শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শান্তি আলোচনায় পশ্চিমাদের মধ্যস্থতা মানবে না রাশিয়া

ছবি-সংগৃহীত

ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের কূটনৈতিক সমাধানে রাশিয়া আগ্রহী হলেও কিয়েভের সঙ্গে আলোচনায় পশ্চিমাদের মধ্যস্থতা মানবে না রাশিয়া। সোমবার (২৮ মার্চ) রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ এমন দাবি করেছেন।-খবর আরটির

তিনি বলেন, কূটনৈতিক সমাধানের একটি সুযোগ আমরা দিতে চাই। যে কারণে আলোচনায় বসতে সম্মত হয়েছি। মঙ্গলবার ইস্তানবুলে দুপক্ষ বসতে যাচ্ছে।

গেল দুসপ্তাহের মধ্যে প্রথম মুখোমুখি আলোচনা থেকে অস্ত্রবিরতির সিদ্ধান্ত আসবে বলেই প্রত্যাশা ইউক্রেনের। কিন্তু মার্কিন কর্মকর্তাদের দাবি, যুদ্ধ বন্ধে কোনো আপসে আসতে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন প্রস্তুত না।

সের্গেই লাভরভ বলেন, পশ্চিমারা কূটনৈতিক সফলতাকে ভণ্ডুল করে দিয়েছে, এমন অনেক দৃষ্টান্ত আছে। তাদের প্রতি আর কোনো বিশ্বাস রাখা যায় না। পশ্চিমাদের কাছ থেকে কোনো ‘আনাগোনার কূটনীতি’ বা শাটল ডিপলোমেসি দেখতে চাই না। কারণ ইতিমধ্যে ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে ও ২০১৫ সালে মিনস্কে তারা তাদের কাজ সেরেছে।

২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনের তখনকার প্রেসিডেন্ট ভিক্টর ইয়ানুকোভিচ ও মেইডেন বিক্ষোভকারীদের মধ্যে চুক্তির জিম্মাদার ছিল ইউরোপীয় ইউনিয়ন। লাভরভ বলেন, এটি ছিল কূটনীতির চূড়া। কিন্তু পরবর্তীতে বিরোধীরা সেই চুক্তি থেকে বেরিয়ে যায়। আর ইউরোপকে সেটিই হজম করতে হয়েছে।

এরপর সংঘাতের মাধ্যমে ইয়ানুকোভিচকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়েছে। তিনি দেশ থেকে পালিয়ে রাশিয়ায় আশ্রয় নিয়েছেন। আর দোনেৎসক ও লুহানস্কে সেনা পাঠায় ইউক্রেনের নতুন সরকার। কারণ সেখানকার অধিকাংশ জনগোষ্ঠী ইয়ানুকোভিচের বিরুদ্ধে অভ্যুত্থানে সায় দেয়নি।

এছাড়া বেলারুশের রাজধানী মিনস্কে জার্মানি ও ফ্রান্সের মধ্যস্থতায় বিদ্রোহী অঞ্চলগুলোর সঙ্গে কিয়েভের চুক্তি হয়েছিল। এতে দুপক্ষকে যুদ্ধ বন্ধ করতে বলা হয়েছিল।

রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তখন চুক্তি তার সর্বোচ্চ চূড়ায় পৌঁছায়। চুক্তি সইয়ের পর পূর্ব ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধ হয়ে যায়। ডোনবাসকে বিশেষ মর্যাদা দিয়ে ইউক্রেনের ভূখণ্ডগত অখণ্ডতা রক্ষারও সুযোগ তৈরি হয়েছিল। কিন্তু সংস্থা হিসেবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন অদক্ষতার পরিচয় দিয়েছে। তারা চুক্তি বাস্তবায়নে সক্ষমতা দেখাতে পারেনি।

শান্তি আলোচনায় পশ্চিমাদের মধ্যস্থতা মানবে না রাশিয়া

প্রকাশের সময় : ১২:০১:৫৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ মার্চ ২০২২
ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের কূটনৈতিক সমাধানে রাশিয়া আগ্রহী হলেও কিয়েভের সঙ্গে আলোচনায় পশ্চিমাদের মধ্যস্থতা মানবে না রাশিয়া। সোমবার (২৮ মার্চ) রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ এমন দাবি করেছেন।-খবর আরটির

তিনি বলেন, কূটনৈতিক সমাধানের একটি সুযোগ আমরা দিতে চাই। যে কারণে আলোচনায় বসতে সম্মত হয়েছি। মঙ্গলবার ইস্তানবুলে দুপক্ষ বসতে যাচ্ছে।

গেল দুসপ্তাহের মধ্যে প্রথম মুখোমুখি আলোচনা থেকে অস্ত্রবিরতির সিদ্ধান্ত আসবে বলেই প্রত্যাশা ইউক্রেনের। কিন্তু মার্কিন কর্মকর্তাদের দাবি, যুদ্ধ বন্ধে কোনো আপসে আসতে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন প্রস্তুত না।

সের্গেই লাভরভ বলেন, পশ্চিমারা কূটনৈতিক সফলতাকে ভণ্ডুল করে দিয়েছে, এমন অনেক দৃষ্টান্ত আছে। তাদের প্রতি আর কোনো বিশ্বাস রাখা যায় না। পশ্চিমাদের কাছ থেকে কোনো ‘আনাগোনার কূটনীতি’ বা শাটল ডিপলোমেসি দেখতে চাই না। কারণ ইতিমধ্যে ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে ও ২০১৫ সালে মিনস্কে তারা তাদের কাজ সেরেছে।

২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনের তখনকার প্রেসিডেন্ট ভিক্টর ইয়ানুকোভিচ ও মেইডেন বিক্ষোভকারীদের মধ্যে চুক্তির জিম্মাদার ছিল ইউরোপীয় ইউনিয়ন। লাভরভ বলেন, এটি ছিল কূটনীতির চূড়া। কিন্তু পরবর্তীতে বিরোধীরা সেই চুক্তি থেকে বেরিয়ে যায়। আর ইউরোপকে সেটিই হজম করতে হয়েছে।

এরপর সংঘাতের মাধ্যমে ইয়ানুকোভিচকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়েছে। তিনি দেশ থেকে পালিয়ে রাশিয়ায় আশ্রয় নিয়েছেন। আর দোনেৎসক ও লুহানস্কে সেনা পাঠায় ইউক্রেনের নতুন সরকার। কারণ সেখানকার অধিকাংশ জনগোষ্ঠী ইয়ানুকোভিচের বিরুদ্ধে অভ্যুত্থানে সায় দেয়নি।

এছাড়া বেলারুশের রাজধানী মিনস্কে জার্মানি ও ফ্রান্সের মধ্যস্থতায় বিদ্রোহী অঞ্চলগুলোর সঙ্গে কিয়েভের চুক্তি হয়েছিল। এতে দুপক্ষকে যুদ্ধ বন্ধ করতে বলা হয়েছিল।

রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তখন চুক্তি তার সর্বোচ্চ চূড়ায় পৌঁছায়। চুক্তি সইয়ের পর পূর্ব ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধ হয়ে যায়। ডোনবাসকে বিশেষ মর্যাদা দিয়ে ইউক্রেনের ভূখণ্ডগত অখণ্ডতা রক্ষারও সুযোগ তৈরি হয়েছিল। কিন্তু সংস্থা হিসেবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন অদক্ষতার পরিচয় দিয়েছে। তারা চুক্তি বাস্তবায়নে সক্ষমতা দেখাতে পারেনি।