শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নানা সমস্যায় জর্জরিত ’’বাকলিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়”

বন্দরনগরী চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে পশ্চিম বাকলিয়ার ১৭ নং ওয়ার্ডের রসুলবাগ খালপাড় এলাকায় অবস্থিত বাকলিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় একটি। ১৯৬৭ সালে প্রতিষ্ঠিত এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি চট্টগ্রামের স্বনামধন্য অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মত বরাবরই ভালো রেজাল্ট করে থাকে।
বর্তমানে এই প্রতিষ্ঠানটি শিক্ষার মান ধরে রাখলেও পরিবেশগত কারন ও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে উক্ত বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
উক্ত প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীদের অভিভাবক ও স্থানীয় ব্যক্তিবর্গের অভিযোগের ভিত্তিতে জানা যায় এই স্কুলে একটি বিশাল খেলাধুলার মাঠ থাকলেও সংস্কারের অভাবে তা অবহেলায় পড়ে আছে সামান্য বৃষ্টিতে বা বর্ষা মৌসুমে প্রবল বর্ষণে এই মাঠটি পানির নিচে তলিয়ে যায়। বিদ্যালয়ের চারদিকের সীমানা প্রাচীর মজবুত না থাকায়,২ দিকে অরক্ষিত গেইট থাকার ফলে স্কুল চলাকালীন স্থানীয় লোকজন ও বখাটেরা বিদ্যালয় সীমানার ভিতরে দিয়ে অবাধে চলাফেরা করে ও আড্ডায় মেতে উঠে।
বর্তমানে এই বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা প্রায় দুই হাজারের অধিক, বালিকাদের জন্য সকাল ৭টা হতে ১২ টা পর্যন্ত মর্নিং সিপ্ট ও বালকদের জন্য দুপুর ১২:৩০ হতে বিকেল ৫ টা পর্যন্ত দিবা সিপ্ট চালু রয়েছে। শিক্ষক সংখ্যা ৫১ জন, মাস্টাররোল স্টাপ ৫ জন, সরকারি ভাবে চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী আছেন ২ জন যা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। সরেজমিনে গিয়ে
স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের সাথে কথা বলে জানা যায় স্কুলের প্রবেশ সড়কে স্থানীয়দের বিভিন্ন বিল্ডিং নির্মাণ সামগ্রী রাস্তার উপর স্তূপাকারে রাখায় এবং ধুনির পুল জালিয়াপাড়ার মুল সড়কে অবৈধ মাছ বাজার বসার কারনে ছাত্র-ছাত্রীদের স্কুলের প্রবেশ সড়কে যাতায়াতের সমস্যা হয়, স্কুলের পাশের পরিত্যাক্ত ভবন গুলিতে স্থানীয় বখাটে নেশাগ্রস্তদের সকাল বিকাল আড্ডাবাজীর কারণে চলাচলে ভীতসন্ত্রস্থ থাকতে হয়।
এইসব বিষয়ে বাকলিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ সিরাজুল ইসলামের সাথে কথা বললে তিনি জানান এইসব বিষয় নিয়ে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক বরাবরে ও বাকলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে বিদ্যালয়ের পক্ষ হতে স্মারক পত্র জমা দেওয়া হয় যার নং ১২১৫/২০২১ ও ১২০২/২০২২.
এইসব বিষয় নিয়ে স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও স্কুলের প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন, সেইসাথে স্থানীয় এলাকাবাসী ও বিল্ডার্স কোম্পানি স্বেচ্ছায় সহযোগিতায় স্কুলের দীর্ঘদিনের অযত্ন-অবহেলায় পড়ে থাকা খেলার মাঠটি মাটি ভরাটের কাজ চলছে।
তিনি বলেন যথাযথ কর্তৃপক্ষ ও প্রশাসন বিদ্যালয়ের সমসাময়িক সমস্যাগুলোর ব্যাপারে সুষ্ঠু পদক্ষেপ নিলে ঐতিহ্যবাহী এই প্রতিষ্ঠানটির গৌরব অক্ষুণ্ন থাকবে।
বার্তা/এন

নানা সমস্যায় জর্জরিত ’’বাকলিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়”

