  • ৩৮

ছবি-সংগৃহীত

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কারও সঙ্গে যুদ্ধে জড়াতে চায় না বাংলাদেশ। কিন্তু বহিঃশত্রুর আক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে সর্বদা প্রস্তুত থাকতে হবে সশস্ত্র বাহিনীকে। সরকারপ্রধান বলেন, যে কোনো হুমকি মোকাবিলায় প্রতিটি বাহিনীকে সক্ষম করে গড়ে তোলা হচ্ছে।

মঙ্গলবার (২৯ মার্চ) সকাল ১০টায় ভিডিও কনফারেন্সে পদ্মা সেতুর নিরাপত্তায় নবনির্মিত শেখ রাসেল সেনানিবাস উদ্বোধনকালে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা চাই, আমাদের দেশ এগিয়ে যাবে। আমাদের দেশ উন্নত হবে। আমরা কারও সঙ্গে যুদ্ধ করতে চাই না। জাতির পিতা আমাদেরকে যে পররাষ্ট্রনীতি শিখিয়ে গেছেন, সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়; আমরা সেই নীতিতে বিশ্বাস করি। কিন্তু আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে। কখনও যদি আক্রমণ হয়, তবে যেন আমরা প্রতিরোধ করতে পারি। সেভাবেই সশস্ত্র বাহিনীকে উন্নত ও সমৃদ্ধশালী করার জন্য পদক্ষেপ নিয়েছি।

বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, ফোর্সেস গোল ২০৩০ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। লক্ষ্য বৈশ্বিক যোগ্যতাসম্পন্ন সশস্ত্র বাহিনী গড়ে তোলা।

তিনি বলেন, ২০০১ সালেই পদ্মা সেতুর ভিত্তি আওয়ামী লীগ সরকার দিলেও, বিএনপি ক্ষমতায় এসে তা বন্ধ করে দিয়েছিল। বিশ্বব্যাংকের বাধার পর অনেকেই ভেবেছিলেন, এই সেতু নির্মাণ সম্ভব হবে না। কিন্তু এই সেতু আজ বাস্তব। এই সেতুর নিরাপত্তা অপরিহার্য। সে জন্যই এই সেনানিবাস নির্মাণ করা হয়েছে।

এ সময় শেখ রাসেলের নামে সেনানিবাস করায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে ধন্যবাদ জানান শেখ হাসিনা।  বলেন, খুব দ্রুতই এই সেতুতে যান চলাচল শুরু হয়ে যাবে। তাই এই সেতুর নিরাপত্তা একান্তভাবে প্রয়োজন। সেই নিরাপত্তা বিধানের জন্যই ব্যবস্থা নিয়েছি।

শেখ হাসিনা বলেন, এই সেতু নির্মাণের মধ্য দিয়ে দক্ষিণাঞ্চলের জেলগুলোর শুধু যোগাযোগ ব্যবস্থারই উন্নতি হবে না, সঙ্গে আর্থসামাজিক উন্নতিও হবে। একটা সেতু নিরামাণের মধ্য দিয়ে একটা এলার উন্নতি হয়।

সরকারপ্রধান বলেন, এই সেতু নির্মাণের ফলে ১-২ ভাগ জিডিপি বৃদ্ধি পাবে। সেতু ও সেনানিবাসের মাধ্যমে এই অবহেলিত জনপদের মানুষ আরও এগিয়ে যাবে।

 
জনপ্রিয়

বহিঃশত্রুর থেকে রক্ষা পেতে সর্বদা প্রস্তুত থাকতে হবে সশস্ত্র বাহিনীকে: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশের সময় : ১১:৪৯:৩০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ মার্চ ২০২২
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কারও সঙ্গে যুদ্ধে জড়াতে চায় না বাংলাদেশ। কিন্তু বহিঃশত্রুর আক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে সর্বদা প্রস্তুত থাকতে হবে সশস্ত্র বাহিনীকে। সরকারপ্রধান বলেন, যে কোনো হুমকি মোকাবিলায় প্রতিটি বাহিনীকে সক্ষম করে গড়ে তোলা হচ্ছে।

মঙ্গলবার (২৯ মার্চ) সকাল ১০টায় ভিডিও কনফারেন্সে পদ্মা সেতুর নিরাপত্তায় নবনির্মিত শেখ রাসেল সেনানিবাস উদ্বোধনকালে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা চাই, আমাদের দেশ এগিয়ে যাবে। আমাদের দেশ উন্নত হবে। আমরা কারও সঙ্গে যুদ্ধ করতে চাই না। জাতির পিতা আমাদেরকে যে পররাষ্ট্রনীতি শিখিয়ে গেছেন, সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়; আমরা সেই নীতিতে বিশ্বাস করি। কিন্তু আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে। কখনও যদি আক্রমণ হয়, তবে যেন আমরা প্রতিরোধ করতে পারি। সেভাবেই সশস্ত্র বাহিনীকে উন্নত ও সমৃদ্ধশালী করার জন্য পদক্ষেপ নিয়েছি।

বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, ফোর্সেস গোল ২০৩০ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। লক্ষ্য বৈশ্বিক যোগ্যতাসম্পন্ন সশস্ত্র বাহিনী গড়ে তোলা।

তিনি বলেন, ২০০১ সালেই পদ্মা সেতুর ভিত্তি আওয়ামী লীগ সরকার দিলেও, বিএনপি ক্ষমতায় এসে তা বন্ধ করে দিয়েছিল। বিশ্বব্যাংকের বাধার পর অনেকেই ভেবেছিলেন, এই সেতু নির্মাণ সম্ভব হবে না। কিন্তু এই সেতু আজ বাস্তব। এই সেতুর নিরাপত্তা অপরিহার্য। সে জন্যই এই সেনানিবাস নির্মাণ করা হয়েছে।

এ সময় শেখ রাসেলের নামে সেনানিবাস করায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে ধন্যবাদ জানান শেখ হাসিনা।  বলেন, খুব দ্রুতই এই সেতুতে যান চলাচল শুরু হয়ে যাবে। তাই এই সেতুর নিরাপত্তা একান্তভাবে প্রয়োজন। সেই নিরাপত্তা বিধানের জন্যই ব্যবস্থা নিয়েছি।

শেখ হাসিনা বলেন, এই সেতু নির্মাণের মধ্য দিয়ে দক্ষিণাঞ্চলের জেলগুলোর শুধু যোগাযোগ ব্যবস্থারই উন্নতি হবে না, সঙ্গে আর্থসামাজিক উন্নতিও হবে। একটা সেতু নিরামাণের মধ্য দিয়ে একটা এলার উন্নতি হয়।

সরকারপ্রধান বলেন, এই সেতু নির্মাণের ফলে ১-২ ভাগ জিডিপি বৃদ্ধি পাবে। সেতু ও সেনানিবাসের মাধ্যমে এই অবহেলিত জনপদের মানুষ আরও এগিয়ে যাবে।