প্রকাশের সময় : ০৬:২০:৫৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ মার্চ ২০২২
বন্দরনগরী চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে পশ্চিম বাকলিয়ার ১৭ নং ওয়ার্ডের রসুলবাগ খালপাড় এলাকায় অবস্থিত বাকলিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় একটি। ১৯৬৭ সালে প্রতিষ্ঠিত এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি চট্টগ্রামের স্বনামধন্য অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মত বরাবরই ভালো রেজাল্ট করে থাকে।
বর্তমানে এই প্রতিষ্ঠানটি শিক্ষার মান ধরে রাখলেও পরিবেশগত কারন ও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে উক্ত বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
উক্ত প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীদের অভিভাবক ও স্থানীয় ব্যক্তিবর্গের অভিযোগের ভিত্তিতে জানা যায় এই স্কুলে একটি বিশাল খেলাধুলার মাঠ থাকলেও সংস্কারের অভাবে তা অবহেলায় পড়ে আছে সামান্য বৃষ্টিতে বা বর্ষা মৌসুমে প্রবল বর্ষণে এই মাঠটি পানির নিচে তলিয়ে যায়। বিদ্যালয়ের চারদিকের সীমানা প্রাচীর মজবুত না থাকায়,২ দিকে অরক্ষিত গেইট থাকার ফলে স্কুল চলাকালীন স্থানীয় লোকজন ও বখাটেরা বিদ্যালয় সীমানার ভিতরে দিয়ে অবাধে চলাফেরা করে ও আড্ডায় মেতে উঠে।
বর্তমানে এই বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা প্রায় দুই হাজারের অধিক, বালিকাদের জন্য সকাল ৭টা হতে ১২ টা পর্যন্ত মর্নিং সিপ্ট ও বালকদের জন্য দুপুর ১২:৩০ হতে বিকেল ৫ টা পর্যন্ত দিবা সিপ্ট চালু রয়েছে। শিক্ষক সংখ্যা ৫১ জন, মাস্টাররোল স্টাপ ৫ জন, সরকারি ভাবে চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী আছেন ২ জন যা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। সরেজমিনে গিয়ে
স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের সাথে কথা বলে জানা যায় স্কুলের প্রবেশ সড়কে স্থানীয়দের বিভিন্ন বিল্ডিং নির্মাণ সামগ্রী রাস্তার উপর স্তূপাকারে রাখায় এবং ধুনির পুল জালিয়াপাড়ার মুল সড়কে অবৈধ মাছ বাজার বসার কারনে ছাত্র-ছাত্রীদের স্কুলের প্রবেশ সড়কে যাতায়াতের সমস্যা হয়, স্কুলের পাশের পরিত্যাক্ত ভবন গুলিতে স্থানীয় বখাটে নেশাগ্রস্তদের সকাল বিকাল আড্ডাবাজীর কারণে চলাচলে ভীতসন্ত্রস্থ থাকতে হয়।
এইসব বিষয়ে বাকলিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ সিরাজুল ইসলামের সাথে কথা বললে তিনি জানান এইসব বিষয় নিয়ে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক বরাবরে ও বাকলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে বিদ্যালয়ের পক্ষ হতে স্মারক পত্র জমা দেওয়া হয় যার নং ১২১৫/২০২১ ও ১২০২/২০২২.
এইসব বিষয় নিয়ে স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও স্কুলের প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন, সেইসাথে স্থানীয় এলাকাবাসী ও বিল্ডার্স কোম্পানি স্বেচ্ছায় সহযোগিতায় স্কুলের দীর্ঘদিনের অযত্ন-অবহেলায় পড়ে থাকা খেলার মাঠটি মাটি ভরাটের কাজ চলছে।
তিনি বলেন যথাযথ কর্তৃপক্ষ ও প্রশাসন বিদ্যালয়ের সমসাময়িক সমস্যাগুলোর ব্যাপারে সুষ্ঠু পদক্ষেপ নিলে ঐতিহ্যবাহী এই প্রতিষ্ঠানটির গৌরব অক্ষুণ্ন থাকবে।
বার্তা/এন